স্বাস্থ্য সচেতনরা দৈনিক বাদাম খান। অবসর সময় গরম গরম বাদাম ভাজা খেতে কে না পছন্দ করেন! ওজন কমানো থেকে শুরু করে ডায়াবেটিসসহ নানা রোগ বশে রাখার কার্যকরী এক খাবার হলো বাদাম।
এক মুঠো বাদাম বড় খিদের ছোট সমাধান। সব সময় সঙ্গেও রাখা যায় বাদাম, আবার সহজলভ্যও বটে। ঠিক যেমন চিনাবাদাম সব জায়গায় পাওয়া যায়, আবার এটি দামেও সস্তা। তবে এর উপকারিতা কিন্তু অনেকে।
আজ জাতীয় চিনাবাদাম দিবস। জানলে অবাক হবেন, বাদাম নাম হলেও চিনাবাদাম অনেকটা শিমের মতো। চিনাবাদাম আসলে শিমজাতীয় বীজ। চিনাবাদাম মাটির নীচে জন্মায়।
প্রায় ৩৫০০ বছর আগে দক্ষিণ আমেরিকায় চিনাবাদামের উৎপত্তি ঘটে। ১৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে উত্তর আমেরিকায় চিনাবাদাম সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তখনও চিনাবাদাম বাণিজ্য শুরু হয়নি।
আমেরিকার বিখ্যাত পি.টি.বার্নামের উদ্যোগে তার সার্কাস অনুষ্ঠানে প্রথম চিনাবাদাম ভাজা বিক্রি শুরু হয়। এরপর থেকে স্ন্যাকস হিসেবে চিনাবাদামের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
পি.টি.বার্নামের উদ্যোগে বিভিন্ন বেসবেল গেমের সময়ও বিক্রি করা হতো বাদাম। তখনও আমেরিকানরা অবসর কাটাতে বেসবল গেম খেলা দেখতেন।
১৯০৪ সালে সেন্ট লুইস ওয়ার্ল্ডস মেলায় পিনাট বাটার বিক্রি শুরু হয়। তখন থেকেই শুরু। এরপর চিনাবাদাম বাণিজ্যিকভাবে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এখন প্রায় সবদেশেই চিনাবাদাম উৎপাদন করা হয়।
বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিনাবাদাম খামারের মূল্য প্রায় এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এটি খুব লাভজনক একটি ব্যবসা।
চিনাবাদাম কেন খাবেন?
>> চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কার্বো-হাইড্রেট ও প্রোটিন থাকেআছে। প্রতিদিন এক মুঠো চিনাবাদাম খেলে শরীর অনেক অসুখ থেকে বাঁচবে।
>> শরীরের মাত্রাধিক কোলেস্টেরল হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধি ও ডায়াবেটিস এর মতো কঠিন রোগ সৃষ্টি করে। চিনাবাদামের অসাধারণ কার্যকরী ফ্যাট শরীর থেকে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
>> এই বাদাম শরীরের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন একমুঠো চিনাবাদাম খেলে পেটও দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকবে আবার ওজনও কমবে।
>> রাতে ১০-১৫টি বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। চিনাবাদামের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস নির্মূলে বিশেষভাবে কার্যকরী।
>> চিনা বাদামে প্রচুর পরিমাণ বি ৩ আছে। যা মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। প্রতিদিন চিনাবাদাম বা এর মাখন খেলে মস্তিস্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
>> শরীরে সঠিক পরিমাণ পুষ্টি না থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। চিনাবাদামের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরে কঠিন রোগকে বাসা বাধতে বাঁধা দেয়। তাই প্রতিদিন চিনাবাদাম খেয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান।
>> এছাড়াও ক্যানসারের মতো রোগ দূরে রাখে বাদাম। এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্যানসারের কোষকে বেড়ে উঠতে দেয় না। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
>> চিনাবাদামে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের অ্যাক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে কোষদের ক্ষত রোধ করে। একইসঙ্গে ত্বকের বয়স কমাতেও সাহায্য করে থাকে।
>> হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় চিনাবাদাম। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বাদামে উপস্থিত ফসফরাস শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু কাজ করে যার প্রভাবে হাড়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন