পকরণ: তালের রস ২ কাপ, চালের গুঁড়া ৩ কাপ, গুড় ১ কাপ, নারকেলকুচি ৪ টেবিল চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো ও ভাজার জন্য।
প্রণালি: প্রথমে একটি পাত্রে তেল বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার চুলায় একটি প্যান বসিয়ে তেল দিয়ে দিন। তেল গরম হয়ে এলে ডুবো তেলে এক এক করে পিঠাগুলো লালচে করে ভেজে নিন। নামিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন।বিজ্ঞাপন
তালের রসে কাপ কেক
উপকরণ: তালের রস ১ কাপ, ময়দা ১ কাপ, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ, বেকিং সোডা সিকি চা-চামচ, ডিম ২টি, চিনি আধা কাপ ও লবণ ১ চিমটি।
প্রণালি: একটি পাত্রে ডিম, চিনি ভালো করে বিট করে নিন। চিনি গলে এলে এক এক করে বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে তৈরি করে নিন কেকের মিশ্রণ। এবার পছন্দমতো কেক মোল্ডে মিশ্রণ দিয়ে দিন। ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট কেকগুলো বেক করে নিন। হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার তালের রসের কাপ কেক।বিজ্ঞাপন
তালের প্যান কেক
উপকরণ: তালের রস ১ কাপ, ময়দা ২ কাপ, বেকিং পাউডার ১ টেবিল চামচ, ডিম ২টি, তরল দুধ আধা কাপ, ভ্যানিলা অ্যাসেন্স আধা চা-চামচ, চিনি আধা কাপ, তেল ৪ টেবিল চামচ ও মাখন পরিমাণমতো (প্যানে ব্রাশ করার জন্য)।
প্রণালি: প্রথমে একটি বড় বাটিতে ডিম আর চিনি ভালো করে ফেটিয়ে নিন। চিনি গলে এলে এবার বাকি উপকরণগুলো ডিম আর চিনির মিশ্রণের সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার প্যান কেকের মিশ্রণটি ঢেকে রাখুন ১০ মিনিট। চুলায় একটি প্যান বসিয়ে মাখন ব্রাশ করে নিন। এবার অল্প পরিমাণে প্যানের ওপর ঢেলে দিন। ছোট গোল আকারের প্যান কেক তৈরি করে নিন।
পাটিসাপটা পিঠা
উপকরণ: তালের রস ৩ কাপ, ঘন দুধ ২ লিটার, গুড় ১ কাপ, এলাচি পাউডার আধা চা-চামচ, চালের গুঁড়া ৪ কাপ, ময়দা ৩ টেবিল চামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: প্রথমে পিঠার মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। একটি বড় বাটিতে ৩ কাপ দুধ, তালের রস ১ কাপ, চিনি, চালের গুঁড়া, ময়দা, ঘি, স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। ২০ মিনিট রেখে দিন। এবার পিঠার ক্ষীরসা তৈরি করার জন্য একটি প্যানে দুধ, গুড়, তালের রস, আধা কাপ চালের গুঁড়া, এলাচি পাউডার, নারকেলকুচি—সব একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চুলায় বসিয়ে হালকা আঁচে ক্ষীরসা তৈরি করে নিন। ক্ষীরসা ঘন হয়ে এলে অনবরত নাড়াতে থাকুন, খেয়াল রাখুন যেন তলায় না লেগে যায়। ঘি দিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। চুলায় প্যান বসিয়ে নিন। গরম হয়ে এলে ঘি ব্রাশ করে নিন। পিঠার মিশ্রণ থেকে বড় ১ চামচ নিয়ে পাতলা রুটির মতো গোল করে তৈরি করে নিতে হবে। এবার তৈরি করা ক্ষীর ১ টেবিল চামচ করে পাতলা রুটির ওপরে দিয়ে রোলের মতো করে পেঁচিয়ে নিন। পিঠা তৈরি হয়ে গেলে নামিয়ে পছন্দ অনুযায়ী পরিবেশন করুন।
তালের পায়েস
উপকরণ: তালের রস ৩ কাপ, ঘন করে ঝাল দেওয়া দুধ ১ লিটার, পোলাও চাল আধা কাপ (আধা ভাঙা করা), নারকেলকুচি ৩ টেবিল চামচ, এলাচি ৩টি, দারুচিনি ১টি, চিনি ১ কাপ।
প্রণালি: প্রথমে চুলায় একটি পাত্রে দুধ, এলাচি, দারুচিনি দিয়ে ১ বার বলক আনাতে হবে। এবার বলক আনানো দুধের মধ্যে আধা ভাঙা পোলাও চাল দিয়ে রান্না করুন। চালগুলো সেদ্ধ না হওয়ার আগপর্যন্ত দুধ আর সেদ্ধ চালের মধ্যে চিনি, তালের রস ও নারকেলকুচি দিয়ে রান্না করুন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। কিছু নারকেলকুচি দিয়ে পরিবেশন করুন তালের পায়েস।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন