পাকা আমের হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। ভিটামিন এ, বি, সি, ই সমৃদ্ধ পাকা আম শরীর এমনকি ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও খুবই উপকারী। ২০ ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল আছে এই ফলে। এখন পাকা আমের মৌসুম। এ সময় সবার ঘরেই নিশ্চয়ই পাকা আমের গন্ধে ম ম করছে!
চাইলে কিন্তু খাওয়ার পাশাপাশি পাকা আম মুখেও মাখতে পারেন। এতে লাভবান হবেন আপনিই। কারণ পাকা আমের গুণাগুণ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে। ব্রণ থেকে ত্বকের কালচে দাগসহ রুক্ষ-শুষ্ক ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন আম।
বিশেষ করে গরমের এ সময় ত্বক হয়ে পড়ে নাজুক। এ ছাড়াও বাইরের খরতাপে ত্বকে সানট্যান পড়ার সমস্যা তো আছেই। সব মিলিয়ে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে আজই ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নিতে ব্যবহার করুন পাকা আম। জেনে নিন পাকা কীভাবে ত্বকে ব্যবহার করবেন।
ওটমিল ও আমের ফেসপ্যাক
এই ফেস প্যাকটি ত্বকের মৃতকোষ দূর করে সহজেই। ওটমিল ও আম ত্বকের প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। এজন্য পাকা আম চটকে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন।
এর সঙ্গে ওটমিলের গুঁড়ো মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন ১৫ মিনিট। এরপর স্ক্রাবিং করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মহূর্তেই ত্বকে উজ্জ্বলতা ধরা দেবে।
আম ও মধুর ফেস প্যাক
এই ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বককে মসৃণ এবং টোনড রাখতে সহায়তা করবে। যাদের ব্রণপ্রবণ ত্বক; তাদের জন্য এই ফেসপ্যাকটি বিশেষ কার্যকরী। কারণ এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
এজন্য প্রথমে পাকা আম চটকে এর সঙ্গে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এরপর মুখ পরিষ্কার করে ফেসপ্যাকটি ত্বকে ব্যবহার করুন। ২০ মিনিট ত্বকে রেখে এরপর ধুয়ে ফেলুন।
বেসন এবং আমের ফেস প্যাক
পাকা আম যেন পুষ্টিগুণে ভরপুর; ঠিক তেমনই বেসনেও আছে অনেক উপকার। গরমে যাদের ত্বকে সানট্যান পড়ে; তাদের জন্য এই ফেস প্যাক খুবই উপকারী। মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং বাকি উপাদানগুলোও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।
এজন্য পাকা আম মিহি করে চটকে নিয়ে এর সঙ্গে বেসন ও আখরোটের গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মেশান। এই ফেসপ্যাকটি পরিষ্কার ত্বকে লাগান ১৫ মিনিটের জন্য। পরে স্ক্রাব করে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই ফেসপ্যাকগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি পাবেন জেল্লাদার কোমল ও দাগহীন ত্বক।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন