পনের শতক থেকে উত্তর সাগরের নৌপথের একটি গুরুত্বপূর্ণ নোঙর ক্ষেত্র নেদারল্যান্ডসের টেসেল দ্বীপ। যে দ্বীপটির এখনকার পরিচিতি ভেড়ার রাজ্য হিসেবে। যেখানে রয়েছে পারিবারিক খামারের ঐতিহ্য আর ভেড়ার দুধের পনিরের আকর্ষণ।
উঁচুনিচু সবুজ প্রান্তরে ভেড়ার পাল। দূর থেকে দেখে যেনো মনে হয় সাদা সাদা মুক্তাদানা চলমান। টেসেলের এই সৌন্দর্য্যের সঙ্গে মিশে আছে বাণিজ্যিক ও পারিবারিক খামারের এক ঐতিহ্য। ১৩ হাজার অধিবাসীর টেসেলে ভেড়াও আছে মানুষের সমান।
ডো ওয়াডেল শিপ ফার্মের মালিক ইয়ান জানান, ভেড়া পালনকে শুধু খামারিরা নয় বরং নেদারল্যান্ডস সরকার বেশ গুরুত্ব দেয়। এর ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। এই ভেড়া পালন টেসেলকে চমৎকার একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে।
হেক্টরপ্রতি ১০ টির বেশি ভেড়া পালন নিষেধ, ৫০ হেক্টও জমির মালিক ইয়ান মাঝারি খামারি হিসেবে পালন করতে পারছেন ৫’শ টি ভেড়া।
টেসেলের ‘ছোট লেজের ভেড়া’ বিশ্ববিখ্যাত। তা মাংসের জন্য যতখানি, তার চেয়ে বেশি সুস্বাদু পনিরের জন্য। বেশিরভাগ খামারের সঙ্গেই রয়েছে পনিরের কারখানা। এসব কারখানাই নেদারল্যান্ডসকে পরিণত করেছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পনির রপ্তানিকারক দেশে।
ডো ওয়াডেল ফার্মের আরেক স্বত্তাধিকারী মারিয়ানা জানান, এখানে ঐতিহ্যবাহী কায়দায় পনির তৈরি করা হয়। যন্ত্রপাতি থাকলেও মূল কাজটি করতে হয় হাতে।
বাংলার মতো দুধে-ভাতের স্বপ্ন এখানে নেই, তবে পনির রুটির অদ্ভুত সুখে আছে একেকটি খামারি পরিবার।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন