আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

দুধে সহনীয় ব্যাকটেরিয়া থাকলে ক্ষতি নেই

দুধে সহনীয় ব্যাকটেরিয়া থাকলে ক্ষতি নেই
দুধে সহনীয় ব্যাকটেরিয়া থাকলে ক্ষতি নেই

দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য নিয়ে দেশে উদ্ভূত সংকটের নেপথ্যে থাকা মৌলিক বিষয় ও করণীয় সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু পালন অনুষদের ডেইরিবিজ্ঞান বিভাগের একদল গবেষক। দেশে উৎপাদিত তরল দুধের গুণগত মানের ওপর সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন, এতে ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি ও দুধের দাম পড়ে যাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক ও দুগ্ধশিল্পের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মন্তব্য করেছে দলটি।

গবেষকদের দাবি, দুধে স্বভাবতই কিছু ব্যাকটেরিয়া বা নানা কারণে ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক ও ভারী ধাতুর উপস্থিতি থাকতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও সহনীয় মাত্রার বেশি না হলে তা মানবদেহের ক্ষতির কারণ হবে না।

গবেষকেরা বলছেন, দুধে অ্যান্টিবায়োটিক বা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। অঞ্চল ও পরিবেশভেদে এবং গবাদিপশুর খাদ্যাভ্যাসের ওপর দুধে কী পরিমাণে জীবাণুর উপস্থিতি থাকবে, তা নির্ভর করে। তবে অ্যান্টিবায়োটিক কিংবা বিভিন্ন ধাতুর উপস্থিতির একটি নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ উপস্থিত থাকলেই তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলা যাবে। মূলত, দুধের এ বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে ও আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে তুলনা করে গবেষণার ফল প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় জনমনে বিভ্রান্তি ও শঙ্কার সৃষ্টি হবে, যা মধ্যম আয়ের দেশে দুগ্ধশিল্পের মতো ক্রমবিকাশমান একটি শিল্পের জন্য মোটেই সুখকর নয়।

দুধের গুণগত মান নষ্টের মৌলিক বিষয় ও মান নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের করণীয় এবং ভোক্তা ও খামারিদের সংকট উত্তরণে বিভিন্ন দিক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে এই গবেষক দল। দলে রয়েছেন ডেইরিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক বিশিষ্ট ডেইরিবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহেল রানা সিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম, মো. আবিদ হাসান সরকার, মো. সাদাকাতুল বারি ও মো. রেজওয়ানুল হাবীব।

প্রতিবেদনে তাঁরা বলেন, কাঁচা তরল দুধে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকা খুবই স্বাভাবিক। পাস্তুরায়ণের মূল উদ্দেশ্য হলো, প্যাথজেনিক (রোগ সৃষ্টিকারী) ব্যাকটেরিয়া সম্পূর্ণভাবে মেরে ফেলা। গবেষকদের দেখা উচিত প্যাথজেনিক ব্যাকটেরিয়া পাস্তুরিত দুধে আছে কি না? তবে পাস্তুরিত দুধে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেশি হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এর প্রথম ও প্রধান কারণ হলো গুদামে কিংবা দোকানে কোল্ড চেইন বজায় না রাখা। চেইন ঠিক না থাকলে ব্যাকটেরিয়া বংশবিস্তার করে, ফলে দুধে এদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সুতরাং পরীক্ষার সময় মাথায় রাখতে হবে সমস্যাটি কোথায়—কৃষকপর্যায়ে, প্রক্রিয়াজাতকরণে নাকি বিপণনব্যবস্থায়।

তা ছাড়া দুগ্ধজাত পণ্যে মানবস্বাস্থ্যের উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। দইয়ে থাকে উপকারী ল্যাকটিক এসিড ব্যাকটেরিয়া। দই ও ফার্মেন্টেড (গাঁজন) দুগ্ধজাতীয় দ্রব্যে ব্যবস্থাপনার ত্রুটির জন্য সেখানেও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া চলে আসতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া চিহ্নিত না করে মোট ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে দইকে ক্ষতিকর বলে চিহ্নিত করা যাবে না।

চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে গবেষকেরা বলেন, গবাদিপশুর চিকিৎসা কিংবা রোগ প্রতিরোধে কয়েক দশক ধরে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে গাভির শরীর পুরোপুরি মাত্রায় তা শোষণ করতে পারে না। এ কারণে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক মল-মূত্রের সঙ্গে এবং কিছু দুধের মধ্যে আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে দুগ্ধবতী গাভিকে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগে বিশেষ সতর্কতা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা যাবে না। আবার দুধে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেলেই সেই দুধ খাওয়া যাবে না, সেটা ঠিক নয়। এর একটি নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে, যা পৃথিবীর অনেক দেশেই পাওয়া যায়। অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও সহনীয় মাত্রার বেশি পাওয়া গেলেই তা খাবার অনুপযোগী বলে গণ্য হবে।

ভারী ধাতুর উপস্থিতির বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, পুষ্টিগুণের কারণে দুধকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও আদর্শ খাদ্য হিসেবে অভিহিত করা হলেও নানাবিধ ভারী ধাতু, যেমন: সিসা, ক্যাডমিয়াম, আর্সেনিক ও মার্কারি স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। নর্দমার ময়লা পানি বা কলকারখানার বর্জ্যের প্রবাহ সেচ হিসেবে ঘাসের জমিতে ব্যবহারে ভারী ধাতু গবাদিপশুর খাদ্যে চলে যায়। সেখান থেকে যায় মাংসে, দুধে। এ ক্ষেত্রেও ভারী ধাতু শনাক্ত হলেই দুধ খাওয়া যাবে না, তা ঠিক নয়। সহনীয় মাত্রার ওপরে আছে কি না, সেটা নির্ধারণ করতে হবে। অন্যথায়, মানুষ ফল-সবজিতে ফরমালিনের উপস্থিতির মতো অযথা আতঙ্কিত হবে, পুষ্টিকর দুধ খাওয়া কমিয়ে দেবে এবং দুগ্ধশিল্প হুমকির মুখে পড়বে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গবেষক দলটি বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করেছে। তাঁরা বলেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দুগ্ধশিল্প নিয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে। কোনো উৎস থেকে নমুনা সংগ্রহ করলেই তা সারা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে—এমনটা বলা যাবে না। দুধে ক্ষতিকর অণুজীব, অ্যান্টিবায়োটিক বা ভারী ধাতুর দূষণের জন্য মূলত পরিবেশদূষণ, কোল্ড চেইন বজায় না রাখা, অনিয়মতান্ত্রিক চিকিৎসা, অনিয়ন্ত্রিত অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার, কৃষিক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার দায়ী। সুস্বাস্থ্যের জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২৫০ মিলিলিটার দুধ পান করা প্রয়োজন। এ দুগ্ধশিল্পের বিকাশের জন্য দেশে আদর্শ মানদণ্ড তৈরি এবং দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের পরীক্ষার জন্য রেফারেন্স ল্যাবরেটরি গড়ে তুলতে হবে। প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা থাকতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এবং ডেইরি রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

দেশের বিভিন্ন বাজার, প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান ও খামারিদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে দুধে ক্ষতিকর উপাদানের উৎস জানতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। বিশেষজ্ঞ দলকে এসব নমুনা পরীক্ষা করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে শিগগির গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ ও সুপারিশ প্রদান করতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com