আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

শিশুকে সকলের প্রতি সহমর্মিতা শেখাবেন যেভাবে

শিশুকে সঙ্গে করে সপ্তাহে অন্তত একদিন কোনও বৃদ্ধাশ্রম, অনাথাশ্রমের মত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় নিয়ে যান। এতে, অন্যের দুঃখ-কষ্টের সঙ্গে পরিচিত হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে শিখবে

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইঁদুরদৌড়ে সন্তানকে যোগ্য করে তুলতে গিয়ে আমরা যেন ভুলেই যাচ্ছি সহমর্মিতা ও সংবেদনশীলতার মত মুল্যবোধের গুরুত্ব। বিশেষজ্ঞদের মতে, সংবেদনশীলতা বা “এমপ্যাথি” সাধারণত তিনধরনের হয়, ইমোশন্যাল, কগনিটিভ এবং কমপ্যাশনেট। ইমোশন্যাল এমপ্যাথি আমাদেরকে অন্যের দুঃখের অংশীদার হতে বা সমব্যথী হতে সাহায্য করে। কগনিটিভ এমপ্যাথি আমাদেরকে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি বা পারস্পেকটিভ সম্পর্কে অবগত করে। কমপ্যাশনেট এমপ্যাথি মানুষকে অন্যের অনুভূতি বুঝে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করে।

ওকে আবেগ চিনতে শেখান

১. ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাকে বিভিন্ন আবেগের সঙ্গে পরিচয় করানো ভাল। কারসঙ্গে খারাপভাবে কথা বললে, বা আঘাত করলে তার যে মন খারাপ হয় বা সে যে ব্যথা পেতে পারে সেই সম্পর্কে ওকে জানিয়ে রাখুন। “তোমার এই আচরণে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি, বা তোমার বোন খুব কেঁদেছে” এই ধরনের কথা বলতে সঙ্কোচ করবেন না। একইসঙ্গে ওকে প্রশ্ন করুন, “এরকম ব্যবহার কেউ তোমার সঙ্গে করলে, তোমার ভাল লাগবে?” 

২. অন্যের দুঃখ-কষ্ট বা সুবিধা-অসুবিধাকে সঙ্গে একাত্ব হওয়াই কিন্তু সহমর্মিতার প্রথম সোপান। তবে বকাঝকা করে নয় ঠাণ্ডামাথায়, নরমভাবে বোঝাবেন কোথায় ওর ভুল হয়েছে। যারসঙ্গে ও খারাপ ব্যবহার করেছে তার কাছে “সরি” বলার শিক্ষা দিন। 

৩. কারও প্রতি সহমর্মিতা দেখালে, কাউকে সাহায্য করলে আপনার শিশুকে  প্রশংসা করতেও ভুলবেন না।

প্রচলিত নীতিগল্পর সঙ্গে পরিচয় করান

১. বাচ্চাদের মধ্যে সহানুভূতিশীলতা গড়ে তুলতে হলে, নিয়মিত ঈশপের গল্পের মত প্রচলিত নানান নীতিকথা শোনান। একইসাথে বইও উপহার দিতে পারেন। এতে ওর মধ্যে সহমর্মিতাও গড়ে উঠবে, বই পড়ার সুঅভ্যাসও তৈরি হবে। 

২. কমবেশি বহু বাচ্চাই কার্টুন বা কমিকসের ভক্ত। তাই ওর প্রিয় সুপারহিরো বা চরিত্র কীভাবে অন্যের পাশে দাঁড়ায়, অপরের দুঃখ বোঝে, সে সম্পর্কে ওকে বুঝিয়ে বলুন।

নিজেও করুন সহমর্মিতার চর্চা

১. বাচ্চা কিন্তু আপনাকে দেখেই শিখবে। তাই নিজে আগে যথাসম্ভব সহানুভূতিশীল হোন। শিশুকে দেখিয়ে নিজেই এর চর্চা শুরু করুন জীবনে। দেখবেন আপনিই হয়ে উঠবেন ওর সহমর্মিতা শেখার আদর্শ শিক্ষক!

২. বাচ্চাকে সমাজের সমস্ত শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে উৎসাহ দিন। 

৩. একটু বড় হলে, ওকে সঙ্গে করে সপ্তাহে অন্তত একদিন কোনও বৃদ্ধাশ্রম, অনাথাশ্রম বা অ্যানিম্যাল শেল্টারের মত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় নিয়ে যেতে পারেন। অন্যের দুঃখ-কষ্টের সঙ্গে পরিচিত হবে ও। দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতেও শিখবে

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com