আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

রয়ে সয়ে আমের স্বাদ

আম দিয়ে তৈরি করা যায় নানা পদ। মনমতো মসলা মেশালেই তৈরি হয়ে যায় নানা পদের কাঁচা বা পাকা আমের আচার ও আমসত্ত্ব।

বাদামের আমসত্ত্ব
উপকরণ
পাকা আমের মণ্ড ১ কাপ, চিনাবাদাম আধা কাপ, চিনি আধা কাপ বা স্বাদমতো, ঘি ১ চা-চামচ।
প্রণালি
পাকা আমের থেকে রস বের করে নিন। আমের মণ্ডের সঙ্গে চিনি মেশান। চুলায় মাঝারি আঁচে ঘন ঘন নাড়ুন, যেন পাত্রের নিচে লেগে বা পুড়ে না যায়। ছড়ানো কোনো পাত্র বা ডালায় ঘি ব্রাশ করে আমের মণ্ড ও বাদাম পাতলা করে ছড়িয়ে দিন। রোদে শুকাতে দিন। রোদ না থাকলে চুলার তাপে অথবা ওভেনে ১২০ ডিগ্রিতে ১ ঘণ্টা বেক করেও আমসত্ত্ব তৈরি করে নিতে পারেন। পছন্দমতো কেটে পরিবেশন করুন অথবা সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।

আমসত্ত্ব
উপকরণ
পাকা আম ২ কেজি, চিনি ১ কাপ, লবণ সামান্য (না দিলেও চলে), ঘি বা সরষের তেল ১ চা-চামচ।
প্রণালি
পাকা আমের রস বের করে ছেঁকে নিন, যাতে কোনো আঁশ না থাকে। এবার স্বাদমতো চিনি ও সামান্য লবণ মেশান। চুলায় মাঝারি আঁচে নাড়ুন, যেন পাত্রের নিচে লেগে পুড়ে না যায়। ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। ডালা অথবা ডালার মতো ছড়ানো কোনো পাত্রে ঘি অথবা সরিষার তেল ব্রাশ করে আমের সেদ্ধ মণ্ড পাতলা করে ছড়িয়ে রোদে দিন। রেখে দিন যতক্ষণ পর্যন্ত ভালোভাবে না শুকায়। এভাবে কয়েক লেয়ারে শুকাতে পারেন। রোদ না থাকলে চুলার নিচে দিয়ে শুকিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে বাতাস ঢুকবে না এমন বয়ামে রেখে সংরক্ষণ করুন।

আমের মোরব্বা
উপকরণ
কাঁচা আম ২ কেজি, চিনি ৩ কাপ, দারুচিনি ২ টুকরা, তেজপাতা ২-৩টি, এলাচি ২-৩টি, লবণ আধা চা-চামচ, খাবার চুন আধা চা-চামচ।
প্রণালি
কাঁচা আমের সবুজ আবরণ ও অাঁটি ফেলে দুই টুকরা অথবা লম্বা করে চার টুকরা করে নিন। কাঁটাচামচ দিয়ে ভালোভাবে কেচে নিন। দেড় লিটার পানিতে চুন মিশিয়ে আম কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এতে আমের টক বের হয়ে যাবে। এবার চুনের পানি থেকে তুলে সাধারণ পানি দিয়ে আম ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। আমের সঙ্গে চিনি, এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা ও সামান্য লবণ দিয়ে চুলায় পাত্র বসান। আম যখন কিছুটা লালচে ও চিনি ঘন হয়ে আসবে, তখন চুলা বন্ধ করে দিন। ঠান্ডা হলে বয়ামে ঢেলে সংরক্ষণ করুন।

আমের চাটনি
উপকরণ
কাঁচা আম ১ কেজি, চিনি ২ কাপ, পাঁচফোড়ন ১ চা-চামচ, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, সরিষাবাটা ১ চা-চামচ, তেজপাতা ১টি, কিশমিশ আধা কাপ, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, গুঁড়া করা শুকনা মরিচ ১ চা-চামচ।
প্রণালি
কাঁচা আম পাতলা করে টুকরা করে নিন। আমের সঙ্গে চিনি, সরিষাবাটা, লবণ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, তেজপাতা দিয়ে আম সেদ্ধ করে নিন। অন্য পাত্রে সরিষার তেল গরম করে পাঁচফোড়ন ও গুঁড়া করা শুকনা মরিচ ভেজে সেদ্ধ আম ও কিশমিশ ঢেলে নাড়ুন। চাটনির মতো ঘন হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে নিন।

কাঁচা আমের মসলাদার আমসত্ত্ব
উপকরণ
কাঁচা আম ১ কেজি, চিনি আধা কাপ, বিট লবণ ১ চা-চামচ, চাট মসলা ১ চা-চামচ, গুঁড়া করা শুকনা মরিচ ১ চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া সিকি চা-চামচ, সরিষার তেল ১ চা-চামচ।
প্রণালি


আমের বিচি ও সবুজ আবরণ ফেলে টুকরা করে সেদ্ধ করে নিন। ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। কাঁচা আমের পাল্পের সঙ্গে সব মসলা, চিনি ও লবণ মেশান। ডালা অথবা বেশি জায়গা আছে এমন একটি পাত্রে সরিষার তেল ব্রাশ করে পাতলা করে কাঁচা আমের মণ্ড বিছিয়ে রোদে শুকাতে দিন। চুলার আগুন মাঝারি আঁচে রেখে চুলার নিচে শুকাতে হবে। যখন পুরোপুরি শুকিয়ে যাবে, তখন ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন পুরো এক বছর।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com