শখ করে একটু বড় গলা দিয়ে পোশাক পড়লেন, কিন্তু বাইরে বের হতে লজ্জা লাগছে। কারণ ঘাড়ের কালো দাগ। অনেক পুরুষ ও নারীদেরই একই সমস্যার মধ্যে এটা একটা। ঘাড়ে অতিরিক্ত কালো দাগ থাকায় অনেক সময় অনেক জায়গায় গিয়ে অস্বস্তিতে ভুগতে হয়। গলা ও ঘাড় আমাদের দেহের একটি খোলা অংশ। বেশির ভাগ সময়েই আমাদের গলা ও ঘাড় খোলা থাকে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে খোলা থাকার কারণে অনেক সময় রোদে পুড়ে কিংবা অযত্ন অবহেলার কারণে ঘাড় ও গলার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। আসুন জেনে নেই গলা ও ঘাড়ের দাগ দূর করতে ঘরোয়া কিছু টোটকা।
লেবু লেবু রোদে পোড়া দাগ দূর করে ও ত্বক উজ্জ্বল করে। তাই আপনি এক টুকরো লেবু নিয়ে সরাসরি আপনার গলা ও ঘাড়ে ম্যাসেজ করুন এবং চাইলে গোলাপ জল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
নারিকেল তেল নারিকেল আমাদের ত্বককে শুধুমাত্র পুষ্টির যোগান দেয় না এটি আমাদের ত্বকের পোড়া ভাবও দূর করে। পরিমাণ মত নারিকেল তেল হাতে নিয়ে ঘাড় ও গলায় ম্যাসেজ করুন।
বেকিং সোডা পরিমাণ মত পানি নিয়ে তাতে বেকিং সোডা দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন তারপর গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
শসা শসা আমাদের ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনার ঘাড় ও গলায় শসার রস ব্যবহার করুন নিয়মিত।
গোলাপজল ঘাড় ও গলার কালো ছাপ গোলাপজল দিয়ে দূর করুন। গোলাপ জ্বল দিয়ে আপনার ঘাড় ও গলা পরিষ্কার করুন। চাইলে গোলাপজলের সাথে সামান্য হলুদের গুড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে পারেন, পেস্টটি ঘাড়ে ও গলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
মধু ঘাড় ও গলার ত্বক উজ্জ্বল করতে ও ময়লা দূর করতে ব্যবহার করুন মধু। পরিমাণ মত মধু নিয়ে ত্বকে ম্যাসেজ করুন তারপর ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা অ্যালোভেরা জেল নিয়ে গলায় ও ঘাড়ে ম্যাসেজ করুন, প্রতিদিনের ব্যবহারে দেখবেন ঘাড় ও গলার ত্বক উজ্জ্বল হবে।
অলিভ ওয়েল অলিভ ওয়েল আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারি তা আমরা সবাই জানি। তাই আপনার গলা ও ঘাড়ের ত্বক সুন্দর ও নরম রাখতে অলিভ ওয়েল ম্যাসেজ করুন।
আলুর রস রোদের পোড়া দাগ দূর করতে ও গলা ও ঘাড়ের ত্বক উজ্জ্বল করতে আলুর রস ব্যবহার করতে পারেন।
কমলা কমলার রস আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। তাই কমলার রস ব্যবহার করতে পারেন আপনার গলা ও ঘাড়ে।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন