আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

মানসিক স্বাস্থ্য ও আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর

আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি, অবনতি কিংবা ভারসাম্য শুধু শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভরশীল নয়। বরং আমরা সামাজিক স্বাস্থ্য, পরিবেশগত স্বাস্থ্য, আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্য ইত্যাদির ওপরও মানসিক স্বাস্থ্য গভীরভাবে নির্ভরশীল।

স্বাস্থ্য বলতে আমরা সাধারণত শারীরিক স্বাস্থ্যকেই বুঝে থাকি। কিন্তু কথা হলো, একজন মানুষ শুধু শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেই কি তাকে সুখী বলা যায় কিংবা ভালো আছে বলা যায়? সেটা কখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। কারণ মানুষ যেহেতু শরীর ও মনের সমন্বয়ে গঠিত, সেহেতু তাঁর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যও একই সুতায় গাঁথা এবং একটির সুস্থতা ছাড়া অপরটির সুস্থতা নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব।

আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি, অবনতি কিংবা ভারসাম্য শুধু শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভরশীল নয়। বরং আমরা যে সমাজে বাস করি সেটার সামাজিক স্বাস্থ্য, যে প্রাকৃতিক পরিবেশে বাস করি সেটার পরিবেশগত স্বাস্থ্য, যে ধর্মীয় বিশ্বাসের ভেতর বাস করি সেটার আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্য এবং যে রাজনৈতিক ক্ষমতা কাঠামোর ভেতর বাস করি সেটার রাজনৈতিক স্বাস্থ্য ইত্যাদির ওপরও মানসিক স্বাস্থ্য গভীরভাবে নির্ভরশীল। এখন আপনি নিজেই একটু চিন্তা করুন, আপনার মানসিক স্বাস্থ্য কোন অবস্থায় আছে?

জীবন ধ্বংসকারী হরেক রকম মানসিক স্বাস্থ্য–সমস্যার সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত হলেও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়টিকে আমাদের দেশে বেশ নতুনই বলা যায়। এ কারণে মানসিক স্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্য–সমস্যা এবং মানসিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বাজারে হরেক রকম ভুল ধারণা এবং রসাল গল্প প্রচলিত আছে। মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাগুলোর প্রতি মাত্রাতিরিক্ত নেতিবাচক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অনেকে এ ধরনের সমস্যায় ভুগলেও কারও কাছে প্রকাশ করতে চান না, যথাযথ মেডিকেল সাপোর্ট নেন না এই ভয়ে যে কেউ যদি আবার পাগল বলে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য–সমস্যা নিয়ে প্রথমবারের মতো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন, তাঁদের মধ্যে ৫.৭ শতাংশ মনে করেন মনোরোগ চিকিৎসকেরা তাঁদের পাগল হিসেবেই মূল্যায়ন এবং চিকিৎসা করবেন। অথচ এটি একটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। শরীরের ভেতর যেমন সমস্যা হয়, মনের ভেতরও তেমনি সমস্যা হতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্য–সমস্যা এবং চিকিৎসা বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য ও জ্ঞান না থাকার কারণে অনেকে এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য পীর, ফকির, ওঝা, কবিরাজ ও হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে যায় এবং অবৈজ্ঞানিক উপায়ে চিকিৎসা গ্রহণ করে, যেটার দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল বেশ খারাপ হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মানসিক স্বাস্থ্য বলতে একজন মানুষের ভেতর শুধু কোনো ধরনের মানসিক সমস্যা না থাকাকে বোঝায় না। বরং মানুষ হিসেবে নিজের সক্ষমতাকে অনুধাবন করার সক্ষমতা, আত্মনিয়ন্ত্রণের ভেতর দিয়ে সৃজনশীল ও উৎপাদনশীল কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকা, দৈনন্দিন জীবনের পারিপার্শ্বিক চাপের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে চলা এবং সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখার সক্ষমতাকে মানসিক স্বাস্থ্য বলে।

জিন/বংশগত ত্রুটি, নেতিবাচক পরিবেশে নেতিবাচক অভিজ্ঞতার ভেতর বেড়ে ওঠা, ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষণ প্রক্রিয়া/লার্নিং প্রসেস, দুর্বল পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক, দরিদ্রতা, নেতিবাচক প্রতিযোগিতার মানসিক চাপ, লোভ, ঘৃণা, মাত্রাতিরিক্ত আমিত্ববোধ, সর্বোপরি জীবন ও জগৎ সম্পর্কে অবাস্তব ও অসত্য দৃষ্টিভঙ্গির চর্চা ইত্যাদি মানসিক স্বাস্থ্য–সমস্যা তৈরিতে প্রধান প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।

জীবনে চলার পথে সবাই কমবেশি মানসিক জটিলতার ভেতর দিয়ে যায়। কেউ কেউ সেসব জটিলতাকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারে, আবার কেউ কেউ সেগুলোকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে ভেঙে পড়ে। আবার কেউ কেউ মোকাবিলা করতে গিয়ে সচেতন কিংবা অসচেতনভাবে এমন কিছু ত্রুটিপূর্ণ চিন্তা ও আচরণ করে, যা বিদ্যমান জটিলতাকে আরও গভীর সমস্যার দিকে নিয়ে যায়।

কিছু কিছু সমস্যা আছে যেগুলো সৃষ্টি হওয়ার পেছনে নেতিবাচক পরিবেশ, ত্রুটিপূর্ণ চিন্তা ও আচরণের ধরন, নেতিবাচক লাইফ-স্টাইল মূলত বেশি দায়ী থাকে; যেমন প্রাথমিক বিষণ্ণতা/ডিপ্রেশন, উদ্বিগ্নতা/অ্যানজাইটি, স্ট্রেস ইত্যাদি। আবার অন্যদিকে সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার, অবসেসিভ-কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার/শুচিবায়ু, অটিজম ইত্যাদির জন্য জেনেটিক্যাল/বংশগত কারণ একটু বেশি দায়ী থাকে।

মেডিকেল/সাইকিয়াট্রিক মডেল মানসিক স্বাস্থ্য–সমস্যাকে মূলত মানুষের মস্তিস্কের সমস্যা হিসেবে দেখে, যা মস্তিস্কের মধ্যে বিদ্যমান বিভিন্ন নিউরো-কেমিক্যাল উপাদানগুলোর মধ্যকার ভারসাম্যহীনতা থেকে তৈরি হয়। সাইকিয়াট্রিস্ট/মনোরোগবিদেরা ওষুধের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন।

সাধারণভাবে বলতে গেলে সব ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য–সমস্যাকে মেডিকেল/সাইকিয়াট্রিক এবং সাইকোলজিক্যাল মডেল থেকে বিশ্লেষণ করা হয় এবং ক্লায়েন্টের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে দুটি মডেলকেই সমন্বয় করে একই সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। মেডিকেল মডেলকে প্রতিনিধিত্ব করেন সাইকিয়াট্রিষ্ট/মনোরোগবিদেরা, যাঁরা এমবিবিএস পাস করে মনোরোগ বিদ্যার ওপর আলাদা ডিগ্রি নেন। অন্যদিকে সাইকোলজিক্যাল মডেলের প্রতিনিধিত্ব করেন সাইকোলজিষ্ট/মনোবিজ্ঞানীরা, যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স, মাস্টার্স, পিএইচডি ডিগ্রি নেন।
আপনার মনে এখন প্রশ্ন আসতে এই দুটি মডেলের দর্শন কী এবং মধ্যকার মূল পার্থক্যটি কী? হ্যাঁ, এদের মধ্যকার দর্শনগত জায়গা আলাদা এবং চিকিৎসার ধরনও আলাদা। মেডিকেল/সাইকিয়াট্রিক মডেল মানসিক স্বাস্থ্য–সমস্যাকে মূলত মানুষের মস্তিস্কের সমস্যা হিসেবে দেখে, যা মস্তিস্কের মধ্যে বিদ্যমান বিভিন্ন নিউরো-কেমিক্যাল উপাদানগুলোর মধ্যকার ভারসাম্যহীনতা থেকে তৈরি হয়। সাইকিয়াট্রিস্ট/মনোরোগবিদেরা ওষুধের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন।

অন্যদিকে সাইকোলজিক্যাল মডেল মানসিক স্বাস্থ্য–সমস্যাকে একজন মানুষের দীর্ঘদিনের ত্রুটিপূর্ণ চিন্তা প্রক্রিয়া, আচার-আচরণ ও নেতিবাচক পরিবেশের ফলাফল হিসেবে দেখে। সাইকোথেরাপি/কাউন্সেলিং/টকিং থেরাপির মাধ্যমে সাইকোলজিস্ট/মনোবিজ্ঞানীরা সমস্যা সারানোর চেষ্টা করেন। মনের উৎপত্তিস্থল হলো শরীর, আবার শরীর চলে মনের ইশারায়। তাই সব ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য–সমস্যাকে মস্তিস্ক ও মন উভয় প্রেক্ষাপট থেকে বোঝার এবং সমাধানের চেষ্টা করা হয়।

‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য, অধিকতর বিনিয়োগ—অধিকতর সেবাপ্রাপ্তির সুযোগ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ১০ অক্টোবর সারা বিশ্বে পালিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। সারা বিশ্বের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যাগুলোর মধ্যে ১৩ শতাংশ হলো মানসিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যা। করোনা মহামারি, লকডাউন, মানুষের মৃত্যু, অর্থনৈতিক বিপর্যয় ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে মানসিক স্বাস্থ্য–সমস্যা সারা বিশ্বে আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।

সাইকোলজিক্যাল মডেল মানসিক স্বাস্থ্য–সমস্যাকে একজন মানুষের দীর্ঘদিনের ত্রুটিপূর্ণ চিন্তা প্রক্রিয়া, আচার-আচরণ ও নেতিবাচক পরিবেশের ফলাফল হিসেবে দেখে। সাইকোথেরাপি/কাউন্সেলিং/টকিং থেরাপির মাধ্যমে সাইকোলজিস্ট/মনোবিজ্ঞানীরা সমস্যা সারানোর চেষ্টা করেন। মনের উৎপত্তিস্থল হলো শরীর, আবার শরীর চলে মনের ইশারায়। তাই সব ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য–সমস্যাকে মস্তিস্ক ও মন উভয় প্রেক্ষাপট থেকে বোঝার এবং সমাধানের চেষ্টা করা হয়।

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ বিভিন্ন ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য–সমস্যায় ভুগছে তার হালনাদাদ কোনো গবেষণা নেই বললেই চলে। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনিস্টিটিউট কর্তৃক ২০০৩-২০০৫ সালে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে ১৬.০৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। ২০০৯ সালের একটি গবেষণা রিপোর্টে দেখা গেছে, দেশের ১৮.০৪ শতাংশ শিশু মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। অথচ এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল আছে মাত্র দুটি।

এ ছাড়া বিভাগীয় পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে মনোরোগ বিভাগ থাকে, যেখান থেকে খুবই স্বল্প পরিসরে চিকিৎসা দেওয়া হয়। দেশের মাত্র ০.১১ শতাংশ মানুষ মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পায়। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সুযোগ যতটুকু আছে, সেটুকুও যথাযথভাবে দেওয়া যাচ্ছে না সাইকিয়াট্রিস্ট এবং সাইকোলজিস্টের মধ্যকার দুর্বল পেশাগত সম্পর্ক এবং দুর্বল একাডেমিক সম্পর্কের কারণে।

যাহোক, অনেক তাত্ত্বিক কথাবার্তা বলে ফেললাম, এবার বাস্তবতায় আসি। যে দেশের মানুষ ন্যূনতম শারীরিক স্বাস্থ্যসেবাই ঠিকঠাকমতো পায় না, সেখানে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কথা বলাটা আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর নেওয়ার মতো হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে পাঠকের মনে আমার নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক আছে কি না, সে বিষয়েও সন্দেহ হতে পারে।

সে সন্দেহের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই, মানব-মনের নিজস্ব কিছু নিয়মনীতি/ধরন আছে, যেগুলোর ওপর ভিত্তি করে মন সব সময় চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে চলার চেষ্টা করে এবং চলতে চলতে যদি কখনো সেই ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় কিংবা হুমকির মুখে পড়ে, তবেই মনের ভেতর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে মন কিন্তু জাত–ধর্ম–বয়স–লিঙ্গ–পেশা ইত্যাদি বিবেচনা করে সমস্যায় পড়ে না। মন, মনের সমস্যা এবং মনের যত্ন যেহেতু একটি সর্বজনীন বিষয়, পাশাপাশি আমরা যেহেতু সমুদ্র উপকূলের মানুষ, সেহেতু সামান্য আদার ব্যাপারী হওয়া সত্ত্বেও জাহাজের খবর নিতেই পারি।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com