একটু যত্ন নিলেই আপনার জীবনের অপরিহার্য এই সঙ্গীটিকে ভাল রাখতে পারবেন দীর্ঘদিন!
যতই স্টাইলিস চশমা পছন্দ করুন না কেন সঠিক যত্ন না নিলে চশমার লেন্সে স্ক্র্যাচ পড়ে তা ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। আর এতে চশমার আসল কাজটাই মাটি হয়ে যায়।
তবে একটু যত্ন নিলেই আপনার জীবনের অপরিহার্য এই সঙ্গীটিকে দীর্ঘদিন ভাল রাখতে পারবেন! জেনে নিন কিছু সহজ টিপস।
১. প্রতিদিন নিয়ম করে মাইক্রোফাইবারের কাপড় দিয়ে আলতোভাবে সার্কুলার মোশনে চশমার লেন্স ও সারফেস মুছে নিন।
২. শক্ত বা খসখসে কাপড় ব্যহহার করবেন না। এতে লেন্সে স্ক্র্যাচ পড়ে যেতে পারে। সপ্তাহে একদিন চশমা ধুয়ে পরিষ্কার করুন।
৩. একটি বাটিতে ঈষদুষ্ণ পানি নিয়ে কয়েক ফোঁটা লিক্যুইড সাবান মেশান। ওই পানিতে চশমা কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। এরপর চশমা ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। চশমা ধোওয়ার পর নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
৪. এছাড়া বর্তমানে চশমা পরিষ্কার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের লেন্স ক্লিনার স্প্রে পাওয়া যায়। চশমায় এই স্প্রে লাগিয়ে মাইক্রোফাইবারের কাপড় দিয়েও চশমা মুছে নিতে পারেন।
৫. চশমা পরিষ্কার করার জন্য অ্যামোনিয়া, ব্লিচ, ভিনিগার বা উইনডো ক্লিনার জাতীয় জিনিস ব্যবহার করবেন না। এগুলি চশমার লেন্স ও কোটিংয়ের ক্ষতি করে। একটি কটনবাড ক্লিনিং সলিউশনে ডুবিয়ে চশমার নোজ় প্যাড পরিষ্কার করে নিন।
৬. চশমায় ঘাম লাগলে তা ভাল করে মুছে রাখুন। ঘাম বসে গেলে ফ্রেমে দাগ হয়ে যায়। তাছাড়া ঘাম লেন্সেরও ক্ষতি করে।
৭. চশমার লেন্সে হাত দেবেন না। এতে লেন্সে আঙুলের ছাপ পড়ে যায় ও দেখতে অসুবিধা হয়।
৮. চশমা খোলার সময় দুইহাত দিয়ে ধরে কানের পাশ থেকে খুলে নিন। একহাত দিয়ে চশমা খুললে ফ্রেম বেঁকে যেতে পারে।
৯. চশমা মাথার ওপর তুলে রাখবেন না। এতে চশমার অ্যালাইনেন্ট নষ্ট হয়ে যায়। চশমার লেন্স ঠিক থাকলেও অ্যালাইনেন্ট ঠিক না হলে দেখতে অসুবিধা হয়।
১০. মাথা ঢুকিয়ে জামাকাপড় পরার সময় চশমা খুলে রাখুন। নাহলে চশমায় ক্রমাগত চাপ পড়ে ফ্রেম বেঁকে যেতে পারে। আবার চশমা পড়ে ঘিয়ে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
১১. চশমা খুলে রাখার সময় লেন্সের দিকটা সবসময় ওপরের দিকে রাখুন। লেন্স নিচের দিকে রাখলে ঘষা লেগে লেন্স খারাপ হয়ে যেতে পারে।
১২. যখন চশমা পরে থাকবেন না, তখন নির্দিষ্ট সাইজ়ের শক্তপোক্ত কেসে রাখুন। এতে চশমায় ক্র্যাচ পড়বে না এবং ফ্রেমের শেপ বেশিদিন ভাল থাকবে।
১৩. ঘুমানোর সময় মনে করে চশমা খুলে রাখুন। বালিশের পাশে বা নিচে চশমা রেখে ঘুমবেন না। এতে অসাবধানে চশমা বেঁকে বা ভেঙে যেতে পারে।
১৪. চশমা সরাসরি রোদে ফেলে রাখবেন না। এতে লেন্স বা ফ্রেমের ক্ষতি হতে পারে।
১৫. চশমা বানানোর সময় খেয়াল রাখুন লেন্সের গুণগত মান যেন ভাল হয়। নাহলে চোখের ক্ষতি হতে পারে।
১৬. চোখের পাওয়ার পরিবর্তন হলে সঙ্গেসঙ্গে নতুন চশমা বানিয়ে নিন।
১৭. যাদের সবসময় চশমা পরতে হয় বা পাওয়ার বেশি তারা সবসময় দু’টো চশমা একসঙ্গে বানিয়ে রাখুন। এতে একটা চশমা হঠাৎ করে ভেঙে গেলেও অসুবিধায় পড়়বেন না।
১৮. দীর্ঘদিন একই চশমা পরলে অনেকসময় লেন্স ফ্যাকাশে হয়ে যায় কিংবা লালচে আভা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে দেরি না করে নতুন চশমা বানিয়ে নিন।
১৯. নিজের চশমা অন্য কাউকে পরতে দেবেন না। এতে চশমার ফিটিংস নষ্ট হয়ে যায়।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন