ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কেবল খাদ্য নয়, সঠিক পানীয়ের গ্রহণও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ডায়েট অনুসরণ করার সময়, দিনে কী ধরনের এবং কতটা পানীয় গ্রহণ করছেন তার দিকেও সমানভাবে মনোযোগ দেওয়া দরকার। এমন নির্দিষ্ট কিছু পানীয় আছে যেগুলি খেলে, ওজন কমার প্রক্রিয়াতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। ১) প্যাকেটজাত ফলের রস ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ ফলের রস, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী।
ফলের রস শরীরের সমস্ত অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াগুলোকে ভালোভাবে সম্পন্ন করতে এবং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করে। তবে এই সকল উপকারিতাগুলো কেবল তাজা ফলের রসের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কারণ বাজারে কিনতে পাওয়া প্যাকেটজাত ফলের রসে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং প্রিজারভেটিভ থাকে, যা আমাদের ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। ২) মিষ্টি চা গ্রিন টি, হার্বাল টি অথবা কালো চা, এগুলি সবই স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী। তবে শর্ত একটাই, এই চা উপভোগ করার ক্ষেত্রে, চিনি কিংবা কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার করা যাবে না। মিষ্টি চা আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া বাজারের প্যাকেটজাত মিষ্টি আইস টির সেবনও এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এক বোতল মিষ্টি আইস টি-তে, ২০০ থেকে ৪৫০ ক্যালোরি বর্তমান, যা খুব সহজেই আপনার ডায়েট নষ্ট করে দিতে পারে।
৩) এনার্জি ড্রিংকস শরীরচর্চার পর ক্লান্তি দূর করতে আমরা অনেকেই, এনার্জি ড্রিংকস পান করতে পছন্দ করি। তবে চিনি এবং ফ্লেভার যুক্ত এনার্জি ড্রিংকস কখনই আদর্শ পানীয় নয়। স্পোর্টস ড্রিংকস কিংবা এনার্জি ড্রিংকসে, প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং কৃত্রিম স্বাদ যোগ করা থাকে, যা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। তাই ডাবের পানি কিংবা তাজা ফলের রস, প্রভৃতি পান করা যেতে পারে। ৪) অ্যালকোহল গ্রহণ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে, অ্যালকোহল গ্রহণের দিকে বিশেষ নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি। বেশিরভাগ অ্যালকোহলেই ক্যালোরির পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে এবং তার সঙ্গে যখন কোল্ড ড্রিকস মেশানো হয়, তখন ক্যালরির মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ৫) অপর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার ব্যাপারটা আমরা প্রায়ই অবহেলা করে থাকি। তবে শরীর সুস্থ রাখতে এবং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। পানি শরীরকে হাইড্রেট রাখে, টক্সিন বের করে দেয় এবং মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার জল পান করুন।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন