জাদুর কাঠি মুখে ছোঁয়াতেই এক নিমেষে দাগ, ব্রন, ডার্ক সার্কল সব ভ্যানিশ! তবে শেড আর ব্লেন্ডিং সঠিক না হলে কিন্তু ছন্দপতনের আশঙ্কা প্রবল!
নিজেকে নিখুঁত ও সুন্দর দেখাতে মেক-আপের জাদুর ছোঁয়ার ভূমিকা অপরিসীম। জাদুর কাঠি মুখে ছোঁয়াতেই এক নিমেষে দাগ-ছোপ, ব্রন, ডার্ক সার্কল সব ভ্যানিশ! তবে শেড আর ব্লেন্ডিং সঠিক না হলে কিন্তু ছন্দপতনের আশঙ্কাও প্রবল! তাই কনসিলার ব্যবহারের সহজ ও সঠিক পদ্ধতিগুলো জেনে নিন।
দ্য পারফেক্ট ম্যাচ
১. এক্ষেত্রে সবচেয়ে নিরাপদ উপায় যে ব্র্যান্ডের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করছেন, সেই ব্র্যান্ডেরই কনসিলার ব্যবহার করা। এতে শেড নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামানোর দরকার হবে না।
২. হাতের কাছে অবশ্যই দু’ শেডের কনসিলার রাখুন। একটি খুঁত ঢাকার জন্য, যা একেবারে আপনার ফাউন্ডেশনের শেডের সঙ্গে মিশে যাবে, আর দ্বিতীয়টা এক বা দু’শেড হালকা।
৩. হাইলাইট করতে চাইলে হালকা শেড আদর্শ। ফিনিশ এক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের মতোই হবে। তবে যদি একই ব্র্যান্ডের কনসিলার না পান বা ব্যবহার করতে না চান, সেক্ষেত্রে শেড ম্যাচ করা একটু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
৪. আমাদের ভারতীয় স্কিনটোনে ইয়েলো আন্ডারটোনের কনসিলার ভাল মানায়। মোটামুটি ফাউন্ডেশনের শেড অনুযায়ী মিলিয়ে কেনার চেষ্টা করুন।
৫. সাধারণত কনসিলার কেনার ক্ষেত্রে, আইডিয়াল শেডের চেয়ে বেশ খানিকটা হালকা শেড কিনে ফেলার ভুলই বেশি হয়। সেক্ষেত্রে কনসিলারের সঙ্গে অল্প ফাউন্ডেশন মিশিয়ে নিতে পারেন। শেডের তারতম্য অতটাও চোখে পড়বে না।
কনসিলার ব্লেন্ডিংয়ের পদ্ধতি
১. যদি খুব ন্যাচারাল মেক-আপ চান, তাহলে মুখের মাঝের অংশে সামান্য কনসিলার ব্লেন্ড করে নিলেই যথেষ্ট! প্রয়োজনীয় জায়গায় কয়েকটা কনসিলারের ডট এঁকে অনামিকা দিয়ে স্টিপলিং মোশনে বা চেপে চেপে বাকি অংশের সঙ্গে মিশিয়ে দিলেই ত্বক ইভন দেখাবে। সেক্ষেত্রে নির্দ্বিধায় ফাউন্ডেশন স্কিপ করতে পারেন।
২. খুঁত ঢাকতে হলে, একই শেডের কনসিলার নিন। এবার যে যে অংশে সমস্যা রয়েছে সেখানে খুব অল্প পরিমাণে কনসিলার ডট করে লাগান।
৩. কনসিলার ব্লেন্ড করার জন্য সবসময় “ড্যাবিং মোশন” ব্যবহার করুন। আর ভিজে স্পঞ্জ এক্ষেত্রে আদর্শ। অতিরিক্ত কনসিলার স্পাঞ্জ শুষে নেবে। তবে খুব বেশি ড্যাব করবেন না। তাতে কভারেজ কমে যেতে পারে। ফাউন্ডেশন বা চারপাশের ত্বকের সঙ্গে মিশে গেলেই যথেষ্ট।
৪. খুঁত ঢাকা হলে চোখের নিচ, কপালের মাঝখান, নোজব্রিজ ও থুতনিতে হালকা শেডের কনসিলার লাগান। এই অংশগুলো হাইলাইট করলে দেখতে ভাল লাগে। অনেকের মুখে স্মাইল লাইন জুড়েও কালচেভাব থাকে। সেক্ষেত্রে সেই অংশেও কনসিলার লাগাতে পারেন।
৫. চোখের নিচে উলটোনো ত্রিভুজাকারে কনসিলার লাগান। এতে ব্লেন্ড করা সহজ হবে।
৬. যদি হাইলাইট করার অংশেই খুঁত বা দাগছোপ থাকে, তাহলে আগে দাগ ঢেকে নিন। এরপর সামান্য লাইট কনসিলারের সাহায্যে তা হাইলাইট করুন।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন