বড়দিন আসতে আর খুব বেশি দেরি নেই। কেক আর কুকিজ ছাড়া বড়দিনের আনন্দ ইতিহাসে কখনো হয়নি। সামনের দিনেও হবে না। কেনা কেক তো পাবেনই। বড়দিন উপলক্ষে বাড়িতেই বানাতে পারেন পাঁচতারকা হোটেলের মতো কেক, কুকিজ ইত্যাদি। কৃতজ্ঞতা দা ওয়েস্টিন, ঢাকাবিজ্ঞাপন
ক্রিসমাস কেক
উপকরণ
শুকনো ফল (ড্রাই ফ্রুটস) ৮০০ গ্রাম, শুকনো অ্যাপরিকট ১০০ গ্রাম, ডুমুর ফল ২০০ গ্রাম, চেরি ৮০ গ্রাম, মাখন ২০০ গ্রাম, ময়দা ২০০ গ্রাম, ডিম ২০০ গ্রাম, বেকিং পাউডার ৩ গ্রাম, বেকিং সোডা ৩ গ্রাম, দারুচিনি ৩ গ্রাম, ওয়ালনাট ১২০ গ্রাম, ডিমের সাদা অংশ ৩০ গ্রাম, মিক্সড স্পাইস (শুধু কেকের জন্য ব্যবহার করা হয়) ৩ গ্রাম ও আইসিং সুগার ২৫০ গ্রাম।
প্রণালি
একটি বাটিতে ডিম ফেটিয়ে নিন। এর সঙ্গে মাখন এবং চিনি মিশিয়ে নিন যতক্ষণ না মিশ্রণটি পাতলা হয়ে আসে। এবার শুকনো ফলগুলো দিয়ে দিন। এরপর পুরো মিশ্রণটি ৩৫ মিনিটের জন্য ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বেক করে নিন। বেক হয়ে গেলে ঠান্ডা হওয়ার জন্য ২ ঘণ্টা রেখে দিন। ব্যস, এখন ক্রিসমাসের উপকরণ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
স্ট্রবেরির ক্রিসমাস লগ
উপকরণ
চিনি ১০০ গ্রাম, ডিম ২০০ গ্রাম, ময়দা ৭৫ গ্রাম, স্ট্রবেরির সিরাপ ৩০ মিলি, লাল ফুড কালার ২ মিলি, ডিমের সাদা অংশ দিয়ে ফেটিয়ে নেওয়া ক্রিম ৪৫০ গ্রাম ও সাজানোর উপকরণ।
প্রণালি
প্রথমেই চিনি এবং ডিম নিয়ে তাতে একে একে স্ট্রবেরির সিরাপ, খাবার রং আর ময়দা হাত দিয়ে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ২২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বেক করুন ছয় ঘণ্টার জন্য। বেক করার পর এক ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন।বিজ্ঞাপন
চকলেট হাউস
উপকরণ
ডার্ক চকলেট ৫০০ গ্রাম, ডিমের সাদা অংশ ৩০ গ্রাম, আইসিং সুগার ২৫০ গ্রাম ও সাজানোর উপকরণ ইচ্ছেমতো।
প্রণালি:
ডার্ক চকলেট গলিয়ে প্লাস্টিকের একটা শিটের ওপর মাখিয়ে নিন। মাখানো হয়ে গেলে পছন্দের আকৃতি অনুযায়ী কেটে নিন। সব শেষে ডিমের সাদা অংশ ও আইসিং সুগার দিয়ে জোড়া লাগিয়ে নিন। ডিমের সাদা অংশ ও আইসিং সুগার আঠালো বলে টুকরোগুলো সহজেই লেগে থাকবে।
এবার চকলেট হাউসের ওপর শান্তা ক্লজের পুতুল বা ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন।
ক্রিসমাস পুডিং
উপকরণ
মাখন ৮০০ গ্রাম, গুঁড়ো করে নেওয়া রুটি ৮০০ গ্রাম, কিশমিশ ২০০ গ্রাম, লেবুর চামড়া ৫০০ গ্রাম, চেরি ৮০০ গ্রাম, লেমন জেস্ট ১০ গ্রাম, চিনি ৫০০ গ্রাম, ডিম ২০০ গ্রাম, আইসিং সুগার ২৫০ গ্রাম, লেবুর রস ১০ মিলিলিটার, ডিমের সাদা অংশ ৩০ গ্রাম, মিক্সড স্পাইস ১০ গ্রাম ও সাজানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ।
প্রণালি
সব উপকরণ একটি বাটিতে নিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৩৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। বেক হওয়ার পর ১ ঘণ্টার জন্য রেখে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে পুডিংয়ের ওপর সাজানোর উপকরণ দিয়ে তৈরি করে নিন ঝটপট।
শুরুতেই মাখন, আইসিং সুগার, ময়দা, ভ্যানিলা অ্যাসেন্স একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। একটি চারকোনা আকৃতির পাত্রে মিশ্রণটি ঢালুন। এরপর ১২ মিনিটের জন্য ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বেক করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে এতে আপেল ফিলিং দিয়ে নিন। এর ওপর একে একে বেক করা কুকি, ফেটিয়ে নেওয়া ক্রিম দিতে হবে।
এখন ডার্ক এবং হোয়াইট চকলেট একসঙ্গে মিশিয়ে বেক করা কেকের ওপর দিন। কাজটি হয়ে গেলে আট ঘণ্টার জন্য রেফ্রিজারেটরে রাখুন। সব শেষে কোল্ড জেল আর বেগুনি ফুড কালার দিয়ে পরিবেশন করুন। চাইলে এক-দুটি স্ট্রবেরি তাহিতি কেকের ওপর দিতে পারেন।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন