প্রতিনিয়ত মাস্ক পরে থাকায় মুখের মুখোশঢাকা অংশে হতে পারে অ্যাকনে ও র্যাশের সমস্যা, যার পোশাকি নামই ‘মাস্কনে’
কোভিড-১৯ মহামারিতে বাইরে বেরলেই মুখের অর্ধেক অংশ ঢাকা থাকে মুখোশের আড়ালে। ফলে ত্বকের সমস্যাও অবশ্যম্ভাবী! মাস্ক আর ত্বকের বারবার সংস্পর্শে আসা, ঘষা লাগা, ঘাম জমে থাকা ইত্যাদি সব মিলিয়ে দেখা দিচ্ছে এক নতুন সমস্যা, “মাস্কনে”। মূলত নাকের চারপাশ থেকে ঠোঁট ও চিবুকের অংশে অ্যাকনে আর র্যাশকেই এই নতুন নামে ডাকা হচ্ছে।
তবে ত্বক ভাল রাখতে গিয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি তো বাড়ানো যায় না, তাই এতেই অভ্যস্ত হতে হবে। তাই ত্বক ভাল রাখতে কিছু বাড়তি যত্ন ও সতর্কতা নিতেই হবে। আর মাস্কনে থেকে মুক্তি পাওয়ার সেটাই একমাত্র পথ।
যা করবেন
১. খুব খসখসে মাস্ক পরবেন না। সাধারণত এন-৯৫ বা যে ধরনের মাস্ক পরতে বলা হচ্ছে, তা খুব একটা খসখসে হয় না। তবে যদি আপনার মাস্ক বেশি অমসৃণ মনে হয়, সেক্ষেত্রে মাস্কের ভেতরে আলাদা একটি লেয়ার বাড়িতেই সেলাই করে নিন।
২. বারবার মাস্ক খোলা-মেলা করবেন না। এতে মাস্কে বাইরের ধুলোবালি লাগার আশঙ্কা বাড়ে, পাশাপাশি মুখের সঙ্গে ঘষাও লাগে বেশি।
৩. খুব টাইট মাস্ক পরবেন না। ব্রিদেবল ও কমফর্টেবল নরম মাস্ক পরুন। এখন যেহেতু এটাই “স্বাভাবিক” হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই এই ধরনের মাস্ক কিনে নেওয়াই ভাল।
৪. মাস্ক পরা অংশে খুব বেশি প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। মেক-আপ করার থাকলে এই অংশে যতটা সম্ভব কম মেক-আপ করুন।
৫. যখন মাস্ক পরে থাকছেন না চেষ্টা করুন তখন ওই অংশ পরিষ্কার রাখার। অর্থাৎ কোনও মেক-আপ বা ক্রিম না লাগানো থাকলেই ভাল। ত্বককেও নিঃশ্বাস নিতে দিন!
৬. মুখের ঢাকা অংশের আলাদা যত্ন নিন। প্রতিদিন মাস্ক খোলার পর মুখ অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে চেপে শুকনো করে নিন। এরপর অ্যান্টি-অ্যাকনে টোনার ও ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
৭. ময়শ্চারাইজারে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপ্টাস বা টি-ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
৮. মাস্ক পরার আগে মুখের ওই অংশে অল্প পাউডার বা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লাগাতে পারেন। ত্বক ঠাণ্ডা থাকবে এতে।
৯. যদি মাস্ক পরলে মুখ খুব ঘেমে যায়, তাহলে মাস্কের ভেতরে ওয়েট টিসু রেখে পরতে পারেন। তবে দীর্ঘক্ষণের জন্য এই কৌশল ব্যবহার না করাই ভাল। সেক্ষেত্রে মাস্ক একটু আলগা করে একটু পরপর পরিষ্কার টিসু দিয়ে চেপেচেপে মুছে নিন।
১০. র্যাশের ওপর অ্যালোভেরা জেল লাগান প্রতিদিন। অ্যাকনের ওপর চন্দনবাটা লাগাতে পারেন।
১১. যদি রিইউজেবল মাস্ক ব্যবহার করেন তবে তা নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি। এক মাস্ক একাধিক দিন ব্যবহার করবেন না।
১২. এই টিপসগুলো মেনে চললেই দেখবেন মাস্কনে নিয়ে আর মাথাব্যথা নেই। তবে এতেও যদি সমস্যা না কমে তাহলে মেডিকেটেড সাবান বা ক্রিম লাগাতে পারেন। তবে মাস্ক ছাড়া কিন্তু বাইরে পা রাখবেন না কোনমতেই!
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন