সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে ডিমের জুড়ি মেলা ভার। যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন, এটি খেতে চমৎকারই লাগবে। বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে ডিম রান্নার নানা পদ্ধতি রয়েছে। তবে আপনি কি জানেন যে, ডিম রান্নার ধরনের উপর এর ক্যালোরি বৃদ্ধি কিংবা হ্রাস নির্ভর করে। রান্নার ধরনই আপনার প্রিয় সুস্বাদু খাবারকে স্বাস্থ্যকর বা অস্বাস্থ্যকর করতে পারে। এমনটাই প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ডিম কেন এত স্বাস্থ্যকর? ডিম প্রোটিনে ভরপুর থাকে। অ্যামাইনো অ্যাসিডের উপস্থিতি একে প্রোটিনের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উৎস করে তোলে। তাছাড়া ডিম সেলেনিয়াম, ভিটামিন ডি, বি ৬, বি ১২, দস্তা, আয়রন এবং তামা জাতীয় খনিজ সমৃদ্ধ।
লুটিন এবং জেক্সানথিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, ম্যাকুলার অবক্ষয় এবং ছানি ছত্রাককে প্রতিরোধ করতে পারে ডিম। ডিমে থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। তবে ডিম আপনি কীভাবে খাচ্ছেন তা অনেক পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।
ভাজা ডিম স্বাস্থ্যকর না অস্বাস্থ্যকর? প্রতিদিন ডিম খেলে তা আপনার জন্য বিরক্তিকর মনে হতে পারে। তবে আপনি কীভাবে এটি তৈরি করেন, তার উপর নির্ভর করে এটি আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর হবে না-কি অস্বাস্থ্যকর।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কোনো অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্যের সমস্যা না থাকে তবে যে কেউ প্রতিদিন ডিম খেতে পারে। বিশেষত, ডিম শিশুদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। এটি নানারকম পুষ্টি জোগানো ছাড়াও পেশীর টিস্যুগুলোকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করতে পারে। তবে, একটি ভাজা ডিমের মধ্যে ৯০ ক্যালোরি, ৭.০৪ গ্রাম ফ্যাট এবং ৬.২৭ গ্রাম প্রোটিন থাকতে পারে এবং এতে কার্বস কম থাকে। ক্যালোরির পরমিাণ তেল বা অন্যান্য উপাদান ব্যবহারের কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। আদর্শ ওজন বজায় রাখতে একজন নারী সর্বোচ্চ ১৫০০ ক্যালোরি গ্রহণ করতে পারে এবং পুরুষদের জন্য এটি দিনে ২০০০ ক্যালোরি পর্যন্ত হতে পারে।
আপনার যদি ক্রনিক কোনো রোগ যেমন হৃদযন্ত্রের সমস্যা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি থাকে তবে ভাজা ডিম আপনার জন্য উপকারী নয়। এ ধরনের কোনো সমস্যা না থাকলে ভাজা ডিম উপকারী নাস্তা হতে পারে। কারণ তেল যোগ করার ফলে ক্যালোরির সংখ্যা বাড়বে।
সুতরাং, ডিম খাওয়ার সর্বোত্তম উপায় হলো সেদ্ধ করে খাওয়া। কুসুম বাদ দিয়ে খেলে ভালো। কারণ ডিমের কুসুমে চর্বি রয়েছে এবং এটি খারাপ কোলেস্টেরলের স্তর বৃদ্ধি করতে পারে।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন