আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

পেয়ারা ও এর পাতা বশে রাখবে ডায়াবেটিস!

বাজারে এখন পেয়ারা সহজলভ্য। পেয়ারা খেতে ছোট-বড় সবাই পছন্দ করেন। শুধু স্বাদেই নয় এ ফলের স্বাস্থ্যগুণও অনেক। শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে পেয়ারা।

জানলে অবাক হবেন, শুধু পেয়ারা নয় এর পাতাও স্বাস্থের জন্য উপকারী। বিশেষ করে ডায়াবেটিস সারাতে পেয়ারা ও এর পাতা দুর্দান্ত কার্যকরী।

পেয়ারা ও এর পাতায় আছে হাইপোগ্লাইসেমিক বা গ্লুকোজবিরোধী প্রভাব। যা রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পেয়ারায় থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড।

jagonews24

এতে আরও আছে বেশ কিছু ক্যারোটিনয়েড (এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট) যেমন বিটা-ক্যারোটিন, লাইকোপিন, লুটিন, গামা-ক্যারোটিন, বিটা-ক্রিপ্টক্সানথিন, ক্রিপ্টো ফ্ল্যাভিন, রুবিক্সানথিন ও নিওক্রোম।

এছাড়াও পেয়ারায় আছে ফেনোলিক যৌগ। যেমন- অ্যান্থোসায়ানিনস, মাইরিসেটিন ও এলাজিক এসিড। পেয়ারায় আরও আছে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যেমন- লোহা, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস।

একইসঙ্গে পেয়ারা পাতায় আছে অনেক মাইক্রো, ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টস ও বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগ। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পেয়ারা পাতায় ১৮.৫৩ শতাংশ প্রোটিন, ১০৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ১৭১৭ মিলিগ্রাম গ্যালিক অ্যাসিড আছে।

jagonews24

এছাড়াও পেয়ারা পাতায় আছে পলিস্যাকারাইড, প্রোটিন, কোয়ারসেটিন, ফ্ল্যাভোনয়েডস, গ্যালিক অ্যাসিড, ক্যাফিক অ্যাসিড, ফেরুলিক অ্যাসিড, ক্যাটেচিন, কেমফেরল, এপিকেটেকিন ও হাইপারিন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারার উপকারিতার বিষয়ে কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন পেয়ারা খেলে কমে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। আরেকটি গবেষণা অনুসারে, ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে। একইসঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বশে থাকে। যা হৃদরোগের জটিলতা কমায়।

পেয়ারা শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। উচ্চ ফাইবারসমৃদ্ধ পেয়ারায় থাকে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন (এক ধরনের ডায়েটারি ফাইবার)। যা অন্ত্রের মাধ্যমে গ্লুকোজ শোষণে বিলম্ব করে, ফলে শরীরে হঠাৎ করে চিনি বৃদ্ধি পায় না।

jagonews24

এছাড়াও পেয়ারা ফ্লেভোনয়েড গ্লাইকোসাইড সমৃদ্ধ। এটি শক্তিশালী এক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ডায়াবেটিসবিরোধী ফ্ল্যাভোনয়েড হিসেবে বিবেচিত, যেমন- স্ট্রিক্টিনিন, ইসোস্ট্রিক্টিনিন ও পেডুনকুলাগিন। এসব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

ইউএসডিএ অনুসারে, ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ২২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে। ম্যাগনেসিয়াম ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে বিরাট ভূমিকা রাখে। এর ফলে পেরিফেরাল টিস্যু, কার্ডিয়াক টিস্যু, কঙ্কালের টিস্যু ও অ্যাডিপোজ টিস্যুতে সহজেই ইনসুলিন প্রবেশ করতে পারে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস পায়। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে।

শুধু পেয়ারা নয় পেয়ারার পাতাতেও ডায়াবেটিসবিরোধী উপাদান আছে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানেআজও ওষুধ হিসেবে পেয়ারার পাতা ব্যবহৃত হয়। পেয়ারা পাতায় ডায়াবেটিসবিরোধী প্রভাব আছে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর বলে বিবেচিত। যদিও এ বিষয়ে এখনও গবেষণা চলছে।

jagonews24

খাবার পরে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে পেয়ারা পাতার নির্যাস পান করতে পারে। এক্ষেত্রে পেয়ারার পাতা পরিষ্কার করে ১০-১২ মিনিট পানিতে ফুটিয়ে তা চায়ের মতো পান করতে পারেন। এই পানীয়তে থাকে অ্যালজিক অ্যাসিড, সায়ানিডিন ও অন্যান্য পলিফেনল। খাবারের পর এটি সেবনে রক্তে শর্করার পরিমাণ ৩৭.৮ শতাংশ কমে যায়।

কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, ডায়াবেটিস রোগীরা যদি ৫-৭ সপ্তাহের জন্য পেয়ারা পাতার চা নিয়মিত পান করেন তাহলে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক থাকবে, নেফ্রোপ্যাথি ও স্থূলতার মতো ডায়াবেটিস জটিলতা কমায়। এমনকি লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করতেও পেয়ারা পাতার চা খেতে পারেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবার খাওয়ার পর ডায়াবেটিস রোগীর উচিত পেয়ারা পাতার চা পান করা। কখনও খালি পেটে পেয়ারা খাবেন না। কারণ এটি অম্লীয় প্রকৃতির, তাই পেটে অ্যাসিড উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে। পেয়ারা খাওয়ার সর্বোত্তম সময় হলো খাবারের মাঝে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com