চিকিৎসকদের মধ্যে ডায়াবেটিস জার্নি অ্যাপ ও চিকিৎসা নীতিমালা বিতরণ শুরু করেছে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস)। প্রতিষ্ঠানটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এবং চিকিৎসকদের সুবিধার্থে অ্যাপ ও নীতিমালাভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সূচনা করতেই এই প্রচেষ্টা নিয়েছে বাডাস।
এই অ্যাপটি ‘ডায়াবেটিস কেয়ার বাডাস গাইডলাইন’ অনুযায়ী কাজ করবে। বাডাস ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি যৌথভাবে এই চিকিৎসা নীতিমালাটি প্রণয়ন করেছে। অ্যাপটি তৈরি ও চিকিৎসা নীতিমালা প্রণয়নে বাডাসের সহযোগী হয়ে কাজ করেছে বিশ্বের বৃহত্তম ইনসুলিন নির্মাতা কোম্পানি নভো নরডিস্ক। রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চিকিৎসকদের মধ্যে ডায়াবেটিস জার্নি অ্যাপ ও চিকিৎসা নীতিমালার বিতরণ শুরু করেছে বাডাস। অ্যাপটি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, সে বিষয়ে চিকিৎসকদের জন্য দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও চালু করা হবে বলে জানা গেছে।
অনুষ্ঠানে বাডাসের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, ‘চিকিৎসকদের সহায়ক অনুষঙ্গ হিসেবে অ্যাপ ও নীতিমালাটি তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন চিকিৎসকেরা।’
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের সভাপতি (নির্বাচিত) অধ্যাপক আখতার হোসেন বলেন, ‘ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে এবং এ ক্ষেত্রে আরও মানসম্মত চিকিৎসা জরুরি হয়ে পড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অ্যাপ ও নীতিমালাটি মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে সহযোগী হবে এবং এর মাধ্যমে রোগীরা আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন যাপন করতে পারবেন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক মো. রোবেদ আমিন বলেন, ‘চিকিৎসকদের সক্ষমতা আরও বাড়ানো এখন সময়ের দাবি এবং ডায়াবেটিস চিকিৎসার আধুনিকায়নে এই উদ্যোগগুলো নেওয়া হয়েছে।’ বাডাসের মহাসচিব মো. সায়েফ উদ্দিন বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল প্রণালি চালু করতে নভো নরডিস্কের সহায়তায় বাডাস অনেকগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ডায়াবেটিস জার্নি অ্যাপ এবং দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় ডায়াবেটিস রোগী নিবন্ধন সেই ডিজিটাল উদ্যোগেরই উদাহরণ, যা বাংলাদেশ সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপকল্পের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান, বাংলাদেশ অ্যান্ডোক্রাইন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মো. ফারুক পাঠান, জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. এম এ সামাদ, বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক এম কে আই কাইয়ুম চৌধুরী, ডায়াবেটিস এশিয়া স্টাডি গ্রুপের মহাসচিব এবং সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চের কো-অর্ডিনেটর ডা. বিশ্বজিৎ ভৌমিক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. আবদুল আলীম, নভো নরডিস্ক বাংলাদেশের ডিরেক্টর অব কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স মো. তানবির সাজীব এবং ডিরেক্টর অব ক্লিনিক্যাল, মেডিকেল, রেগুলেটরি অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন