আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

দেশি ফলের আচার

>দেশি ফলের স্বাদ-গন্ধই আলাদা। এসব ফল দিয়ে সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় মজার সব আচার। বৃষ্টির দিনে ভাত বা খিচুড়ির সঙ্গে যোগ করবে বাড়তি স্বাদ। রেসিপি দিয়েছেন নাজিয়া ফারহানা।

আমড়ার কাশ্মীরি আচার

উপকরণ: আমড়া ১ কেজি, চিনি পরিমাণমতো, সিরকা ১ কাপ, লবণ সামান্য, শুকনা মরিচের কুচি ৩ টেবিল চামচ (বিচি ছাড়া), আদার টুকরা ৪ টেবিল চামচ, পানি পরিমাণমতো ও লাল মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ।

প্রণালি: প্রথমে আমড়াগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর খোসা ছাড়িয়ে দুই টুকরা করুন। তারপর একটি প্যানে পরিমাণমতো পানি ও চিনি দিয়ে শিরা তৈরি করুন। চিনির শিরায় কাটা আমড়া দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। শিরা ঘন হয়ে এলে লাল মরিচের গুঁড়া, শুকনো মরিচকুচি, আদার টুকরা ও সিরকা দিয়ে জ্বাল দিন। আচার বেশ ঘন হয়ে এলে সেটি নামিয়ে ঠান্ডা করে বোতলে ভরে রাখুন।

করমচার টক–ঝাল–মিষ্টি আচার

উপকরণ: করমচা ১ কেজি, পাঁচফোড়নগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি ৪ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচগুঁড়া ২ টেবিল চামচ, মেথিগুঁড়া ১ টেবিল চামচ ও হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, সিরকা ১ টেবিল চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ, শর্ষের তেল ২ কাপ ও রসুনবাটা আধা কাপ।

প্রণালি: করমচা ধুয়ে নিতে হবে। কড়াইয়ে তেল দিয়ে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন এবং করমচা দিয়ে দিন। একটু পরে সিরকা, লবণ ও চিনি দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করতে হবে। আচারের ওপর তেল উঠে এলে আচার নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে সংরক্ষণ করে রাখুন কাচের বয়ামে।

কামরাঙার মিষ্টি আচার

উপকরণ: কামরাঙা ৩টি (গোল করে কাটা), শুকনা মরিচ ২টি, তেজপাতা ৩টি, মরিচের গুঁড়ো স্বাদমতো, গুড় আধা কাপ, পাঁচফোড়ন ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, শর্ষের তেল ৪ চা-চামচ ও সিরকা ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি: একটি ফ্রাইপ্যানে সরিষার তেল দিয়ে পাঁচফোড়ন, তেজপাতা, শুকনা মরিচ দিয়ে নাড়ুন। তারপর এতে কামরাঙা, মরিচগুঁড়া ও লবণ দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। একটু কষানো হলে গুড় দিয়ে দিন। নাড়তে থাকুন, যাতে নিচে লেগে না যায়। গুড় থেকে পানি বের হলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রাখতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে তাতে সিরকা দিয়ে আবারও অল্প আঁচে ২-৩ মিনিট রেখে নামিয়ে ফেলুন।

লটকনের আচার

উপকরণ: লটকন (খোসা ছাড়ানো) ২ কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, কাশ্মীরি মরিচগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়নগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, তেঁতুল ১ টেবিল চামচ, সিরকা ১ কাপ ও টালা জিরার গুঁড়া ১ চা- চামচ।

প্রণালি: শুকনা পাত্রে খোসা ছাড়ানো লটকন নিয়ে চুলায় জ্বাল দিয়ে লটকনের পানি শুকিয়ে ফেলুন। তেঁতুল সিকি কাপ সিরকায় ভিজিয়ে রাখুন। এরপর একে একে লটকনে মসলা দেওয়ার পালা। লবণ, পাঁচফোড়নগুঁড়া, কাশ্মীরি মরিচগুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে নিন। চিনি ও সিরকায় ভেজানো তেঁতুল দিয়ে আবার নাড়ুন। চিনি গলে লটকনের আচার থকথকে হয়ে এলে বাকি সিরকা ও টালা জিরার গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন লটকনের আচার। ঠান্ডা করে বয়ামে ভরে রাখুন।

বিলম্বের টক আচার

উপকরণ: কাঁচা বিলম্ব ফল আধা কেজি, মরিচবাটা ১ টেবিল চামচ, সরিষাবাটা ২ চা-চামচ, পোস্তদানা ৩ চা-চামচ, শুকনা মরিচ ৪টি, পাঁচফোড়ন ২ চা-চামচ, হলুদবাটা ২ চা-চামচ, তেল ১ কাপ, চিনি ২ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি: প্রথমে বিলম্ব ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার তেলে শুকনা মরিচ বোঁটাসহ ভেজে রাখুন। পাঁচফোড়নও ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে বাটা মসলা ও পোস্তদানা দিয়ে দিন। এরপর সামান্য পানি দিয়ে একটু কষিয়ে নিন। মসলা কষানো হয়ে গেলে বিলম্ব দিয়ে দিন এবং মাঝেমধ্যে নাড়ুন। চিনি দিয়ে ১০-১২ মিনিট পরে বিলম্ব সেদ্ধ হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন। ঠান্ডা করে জারে ভরে রাখুন বিলম্বের টক আচার।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com