বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি বাড়ছে, একইসাথে চলছে এই রোগের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা।
জাতিসংঘের সর্বশেষ ২০শে জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকা বানাতে ১৭৩টি উদ্যোগ চলছে। এর মধ্যে কয়েকটি টিকার মানবদেহে পরীক্ষা চলছে।
যদিও বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশের ধারণা, মানবদেহে ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে এই বছর পার হয়ে যাবে।
কার্যকর টিকা আবিষ্কারের সম্ভাবনা বাড়ার সাথে সাথে আলোচনায় আসছে, কীভাবে এই টিকা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
করোনাভাইরাসের টিকা কতটা জরুরি
করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কৃত হলে সেটা মানুষের শরীরের ভেতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উজ্জীবিত করে তুলবে, যা ভাইরাসের সাথে লড়াই করে অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
এর ফলে লকডাউন, কড়াকড়ি সহজে তুলে নেয়া যাবে এবং সামাজিক দূরত্ব রক্ষার বিধিনিষেধ শিথিল করা সম্ভব হবে।
কতগুলো টিকা আবিষ্কারের কাজ চলছে
জাতিসংঘের সর্বশেষ বিশে জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে টিকা বানাতে ১৭৩ উদ্যোগ চলছে।
আর ১৪০টি টিকার এখনো মানবদেহে পরীক্ষা শুরু হয়নি। একে বলা হয় প্রিক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। বিজ্ঞানীরা এখনো এসব টিকা নিয়ে গবেষণা করছেন, পশু বা প্রাণীর ওপর প্রয়োগ করে কার্যকারিতা যাচাই করছেন।
উনিশটি টিকার কার্যক্রম রয়েছে প্রথম পর্যায়ে অর্থাৎ ক্লিনিক্যাল টেস্টিং শুরু হয়েছে। এর ফলে মানুষের ছোট একটি গ্রুপের ওপর টিকাটি প্রয়োগ করে দেখা হয় যে, এটা নিরাপদ কিনা। সেই সঙ্গে এটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় কতটা প্রভাব ফেলে, তাও যাচাই করা হয়।
এগারোটি টিকা রয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ে, যেখানে এসব টিকা কতটা নিরাপদ, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এই পর্যায়ে কয়েকশো মানুষের ওপর টিকার পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা এর নিরাপত্তা আর সঠিক মাত্রা নিরূপণের চেষ্টা করেন।
বিশ্বে এখন তিনটি টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। এই পর্যায়ে কয়েক হাজার মানুষের ওপর টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হয় যে, সেটা কতটা নিরাপদ, কতটা কার্যকর, বড় ধরণের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি হয় কিনা। এখানে সফলতা পেলেই সাধারণত টিকার অনুমোদন হয়ে থাকে। জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা তৃতীয় কোন দেশে করতে হয়।
যারা টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে
জাতিসংঘের বিশে জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, যে তিনটি প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টায় তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে, সেগুলো হলো:
সিনোভেক
কোভিড-১৯ এর নিষ্ক্রিয় অংশের ওপর ভিত্তি করে একটি টিকা আবিষ্কারের কাজ করছে চীনের কোম্পানি সিনোভেক। প্রথম দফার পরীক্ষাগুলোয় এই টিকাটি বেশ সাফল্য দেখিয়েছে। এখন ব্রাজিল ও বাংলাদেশে কয়েক হাজার মানুষের ওপর টিকাটির তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি
শিম্পাঞ্জির শরীরের সাধারণ সর্দিকাশি তৈরি করে, এমন একটি ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন করে এই টিকাটি তৈরি করা হচ্ছে।
টিকাটি করোনাভাইরাসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং তখন শরীরের ভেতর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বুঝতে পারে যে, কীভাবে করোনাভাইরাসকে আক্রমণ করে পরাস্ত করা যাবে। সম্প্রতি এর গবেষকরা ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু করেছে। ভারতেও টিকাটির ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।
ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন/মারডক চিলড্রেনস রিসার্চ ইন্সটিটিউট
প্রায় ১০০ বছরের পুরনো একটি ফুসফুসের টিকা নিয়ে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার মারডক চিলড্রেনস রিসার্চ ইন্সটিটিউট। এই টিকা যদিও সরাসরি কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা করে না কিন্তু এটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
কখন বাজারে আসতে পারে করোনাভাইরাসের টিকা?
সাধারণত একটি টিকা আবিষ্কারে কয়েক বছর লেগে যায়। কিন্তু করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে কয়েক মাসের মধ্যেই সেটা আবিষ্কার করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ২০২১ সালের মাঝামাঝি নাগাদ করোনাভাইরাসের টিকা বাজারে আসতে পারে।
তবে সেজন্যও বিজ্ঞানীদের ভাগ্যের ওপর নির্ভর করতে হবে। তারপরেও সেই টিকাটি কতটা কার্যক্ষম হবে, কেউ তার নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।
বাংলাদেশ কীভাবে টিকা পাবে
টিকা আবিষ্কার হলে উন্নত দেশগুলোকে সেটা আবিষ্কারকদের কাছ থেকে কিনে নিতে হবে।
যেমন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির টিকার জন্য এর মধ্যেই এক কোটির চাহিদা দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। চাহিদা জানিয়েছে ব্রাজিলও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক মুজাহেরুল হক বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ”যেসব দেশের নাগরিকদের মাথাপিছু আয় চার হাজার ডলারের বেশি, তাদের টিকা কিনতে হবে। কিন্তু বাংলোদেশের নাগরিকদের মাথাপিছু আয় যেহেতু তার চেয়ে কম, ফলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো বিনামূল্যে টিকা পাবে।”
তিনি জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ এবং গাভি-র (টিকা বিষয়ক আন্তর্জাতিক জোট) টিকা পাওয়ার অগ্রাধিকার পাওয়া ৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
এসব সংস্থা নিজেদের অর্থে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্ট্রাটেজিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অব এক্সপার্টের সদস্য অধ্যাপক ফেরদৌসী কাদরী এক নিবন্ধে লিখেছেন, কোভিড-১৯ এর টিকার জন্য বাংলাদেশ অনেক আগ্রহ নিয়ে অনেক চেষ্টা চালাচ্ছে। এক বা একাধিক টিকা যেন আমরা পরীক্ষা করতে পারি এবং আমরা যেন টিকা পেতে পারি, সেই চেষ্টা হচ্ছে। আমি আশাবাদী, যেসব দেশ কোভিড-১৯ এর টিকা প্রথম দিকে পাবে, তার মধ্যে বাংলাদেশ থাকবে।
অধ্যাপক মুজাহেরুল হক বলছেন, টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটি কৌশল নির্ধারণ করা জরুরি।
”অনেক দেশের ভ্যাকসিন ট্রায়ালে ভারত, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ডের মতো অনেক দেশ যুক্ত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেখানে যুক্ত হতে পারেনি। তবে ডব্লিউএইচও সেটা আমাদের দেবে, এটা নিশ্চিত। ”
অধ্যাপক মুজাহেরুল হক বলছেন, ”টিকা পাওয়ার আগেই বাংলাদেশকে নিজস্ব একটি কৌশল নির্ধারণ করতে হবে যে, কারা আগে টিকা পাবেন। সেই জনসংখ্যা কতো, দ্বিতীয় দফায় কারা পাবেন।”
”এরপরে সংগ্রহের কৌশল ঠিক করতে হবে যে, আমাদের চাহিদা কত, কীভাবে কতটুকু পেতে পারি। সেটার ভিত্তিতে বাংলাদেশের কতো টিকা দরকার, সেটা ঠিক করতে হবে। কোন সোর্স থেকে কতটা পাবো ইত্যাদি ঠিক করতে হবে। ”
বাংলাদেশে দুইটি বেসরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। তবে এখনো কোন টিকা আবিষ্কৃত না হওয়ায় তারা কোনরকম উৎপাদনের জন্য প্রস্তুতি নেয়নি।
কতো মানুষকে টিকা দিতে হবে?
এটা বলা কঠিন যে, এই টিকা কতটা কার্যকর হবে।
তবে ধারণা করা হয় যে, ভাইরাসের বিস্তার বন্ধ করার জন্য ‘হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করতে’ অন্তত ৬০-৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে হবে।
কিন্তু টিকাটি সফল হলেও এই সংখ্যা হবে কয়েকশো কোটি মানুষ।
কারা আগে টিকা পাবেন
টিকা যদি আবিষ্কার হয় আর প্রথমদিকে যদি সরবরাহ কম থাকে, তখন অবশ্যই গুরুত্বের বিচারে টিকা প্রদান করতে হবে।
এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীরা, বিশেষ করে যারা কোভিড-১৯ রোগীদের সংস্পর্শে আসতে হচ্ছে।
করোনাভাইরাসে বয়স্ক মানুষজন বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে টিকাটি সেই বয়সের ওপর কার্যকর হলে বয়সী ব্যক্তিরাও টিকা পাওয়ার তালিকায় এগিয়ে থাকবেন।
যুক্তরাজ্য বলেছে, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা, বিশেষ কোন কোন জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের আগে টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হবে।
অনেক দেশ বা প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে
করোনাভাইরাস ঠেকাতে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত টিকাটি মানব শরীরের জন্য নিরাপদ এবং সেটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উজ্জীবিত করে তুলতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে।
রাশিয়ার একটি ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষা করা হচ্ছে
বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি বাড়ছে, একইসাথে চলছে এই রোগের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন