বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত করার জন্য আজ থেকে ঠিক ছয় মাস আগে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের ২১ তারিখে প্রথম নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।
শুরুতে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট বা আইইডিসিআর-ই ছিল করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা, স্ক্রীনিং, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়াসহ সংশ্লিষ্ট সব ধরণের কাজের একমাত্র সংস্থা।
এর আগে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ এক অজানা ভাইরাস হিসেবে করোনাভাইরাস চিহ্নিত হয়েছিল চীনের উহান শহরে।
যেহেতু আগে বেশ কয়েক ধরণের করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছিল, সে কারণে সবশেষে শনাক্ত হওয়া এই ভাইরাসটিকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছিল নভেল করোনাভাইরাস নামে।
চীনের উহানে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া আর মানুষের মৃত্যুর ঘটনার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই এটির বিস্তার ঘটে পূর্ব এশিয়া, ইরান, ইউরোপ এবং দ্রুতই উত্তর আমেরিকায়।
আর অত্যন্ত ছোঁয়াচে হওয়া এবং সাধারণ যেকোন রোগের তুলনায় খুব অল্প সময়ে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর কারণ হওয়ায় করোনাভাইরাস দেশে দেশে জন্য মানুষের চরম আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বিবিসি বাংলাকে জানান, শুরু থেকে তাদের লক্ষ্য ছিল বিমানবন্দরগুলোর ওপর নজরদারী করা।
তিনি বলেন, ২১শে জানুয়ারি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুইজন ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে দেশে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা শুরু করা হয়।
“প্রথম পরীক্ষা জানুয়ারির ২১ তারিখে হলেও ওই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকেই আমরা বিমানবন্দরের কর্মী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করি,” ওই সময়ের কথা স্মরণ করছিলেন তিনি।
“এরপর ২০ তারিখে বিমানবন্দরে বড় ধরণের নজরদারি শুরু করা হয়।”
তিনি বলেন যে তাদের মূল নজরদারী ছিল বিদেশ থেকে আসা সব বিমান যাত্রীর স্বাস্থ্য পরিস্থিতির দিকে – “বিশেষত চীন থেকে আসা বিমান যাত্রীদের দিকে।”
প্রথম কাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল?
২১শে জানুয়ারি ঢাকার বিমানবন্দরে যাদের শরীর থেকে নেয়া নমুনার পরীক্ষা করা হয়েছিল, তারা ছিলেন চীনের উহান শহর থেকেই আসা দুইজন বাংলাদেশি নাগরিক।
আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা তাদের পরিচয় প্রকাশে চাইছেন না, তবে সরকারি তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে ওই দুইজন ব্যক্তি একই পরিবারের সদস্য ছিলেন।
বিমানবন্দরে তাদের একজনের শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রী ফারেনহাইট ছিল – যে কারণে ওই ব্যক্তি এবং তার সঙ্গে থাকা তার পরিবারের সদস্যকে আলাদা করা হয়। এরপর আইইডিসিআরের একটি দল এসে তাদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে করোনাভাইরাস টেস্ট করা লক্ষ্যে।
পরদিন ২২শে জানুয়ারি ওই দু’জনের নমুনার ফলাফল পাওয়া যায় – যাতে তাদের কোভিড-১৯ নেগেটিভ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, অর্থাৎ তারা সারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাস বহন করছিলেন না।
কিন্তু তাদেরকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল, এবং এক মাস পর্যন্ত তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর রাখে আইইডিসিআর।
এখন তারা চীনে ফেরত গেছেন।
কিভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল?
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, শুরুর দিকে প্যান-করোনা নামে একটি পরীক্ষার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চিহ্নিত করা হতো।
“প্রথম দিকে কোন দেশের কাছেই পর্যাপ্ত টেস্টিং কিট ছিল না, আমাদের কাছেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া স্বল্প সংখ্যক কিট ছিল,” তখনকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাচ্ছিলেন তিনি।
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, তখনও আরটিপিসিআরে নমুনা পরীক্ষা করার কাজ শুরু হয়নি। তবে প্যান-করোনা টেস্টের ব্যাপারটি এমন নির্ভুল যে যদি কারো মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ থাকে, তবে তা ধরা পড়বেই।
“প্যান-করোনা টেস্ট আরটি-পিসিআর টেস্টই, কিন্তু সেটা একটু ‘কনভেনশনাল’ পদ্ধতিতে হয়। আরটি-পিসিআরের চেয়ে এই পরীক্ষায় সময় কয়েক ঘণ্টা বেশি লাগে।”
কোন পরিস্থিতিতে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছিল?
২০১৯ সালের শেষ দিন, অর্থাৎ ৩১শে ডিসেম্বর চীন আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপারটি জানিয়েছিল।
সেদিনই করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্কতা জারী করে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়।
প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, করোনাভাইরাস মূলত প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়।
কিন্তু জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়ে দেয় যে এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষেও ছড়ায়।
এই ঘোষণা ছিল অনেকটা সতর্ক বার্তার মতো – যার মানে হলো ভাইরাসটি মারাত্মক রকমের ছোঁয়াচে হতে পারে। আর মূলত ঐ সময় থেকেই বাংলাদেশে নানা ধরণের প্রস্তুতি শুরু হয়।
এসব প্রস্তুতির মধ্যে ছিল, স্বাস্থ্যকর্মী ও বিমানবন্দরকর্মীদের প্রশিক্ষণ, পরীক্ষাগার প্রস্তুত করা এবং স্ক্যানারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বসানো।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, শুরুতে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত দায়িত্ব পালন করা ১৪ জন স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে আরও ১০ জনকে নিয়োজিত করা হয়। সেই সঙ্গে একজন নার্স ও একজন চিকিৎসককে যুক্ত করা হয়।
তিনি বলেন, এমন ব্যবস্থা করা হয় যেন দেশের বাইরে থেকে আসা প্রত্যেক যাত্রীকে থার্মাল ক্যামেরা স্ক্যানার পার হয়ে দেশে প্রবেশ করতে হয়।
“ওই স্ক্যানারে যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে স্ক্রিনে লাল দেখাবে, তখন ওই যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হত।”
কী ধরণের উপসর্গ মনিটর করা হচ্ছিল?
শুরুতেই দেখা হতো বিদেশ থেকে আসা কোন যাত্রীর তাপমাত্রা শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি কি-না, অর্থাৎ ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে তাকে অবশ্য স্ক্রীনিংয়ের মুখোমুখি করা হত।
প্রথম টেস্ট থেকে প্রথম রোগী শনাক্ত পর্যন্ত দেড় মাসের যাত্রা
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যখন প্রথম করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা শুরু হয়, তখন মূলত যেসব দেশে কোভিড-১৯ প্রথমে ছড়িয়ে পড়েছিল এমন দেশ, বিশেষ করে চীন, থেকে আগত যাত্রীদেরই নমুনা পরীক্ষা হত।
চীনের সঙ্গে থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা থেকে আগত যাত্রীদেরও স্ক্রিনিং না করে বিমানবন্দর থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি।
এরপর ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে জল-স্থল-আকাশ অর্থাৎ যেকোনো পথেই কেউ দেশে প্রবেশ করুন না কেন, এবং বিশ্বের যে কোন দেশ থেকে আসা যাত্রীকে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা হয়।
প্রথম দিকে শুধু আইইডিসিআরে পরীক্ষা করা হলেও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এপ্রিলের শুরুতে ল্যাবের সংখ্যা বাড়ানো হয়।
জানুয়ারির ২১ তারিখে নমুনা পরীক্ষা শুরুর দেড় মাসের কিছু বেশি সময় পরে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা প্রথম ঘোষণা করা হয় মার্চের ৮ তারিখে।
শুরুতে চীন থেকে ফেরা যাত্রীদের দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দেয়া হলেও ওই সময়ে যে তিন ব্যক্তির মধ্যে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, তারা কেউ চীন থেকে বাংলাদেশে আসেননি।
দু’জন এসেছিলেন ইতালি থেকে।
অন্যজন ছিলেন এদেরই একজনের পরিবারের সদস্য।
শনাক্ত হওয়া প্রথম ব্যক্তি বিমান চলাচল শুরু হওয়ার পর এরই মধ্যে ইতালি ফিরে গেছেন।
অতিরিক্ত তাপমাত্রার সঙ্গে যাত্রীর নিউমোনিয়ার লক্ষ্মণ রয়েছে কি-না, এবং কাছাকাছি সময়ে তার কোন ধরণের অসুস্থতা ছিল কি-না, সে বিষয়গুলোও নিরীক্ষা করা হত।
কিন্তু জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়ে দেয় যে এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষেও ছড়ায়।
আইইডিসিআর-এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার দিয়ে যাত্রী স্ক্রিনিং
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন