আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

করোনা ভাইরাস: ল্যাবে নমুনা পৌঁছানোর আগেই নেগেটিভ রিপোর্ট, একদিনে দুই পরীক্ষার দুই রকম ফল

নমুনা সঠিকভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে কিনা তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে।
নমুনা সঠিকভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে কিনা তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চীনের উহান থেকে যখন বেশ দ্রুতই ছড়িয়ে পরছিল, এরকম সময় বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।

এরপর ছয়মাস পার হয়ে গেছে। কিন্তু শুরুর দিকে পরীক্ষা নিয়ে যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠিক সেরকম অভিযোগ এখনো রয়েছে।

ল্যাবে নমুনা পৌঁছানোর আগেই নেগেটিভ রিপোর্ট?

ঢাকার গুলশানের একজন বাসিন্দা তার স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা জানতে বেসরকারি একটি নামি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।

বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করার জন্য একটি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করার পরের দিন নমুনা সংগ্রহের জন্য একজন আসেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ব্যক্তি বলছেন, “বিকেল পাঁচটার দিকে এসে বাসা থেকে নমুনা নিয়ে গেল। ঠিক সাড়ে ছয়টায় নেগেটিভ রিপোর্টের একটা মেসেজ এলো। আমি বেশ খুশি হয়ে আমার স্ত্রীর কাছে গেলাম। সে জানালো ওরা বলেছিল রিপোর্ট ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা লাগবে।”

এর পরের ঘটনা তিনি যা বর্ণনা করলেন সেটি হল, নমুনা সংগ্রহকারী ল্যাব পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই তার কাছে রিপোর্টের ফল চলে এসেছে।

ঘটনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানিয়ে তিনি বলছেন, “আমার স্ত্রী বিষয়টা আমাকে বলার পর আমি হাসপাতালের কল সেন্টারে ফোন করে বিষয়টা জানতে চাইলাম। আমাকে জানানো হল কোভিড-১৯ পরীক্ষাকে তারা অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।”

“আমার তবুও সন্দেহ হল। তখন আমি নমুনা সংগ্রহকারীকে ফোন দিয়ে জানলাম সে নমুনা নিয়ে এখনো ল্যাবে পৌঁছায়নি।”

তিনি প্রশ্ন করছেন, এমন ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে? তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে বলছেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো কি আদৌ নমুনা পরীক্ষা করে কিনা।

“আমার পরীক্ষার ফল কী – তার উপর নির্ভর করেই না আমি সিদ্ধান্ত নেবো। একটা ভুল ফলাফল অনেক কিছু বদলে দিতে পারে।”

“বাংলাদেশের সবাই জানে না করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করতে কতদিন লাগে। পজিটিভ হওয়া পরও নেগেটিভ রেজাল্ট নিয়ে একজন ব্যক্তি অন্যদের আক্রান্ত করে বেড়াবে।”

ছয়মাস পার হয়ে গেলেও পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
ছয়মাস পার হয়ে গেলেও পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

একই দিনে দুই নমুনা পরীক্ষার দুই রকম ফল

জাপান প্রবাসী একজন বাংলাদেশি ১৯শে আগস্ট ফেসবুকে বড় করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, কীভাবে তার স্ত্রীর দুটি পরীক্ষায় দুই রকম ফল এসেছে। তার লেখা থেকে কিছুটা অংশ তুলে দেয়া হল।

“এক ফ্লাইটে আমার বউ জাপানে আসার কথা ছিল। নিয়মানুযায়ী বিমানে উঠার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ থাকা বাধ্যতামূলক করেছে জাপান। ফ্লাইটের ঠিক ৭২ ঘণ্টা আগে আমার বউ গত ১৬ই অগাস্ট নমুনা দেয়। যার ফলাফল ১৭ তারিখ বিকেলে নেগেটিভ আসে। যেহেতু ফলস পজিটিভ/নেগেটিভ রেজাল্ট হরহামেশায় হচ্ছে, সেই জন্য বাড়তি সাবধানতার অংশ হিসেবে ১৭ তারিখের ওই ফল আসার আগে সকালে ফের ঢাকায় ডিএনসিসিতে নমুনা দেয়ার ব্যবস্থা করি।”

তিনি লিখেছেন, “ডিএনসিসির ওই নমুনার ফলাফল ঢাকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারাল সেন্টারের ল্যাবে করা হয়। ১৮ই আগস্ট দুপুরে তাদের ফলাফল আসে পজিটিভ।”

এই একই ঘটনার বর্ণনা পাওয়া গেছে আরও একের অধিক ব্যক্তির কাছ থেকে, ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শ্বশুরকে নিয়ে গিয়েছিলেন পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষার ফল দিতে তিনদিন নিয়েছিলো হাসপাতালটি।

রিপোর্ট পাননি এরকম অনেকের অভিযোগের পরই সেই রিপোর্ট মিলেছিল। রিপোর্টে বলা হয় ডেঙ্গু এবং করোনাভাইরাস পজিটিভ। রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেয়া হয়।

মনের মধ্যে সন্দেহ নিয়ে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন দুদিনের মাথায় কিন্তু তাতে দেখা গেলো কোভিড-১৯ নেগেটিভ।

নমুনা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন ও পরীক্ষা

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রথম দিকেই বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাংলাদেশে যে আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হয়, সেই পদ্ধতিতে পরীক্ষার ফলে অন্তত ৩০ শতাংশ পর্যন্ত “ফলস নেগেটিভ” আসতে পারে।

অর্থাৎ নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি থাকলেও তা শনাক্ত না হওয়া। কিন্তু একজনের নমুনা পরীক্ষার ফল আরেকজনকে পাঠানো, নমুনা দেয়া ব্যক্তির তথ্য হারিয়ে ফেলা, দুই সপ্তাহ পার হওয়ার পরে পরীক্ষার ফল পাওয়া, দুই ল্যাবে পরীক্ষার দুই রকম ফল, ল্যাবে নমুনা পৌঁছানোর আগেই রিপোর্ট, এসব যে “ফলস নেগেটিভ” নয় তা বোধহয় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

প্রশিক্ষিত কর্মী যথেষ্ট রয়েছে কিনা সেনিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
প্রশিক্ষিত কর্মী যথেষ্ট রয়েছে কিনা সেনিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক তাহমিনা শিরিন বলছেন, “নমুনা পরীক্ষার বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। নমুনা সঠিকভাবে সংগ্রহ করা, নির্ধারিত তাপমাত্রায় নমুনা সংরক্ষণ, সেই নমুনা সঠিকভাবে পরিবহন এবং মেশিনে পরীক্ষা। এর কোন একটা ধাপে সমস্যা হলে ভুল ফল আসতে পারে।”

“হয়ত নমুনা নেয়ার জন্য যে পর্যন্ত ঢুকিয়ে ন্যাজাল সোয়াব নিতে হয় সেটা নেয়া হয়নি। সেরকম ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় রাখার কথা সেটা হয়নি। কর্মীদের সক্ষমতাও একটা বড় ব্যাপার।”

তিনি বলছেন, ল্যাবের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। যে ল্যাব অল্প সময় হল পরীক্ষা শুরু করেছে তাদের গুছিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সময় লাগবে পারে।

“একটি নতুন টেকনিক অ্যাডাপ্ট করা, প্রশিক্ষিত কর্মী তারা পেয়েছে কিনা, পরীক্ষার জন্য যে রি-এজেন্ট দরকার হয় সেটার মান কেমন, হয়ত খরচ কমাতে নিম্নমানের রি-এজেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক রকমের ব্যাপার এখানে কাজ করে।”

তাহমিনা শিরিন জানিয়েছেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোর নমুনা পরীক্ষার ল্যাবগুলোর মান কেমন, সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে কিনা সেব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তাদের একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।

আইডিসিআরের একটি দল বেশ কটি বেসরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে দিয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, অনেক হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই, কোথাও কাজের গতি যেমন হওয়া উচিৎ সেটি নেই, প্রশিক্ষিত কর্মী নেই, একই যন্ত্রপাতি বিভিন্ন যায়গায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব হাসপাতালের ল্যাবে এরকম নানা রকম সমস্যা তারা দেখতে পেয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

পরীক্ষার মান পর্যবেক্ষণ

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলছেন, “যে কোন মেডিকেল পরীক্ষার নির্ভুল ফল পাওয়ার জন্য মান নিয়ন্ত্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমার জানা মতে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোথায় কীভাবে মান নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে সেটি যাচাই করার মতো কোন ব্যবস্থা কোথাও নেই।”

নির্ভুল ফল পাওয়ার জন্য মান নিয়ন্ত্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
নির্ভুল ফল পাওয়ার জন্য মান নিয়ন্ত্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

তিনি বলছেন, “নমুনা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন এটি একটি চেইনের মতো। সেখানেও নজরদারি নেই। যন্ত্রে নমুনা লোড করা পর্যন্ত এই চেইন ঠিকমতো কাজ না করলে নির্ভুল পরীক্ষার হার কমে আসে। যন্ত্র পর্যন্ত যাওয়ার আগে যে ব্যবস্থা, সেখানেই সম্ভবত কোন ঘাটতি রয়েছে।”

তিনি মনে করেন, করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য যে প্রচেষ্টা বাংলাদেশে দেখা গেছে, এর মান নিয়ন্ত্রণে সেরকম প্রচেষ্টা নেই।

ছয় মাস পরেও এসব অভিযোগ কেন?

একদম শুরুতে শুধুমাত্র সরকারের আইইডিসিআরের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হতো। এখন ল্যাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯০টি। অনেক বেসরকারি হাসপাতালও এখন সরকার নির্ধারিত ফি’র বিনিময়ে নমুনা পরীক্ষা করছে।

স্বভাবতই মনে হতে পারে, ছয় মাস পরে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা অনেক বাড়বে।

কিন্তু দেখা যাচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের ল্যাব থেকেই নানা ভুলের ঘটনা ঘটছে। ছয়মাস পার হওয়ার পরও এরকম অনিয়ম কীভাবে ঘটছে?

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সরকারের গঠিত ক্লিনিকাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির একজন উপদেষ্টা ডা. এম এ ফয়েজ।

তিনি বলছেন, পরীক্ষার কোন ধাপগুলো কীভাবে হবে, সকল ল্যাবকে একটি সেব্যাপারে একটি ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেডিওর’ দেয়া আছে।

“সেটা ঠিকমতো অনুসরণ করা না হলে ভুল হতে পারে। নমুনা অনেকবার হাত-বদল হয়, যে পদ্ধতিতে পরীক্ষা হচ্ছে তা বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বেই নতুন, কিছু কাজ মেশিনে, কিছু কাজ হাতে করতে হয়।”

“পুরো প্রক্রিয়ার মেকানিজম আরও জোরদার করা দরকার। আমরা চাই না একটা পরীক্ষায়ও যেন গলদ না হয়।”

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও আনুষ্ঠানিক কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা সূত্র জানিয়েছে তারাও এধরনের অভিযোগ পেয়েছেন এবং পরীক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

  • নির্ভুল ফল পাওয়ার জন্য মান নিয়ন্ত্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    নির্ভুল ফল পাওয়ার জন্য মান নিয়ন্ত্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

  • প্রশিক্ষিত কর্মী যথেষ্ট রয়েছে কিনা সেনিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

    প্রশিক্ষিত কর্মী যথেষ্ট রয়েছে কিনা সেনিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

  • ছয়মাস পার হয়ে গেলেও পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

    ছয়মাস পার হয়ে গেলেও পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

  • নমুনা সঠিকভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে কিনা তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে।

    নমুনা সঠিকভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে কিনা তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে।

  • নির্ভুল ফল পাওয়ার জন্য মান নিয়ন্ত্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
  • প্রশিক্ষিত কর্মী যথেষ্ট রয়েছে কিনা সেনিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
  • ছয়মাস পার হয়ে গেলেও পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
  • নমুনা সঠিকভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে কিনা তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে।
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com