চুল পর্যাপ্ত যত্ন না পেলে রুক্ষ হয়ে যায়। চুলের গোঁড়ায় যত্ন নেওয়া হলেও বাকি অংশ থেকে যায় অযত্নেই। স্ক্যাল্প থেকে সম্পূর্ণ চুল তার জন্য পর্যাপ্ত ভিটামিন, প্রোটিন ও অন্যান্য উপকারী পদার্থ গ্রহণে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে ক্রমেই দুর্বল হয়ে রুক্ষ হয়ে পড়ে এবং চুল অকারণেই ভেঙে পড়তে শুরু করে। তাই স্ক্যাল্পসহ চুলের গোঁড়া পর্যন্ত নজর দিতে হবে।
ঘরে বসে অল্প কিছু কাজ অনুসরণ করলে চুলের রুক্ষতা দূর করা সম্ভব।
– চুলে সপ্তাহে দুইদিন অন্তত গরম তেল ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজের জন্য নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, সরিষার তেল, ক্যাস্টর অয়েল ছাড়াও আরও অন্যান্য তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খুব ভালো ফল পেতে হলে কমপক্ষে ৩ ধরনের তেল একত্রে মিশিয়ে গরম করে সম্পূর্ণ চুলে ম্যাসাজ করতে হবে।
– নিজের চুলের ধরন বুঝে তবেই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত রুক্ষ চুলের জন্য সালফেট ও পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
– চুলের ক্ষতি করে এমন পণ্য বর্জন করতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণে হেয়ার স্ট্রেইনারের ব্যবহার চুলের সব থেকে বেশি ক্ষতি করে থাকে। একান্তই প্রয়োজন না হলে চুলে হেয়ার স্ট্রেইনার ব্যবহার করা উচিৎ নয়, যদি করতেই হয় তাহলে অবশ্যই স্ট্রেইট করার আগে চুলে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করে নিতে হবে। তবে চুল খুব বেশি রুক্ষ হলে এসব জিনিস থেকে কিছু দিনের জন্য দূরে থাকা উচিৎ।
– কলাতে অনেক বেশি পটাশিয়াম রয়েছে যা চুলের রুক্ষতা দূর করতে সক্ষম। তাই সপ্তাহে একদিন একটা পাকা কলা পেস্ট করে সম্পূর্ণ চুলে কমপক্ষে এক ঘণ্টার জন্য রেখে দিতে হবে; তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। কলা চুলের আগা ফাটাও রোধ করে।
– সপ্তাহে অন্তত একবার হেয়ার মাস্ক লাগাতে হবে। বাজার থেকে কেনা হেয়ার মাস্কগুলোর পরিবর্তে ভালো হয় যদি কেউ ঘরে বানানো হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করেন।
– নিজের খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। চুলের উপকারে আসে এমন সবজি, ফলমূল খাওয়া বাড়াতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
– রাতে চুলের গোড়ায় অল্প পরিমাণ ভ্যাসলিন দিয়ে মাসাজ করে রেখে সকালে তা শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করলেও অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তবে ভ্যাসলিন খুব বেশি আঁঠালো হওয়ায় অবশ্যই খুব ভালো করে শ্যাম্পু করতে হবে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে ভ্যাসলিন দিলে কখনই চুলে গরম পানি দেওয়া যাবে না।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন