আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

দোকানের মতো মুচমুচে চিকেন ফ্রাই মাত্র ১৫ মিনিটেই

সাময়িক ক্ষুধা মেটাতে কিংবা পারিবারিক অথবা বন্ধুদের আড্ডায়ও ফাস্টফুডের কিছু আইটেম না থাকলে এখন যেন চলেই না। তেমনই একটি আইটেম চিকেন ফ্রাই।

অনেকে হয়তো ভাবছেন এটা বাসায় তৈরি করা অনেক কঠিন। কিন্তু আপনি চাইলেই ঘরে বসে মাত্র ১৫ মিনিটেই তৈরি করে ফেলতে পারেন চিকেন ফ্রাই।

উপকরণ:

  • মুরগীর লেগ পিস: আধা কেজি। তবে আপনি চাইলে মুরগির যেকোনো অংশই ব্যবহার করতে পারেন। শুধু রানই ব্যবহার করতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
  • ময়দা: ১ টেবিল চামচ
  • কর্ণ ফ্লাওয়ার: ২ টেবিল চামচ পরিমাণ
  • আদা বাটা: ১ চা চামচ
  • রসুন বাটা: ১/২ (হাফ) চা চামচ
  • লাল মরিচের গুড়ো: ১ টেবিল চামচ
  • ধনিয়া গুড়ো: ১ চা চামচ
  • জিরা গুড়ো: ১/২ (হাফ) চা চামচ
  • গরম মসলা পাউডার: ১/২ (হাফ) চা চামচ পরিমাণ
  • জর্দা রঙ: ১ চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ (ব্যবহার না করলেও চলে)
  • লবণ: স্বাদ মতো:
  • ডিম: একটি ডিম ভালোভাবে ফেটিয়ে অর্ধেকটা নিতে হবে
  • টক দই: এক টেবিল চামচ পরিমাণ (পানি ঝরিয়ে নিতে হবে)

প্রস্তুত প্রণালী:

  • চিকেনের পিসগুলো ধারালো ছুরি বা বটি দিয়ে কেচে নিতে হবে (মাংসের গায়ে ছোট ছোট আঁচড় কাটা)। এরপর পাতলা কোনো কাপড় কিংবা চিকেন টিসু দিয়ে মাংসগুলো ভালো করে মুছে নিতে হবে যাতে মাংসের মধ্যে কোনো পানি না থাকে। 
  • এরপর চিকেনের মধ্যে আদা-রসুন বাটা, কর্ন ফ্লাওয়ার, ময়দা, টক দই (টক দইয়ের মধ্যে পানি থাকলে চলবে না) এবং সবগুলো গুড়ো মসলা দিয়ে মাংস মাখিয়ে নিতে হবে। 
  • মাখানো হয়ে গেলে তার মধ্যে ডিমও ঢেলে দিতে হবে। তারপর আবার ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে; যেন সবগুলো মাংসের পিসের মধ্যে মসলা ভালোভাবে ঢুকে যায়।
  • তারপর ফ্রাইপেনে তেল ঢেলে চুলার লো-মিডিয়াম হিটে গরম করে নিতে হবে। এরপর চিকেনের পিসগুলো তেলের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে ফ্রাই করতে হবে। পাত্রে থেকে যাওয়া বাকি মসলাগুলো ফেলে দেবেন না।
  • ১০ মিনিট চিকেনের ‍পিসগুলো চুলার লো মিডিয়াম হিটে সিদ্ধ করে নিতে হবে। মাঝে মাঝে নেড়ে চেড়ে উল্টে-পাল্টে দিতে হবে। এই সময়ে চিকেনটা মোটেও মচমচে হবে না, শুধু সিদ্ধ হবে। যদি হাড়গুলো মাংস থেকে কিছুটা আলাদা হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে চিকেনগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেছে।
  • সিদ্ধ হয়ে গেলে চিকেনের পিসগুলো থেকে তেল ঝরিয়ে আগের সেই মসলার বাটিতে তুলতে হবে এবং অবশিষ্ট মসলা দিয়ে আবার মাখিয়ে নিতে হবে। এরপর চিকেনের পিচগুলো ভালোভাবে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। 
  • এরপর চুলার সর্বোচ্চ হিটে তেল গরম করে তার মধ্যে দিয়ে চিকেনগুলো ভেজে নিতে হবে। চুলার হিট না কমিয়ে তিন থেকে চার মিনিট ধরে ভাজতে হবে। 
  • চিকেনের রং গোল্ডেন ব্রাউন হয়ে আসলে তা নামিয়ে নিতে হবে। ফ্রাইপ্যান থেকে তুলে চিকেন ফ্রাই থেকে তেল ঝরিয়ে নিতে হবে।

এবার ভাজা চিকেনগুলো একেবারে মচমচে হয়ে যাবে। আর এই মচমচে ভাব দুই-তিন ঘণ্টা থাকবে। সবাই মিলে উপভোগ করুন মজাদার চিকেন ফ্রাই।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com