আলস্য অভ্যাসে গিয়ে দাঁড়ালে কিন্তু ওর ভবিষ্যতের জন্য খুবই সমস্যা হবে, আপনার সন্তানের মধ্যে আলস্য দেখা গেলেই দরকার ওকে ‘মোটিভেট’ করা!
লেখাপড়া বা বাড়ির টুকটাক কাজে অল্পস্বল্প ফাঁকি অনেক বাচ্চাই দিয়ে থাকে! তবে আলস্য যদি অভ্যাসে গিয়ে দাঁড়ায় তাহলে কিন্তু ওর ভবিষ্যতের জন্য খুবই মুশকিল। লেখাপড়া লাটে উঠবে, স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে থাকবে ও। শুধু তাই নয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকলে শরীরে অকালেই দানা বাঁধবে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা। তাই আপনার সন্তানের মধ্যে আলস্য দেখা গেলেই দরকার ওকে “মোটিভেট” করা। জেনে নিন কীভাবে করবেন।
ঘরের কাজে সঙ্গী করুন ওকে
অনেক মা-বাবাই ভেবে থাকেন যে ছোট বাচ্চার বাড়ির কাজ শেখার দরকার নেই। তবে, ছোট থেকে বাড়ির কাজে হাত লাগানোর অভ্যেস তৈরি না হলে ও কিন্তু জীবনে কখনোই স্বাবলম্বী হতে শিখবে না। কাজ শেখার কোনও নির্দিষ্ট বয়সও নেই। তাই যখনই সম্ভব, ঘরের টুকটাক কাজকর্মে ওকে সাহায্য করতে বলুন।
খুব ছোট বাচ্চা হলে অবশ্য ওকে গ্যাস বা ছুরি-কাঁচি জাতীয় জিনিসের থেকে দূরে রাখাই ভাল। তবে বালিশ-পত্র গোছানো, বাসন-কোসন ধুয়ে রাখা ইত্যাদি আপনার ক্ষুদেকে শিখিয়ে রাখুন!
আপনার গার্ডেনিংয়ের শখ থাকলে, গাছের পরিচর্যার কাজে ওকেও হাত লাগাতে উৎসাহ দিন। তাছাড়া ছোট থেকেই নিজের ব্যাগ, ডেস্ক ও বিছানা পরিষ্কার রাখা শেখান। একটু বড় হলে ধীরেধীরে শাক-সবজি কাটা বা খাবার-দাবার গরম করার পদ্ধতিও শেখাতে শুরু করতে পারেন!
লেখাপড়ার বিষয়ে সতর্কতা
পড়াশনায় আলসেমির কিছু কারণ থাকতে পারে। হয়তো ও বিষয়বস্তু ঠিকঠাক বুঝতে পারছে না বা ওরমধ্যে কোনও মজা খুঁজে পাচ্ছে না। এক্ষেত্রে নিজেরা তো সাহায্য করবেনই, ওর শিক্ষকদেরও বিষয়টি জানান।
তাছাড়া ওকে বোঝান যে শেষ মুহূর্তের জন্য কাজকর্ম ফেলে রাখলে আখেরে ওরই ক্ষতি হবে। আর সময়মতো কোনও টাস্ক কমপ্লিট করলে তখন কিন্তু প্রশংসা করতে ভুলবেন না!
টিভি-মোবাইল দূরে্ই থাকুক
বহু বাচ্চার “কাউচ পট্যাটো” হয়ে ওঠার একটা মস্তবড় কারণ হলো টিভি বা মোবাইলের (সোশ্যাল মিডিয়া) প্রতি অত্যধিক আসক্তি। তাই যত বায়নাই করুক বাচ্চাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভি বা মোবাইলের সামনে থাকতে দেবেন না।
কার্টুন দেখা বা ভিডিও গেমস খেলার জন্য সময় বরাদ্দ করে দিন।
সমবয়সী বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে উৎসাহ দিন। তবে বহু বাচ্চাই ছুটোছুটি করে খেলার প্রতি তেমন আগ্রহ থাকে না। সেক্ষেত্রে ওকে দাবা অথবা ক্যারমের মতো খেলা শেখাতে পারেন। মোবাইল বা রিমোট নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করার অভ্যেসমুক্ত হলে বাচ্চা অনেকটাই অ্যাকটিভ হয়ে উঠবে।
নিজেকেও পরখ করুন
বাড়িতে মা-বাবার আচার-আচরণ বাচ্চার ওপর প্রভাব ফেলে। তাই বাচ্চাকে তার আলসেমি নিয়ে তিরষ্কার করার আগে একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কি কাজের বেলায় খুব চটপটে? নাহলে আগে নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। দেখবেন, আপনাকে দেখেই বাচ্চা অনুপ্রাণিত হবে!
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন