নিশ্চয়ই জানেন, পানির অপর নাম জীবন। তথ্যটি আসলেই সঠিক। কারণ পানি কেবল আমাদের তৃষ্ণাই মেটায় না, আমাদের দেহকে নানা রোগ থেকে দূরেও রাখে। তাইতো সুস্থ থাকার জন্য আমাদের সবারই পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি।
এদিকে, দেশে আবারো বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। রোগী সনাক্ত বাড়ছে রেকর্ড পরিমাণ, পাশাপাশি মৃত্যুবরণ করছেন অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখার বিকল্প নেই। এসময় আপনাকে সুস্থ থাকতে দারুণভাবে সহায়তা করবে পানি । তবে ঠাণ্ডা নয়, গরম পানির রয়েছে আশ্চর্য উপকারিতা।
অনেকেই হয়ত ভাবছেন, এই গরমে আবার গরম পানি পান করলে পিপাসা মিটবে না। তবে এই ধারণা ভুল, এই সময় ঠাণ্ডা পানির বদলে হালকা গরম পানি পান করে তেষ্টা মেটানোই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সারাদিন হালকা গরম পানিতে গলা ভেজালে এই সময় আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন।
একদল জাপানি চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন যে, কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে গরম পানি ১০০% কার্যকর।
তাই করোনার এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে নিজের ও পরিবারের সুস্থতা বজায় রাখতে গরম পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক গরম পানি পানের উপকারিতাগুলো-
>> মাইগ্রেন
>> উচ্চ রক্তচাপ
>> নিম্ন রক্তচাপ
>> জয়েন্ট এর ব্যথা
>> হঠাৎ হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি এবং হ্রাস
>> মৃগী
>> কোলেস্টেরলের মাত্রা
>> কাশি
>> শারীরিক অস্বস্তি
>> গাটের ব্যথা
>> হাঁপানি
>> ফোঁস কাশি
>> শিরায় বাধা
>> জরায়ু ও মূত্র সম্পর্কিত রোগ
>> পেটের সমস্যা
>> ক্ষুধার সমস্যা
>> মাথাব্যথা
>> এছাড়াও চোখ, কান এবং গলা সম্পর্কিত সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি দেয় গরম পানি।
কীভাবে গরম পানি পান করবেন?
নিয়মিত রাত ১০ থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে প্রায় ২ গ্লাস গরম পানি পান করতে হবে। প্রথম দিকে ২ গ্লাস পানি পান করতে সক্ষম নাও হতে পারে কেউ তবে আস্তে আস্তে এটি করতে পারবে।
মনে রাখা জরুরি যে, গরম পানি পান করার পরে ৪৫ মিনিট কোনো কিছুই খাওয়া যাবে না।
গরম পানি থেরাপি যুক্তি সঙ্গত সময়ের মধ্যে যে সমস্ত স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর সমাধান করবে, নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো –
>> ৩০ দিনের মধ্যে ডায়াবেটিস
>> ৩০ দিনের মধ্যে রক্তচাপ
>> ১০ দিনের মধ্যে পেটের সমস্যা
>> ৯ মাসের মধ্যে সমস্ত ধরণের ক্যান্সার
>> ৬ মাসের মধ্যে শিরার বাধার সমস্যা
>> ১০ দিনের মধ্যে ক্ষুধা জাতীয় সমস্যা
>> ১০ দিনের মধ্যে জরায়ু এবং এর সম্পর্কিত রোগগুলো
>> ১০ দিনের মধ্যে নাক, কান এবং গলার সমস্যা
>> ১৫ দিনের মধ্যে মহিলাদের সমস্যা
>> ৩০ দিনের মধ্যে হৃদরোগ জাতীয় সমস্যা
>> ৩ দিনর মধ্যে মাথাব্যথা / মাইগ্রেন সমস্যা
>> ৪ মাসের মধ্যে কোলেস্টেরল সমস্যা
>> ৯ মাসের মধ্যে মৃগী এবং পক্ষাঘাত সমস্যা
>> ৪ মাসের মধ্যে হাঁপানি সমস্যা
ঠাণ্ডা পানি কেন পান করবেন না?
জানেন কি, পানি পান করা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে! যদি অল্প বয়সে ঠাণ্ডা পানি প্রভাবিত না করে, তবে এটি বৃদ্ধ বয়সে ক্ষতি করবেই। চলুন জেনে নেয়া যাক ঠাণ্ডা পানি পানের ক্ষতিকর দিকগুলো-
>> ঠাণ্ডা পানি হার্টের চারটি শিরা বন্ধ করে দেয় এবং হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়। এক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ হচ্ছে কোল্ড ড্রিংকস।
>> এটি লিভারেও সমস্যা তৈরি করে। এটি লিভারের সঙ্গে ফ্যাট আটকে রাখে। লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের অপেক্ষায় থাকা বেশিরভাগ মানুষ ঠাণ্ডা পানি পান করার কারণে এর শিকার হয়েছেন।
>> ঠাণ্ডা পানি পেটের অভ্যন্তরীণ দেয়ালকে প্রভাবিত করে। এটি বৃহৎ অন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং ফলস্বরূপ ক্যান্সারে রুপ নেয়।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন