নিজের এই একান্ত ব্যক্তিগত ঘরটিকে সাজান পরম যতনে! জেনে নিন কয়েকটি উপায়
সারাদিন কাজের শেষে আরামে ঘুমানোর নিশ্চিন্ত ঠিকানা আপনার শোবারঘর। আর শুধু তো ঘুমানোর জন্য নয়, ধোঁয়াওঠা কাপে চুমুক থেকে জানলার ধারে বসে বই পড়া বা নরম গদিতে গা এলিয়ে ল্যাপটপে সিনেমা দেখা; মোট কথা আপনার রিল্যাক্সেশন স্পেস ওই বেডরুমটিই।
নিজের এই একান্ত ব্যক্তিগত ঘরটিকে তাই সাজান পরম যতনে। জেনে নিন কয়েকটি উপায়।
১.শোবারঘরের আনাচ-কানাচে থাক কিছু প্রাণের ছোঁয়া। ছোট টবে কয়েকটি ইনডোর প্ল্যান্ট রেখে দিন। ঘরের ডেকরেশনে রং আর প্যাটার্নের ছোঁয়া তো আনবেই, সঙ্গে মনকে তরতাজা অনুভব করাতেও গাছের জুড়ি নেই।
২.শোবারঘরে নাইট লাইট রাখা খুবই জরুরি। রাতে নানা কারণেই এর প্রয়োজন পড়তে পারে। সিলিং থেকে ঝোলানো পেনড্যান্ট লাইট, দেওয়ালে লাগানো আলো বা টেবল ল্যাম্প, ছোট্ট একটা আলোতেও রাখুন আপনার রুচিবোধের ছাপ। ঘরের লুক নিমেষে বদলে যাবে।
৩.বিছানাটা তো আরামদায়ক হতেই হবে! তাই দরকার নানা রকম শেপ ও সাইজের নরম বালিশ। বালিশগুলো যতটা সম্ভব একই রঙের ভেতর রাখুন। একটা বা দু’টো রঙের কম্বিনেশন বেছে নিয়ে সেটারই হালকা ও গাঢ় শেড মিলিয়ে বালিশ কিনুন।
৪.বিছানার পাশাপাশি ঘরে একটা লাউঞ্জ এরিয়া রাখার চেষ্টা করুন। স্বাভাবিকভাবেই, সব মাস্টার বেডরুমে এতটা অতিরিক্ত জায়গা না-ও থাকতে পারে। যদি আপনার বেডরুমে থাকে, তাহলে দু’টো আরামদায়ক সোফা-চেয়ার আর একটা ছোট্ট সেন্টার টেবলই যথেষ্ট। কাজ করা থেকে বই পড়া, যেকোনও কাজে প্রয়োজন হবে ওই স্পেসটুকুর। ছোট বেডরুমের জন্য ঘরের এক কোণায় একটা ছোট কিন্তু আরামদায়ক কাউচও রেখে দিতে পারেন।
৫.আর-একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ বেড সাইড টেবল। বিছানার দু’দিকেই সম্ভব না হলেও, অন্তত একদিকে একটা ছোট টেবল রাখতেই হবে। তাতে থাক একটা ছোট্ট পটেড প্ল্যান্ট, একটা টেবল ল্যাম্প ও একটা টেবল ক্লক। তবে টেবলের কিছুটা জায়গা অবশ্যই খালি রাখবেন। রাতে শোওয়ার সময় পানির বোতল থেকে শেষ মুহূর্তে ফোন বা বই রাখতে হতে পারে অনেক কিছুই।
৬.বাড়ির অন্য ঘরের দেওয়ালে যত খুশি রঙের ছোঁয়া রাখলেও, মাস্টার বেডরুমে দেওয়ালের রং রাখুন হালকা ও মনোরম। ঘরকে শান্ত এফেক্ট দেওয়ার জন্য সঠিক রঙ বাছা গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেওয়ালে কিছুটা প্যাটার্ন যোগ করাও দরকার। তাই বিছানার মাথার দিকের দেওয়ালে ক’টা পেন্টিং বা পছন্দের কোনও ফ্যাব্রিকও ফ্রেম করে লাগিয়ে রাখতে পারেন। অন়্য কোনও দেওয়ালে ছোট ছোট ফোটো ফ্রেম লাগাতে পারেন কোলাজ করে।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন