করোনাভাইরাস মহামারী চলছে প্রায় ৯ মাস ধরে। সামনেই শীতের মৌসুম, বিশ্বজুড়ে বাবা-মা চিন্তিত তাদের শিশু সন্তান নিয়ে। বছরের এই সময়ে শিশুদের জ্বর, ঠান্ডা, কাশি লেগে থাকে, এটি খুব সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু ২০২০ সালে এ ব্যাপারটি যেন একদমই ভিন্ন কথা বলছে। করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে যেভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, সেক্ষেত্রে শিশু সন্তানের হাঁচি-কাশি শুনে মা-বাবার আঁতকে ওঠা স্বাভাবিক এবং সর্তক থাকাও জরুরি। তাই কী করবেন, যদি আপনার সন্তানের সর্দি, জ্বর কিংবা ঠান্ডা লাগে? এগুলো কি কোভিড -১৯ এর লক্ষণ নাকি মৌসুমী সর্দি, কাশি? বিস্তারিত প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
শীতের মৌসুমে করোনার প্রভাব করোনাভাইরাস শিশুদের ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে তা বোঝার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত মেডিকেল রিপোর্ট এবং সমীক্ষা বলছে, করোনাভাইরাসের ছোবল থেকে শিশুরা অনেকাংশেই রক্ষা পেয়েছে এবং খুব কম সংখ্যক শিশুই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তবে, শিশুদের মাঝে নতুন পেডিয়াট্রিক ইনফ্লামেটরি মাল্টিসিস্টেম সিন্ড্রোম দেখা যাচ্ছে যা করোনা পরবর্তী একটি মারাত্মক এবং প্রাণঘাতী অসুস্থতা। তাই শীতের মৌসুমে এই ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনি কি আসলেই জানেন, আপনার সন্তানের লক্ষণগুলো কি কোভিড -১৯ এর নাকি সাধারণ সর্দি, কাশি? জ্বর হলে কি পরীক্ষা করা উচিত? আপনার সন্তানের লক্ষণ বোঝার জন্য তিনটি জিনিস মাথায় রাখা জরুরি।
লক্ষ্য রাখুন অস্বাভাবিক কিছু মনে হয় কি-না দুর্ভাগ্যক্রমে, করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলো মৌসুমী সর্দি,কাশি, জ্বরের লক্ষণগুলোর মতোই। যদি দেখেন কোনো লক্ষণ যা আপনার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয় যেমন-নাকবন্ধ না তারপরও কোনো ঘ্রাণ পায় না, কিংবা খাবারে স্বাদ পায় না। ঠান্ডা, জ্বর সাথে ডাইরিয়াও। তখন দ্রুত করোনার পরীক্ষা করিয়ে নেয়া জরুরি। বছরের এই সময়ে শিশুর জ্বর, সর্দি ,কাশি থাকতেই পারে এবং যদি দেখেন সেরে উঠছে তাহলে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে পরীক্ষা করুন করোনাভাইরাসের লক্ষণ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। আপনি যদি মনে করেন আপনার সন্তান কোনো সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলো কিংবা যেকোনোভাবেই ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা করাতে হবে।
মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোমের লক্ষণগুলো দেখুন শিশুদের জন্য করোনার মতোই প্রাণঘাতী এক অসুখ হলো মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম। এই রোগের আরও স্বতন্ত্র কিছু লক্ষণ রয়েছে, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা সহায়তা নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। এর কয়েকটি সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. অতি মাত্রায় জ্বর ২. পেটে ব্যথা ৩. লাল, রক্তক্ষরণ চোখ ৪. ফুসকুড়ি ৫. লাল, ফাটল ঠোঁট ৬. হাত এবং পা ফোলা ৭. অস্বাভাবিক ক্লান্তি।
শিশুর স্বাস্থ্যের বিষয়ে কোনোভাবেই উদাসীন হওয়া চলবে না। যেহেতু আপনার শিশুটি মৌসুমী জ্বর, সর্দি এবং কাশিতে ভুগছে কি-না তা জানার সঠিক কোনো উপায় নেই, সেহেতু সচেতনতায় যেন কোনো ত্রুটি না থাকে। যদি আপনার শিশুর মাঝে এ ধরনের লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই করোনার পরীক্ষা করান ।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন