অনলাইনের এই যুগে যখন বেকারত্বের হার ক্রমেই বাড়ছে, তখন অনেকেই নতুন আয়ের পথ খুঁজতে মরিয়া। অনেকেই একটি চাকরি বা আয়ের পথ থাকা সত্ত্বেও বাড়তি ইনকামের জন্য ভিন্ন কাজ খোঁজেন। আসুন জেনে নেই অনলাইনে ঘরে বসে কীভাবে নতুন নতুন ওয়েবসাইটের সাহায্য নিয়ে নিত্য নতুন আয়ের পথ সুগম করা যায়।
১। অনলাইন টিউটর আপনি কী অঙ্কে-ইংরেজিতে ভালো? কঠিন বিষয় সহজ করে বোঝানোর ক্ষমতা আছে? তাহলে নিচের ওয়েবসাইটগুলোতে ঢুঁ মেরে আসতে পারেন শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পড়ানোর জন্য।
উল্লেখ্য এসব ওয়েবসাইটের কোন কোনটিতে ব্যাচেলর ডিগ্রি বা অন্যান্য টিচিং লাইসেন্স চাওয়া হতে পারে।
২। ওয়েব ডিজাইনার আপনি কি সিএসএস, এইচটিএমএল, জাভাস্ক্রিপ্ট এর কাজ জানা থাকলে আপনি ঘরে বসে ওয়েব ডিজাইনিং এর কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। উল্লেখ্য এখনো অনেক কোম্পানির কোন ভালো ওয়েবসাইট নেই। তাই ওয়েব ডিজাইনিং এর কাজ খোঁজার জন্য সময়টা বেশ ভালো।
৩। হাতে তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি আপনার কি শিল্পজ্ঞান বেশ ভালো? বা আপনি মানুষের নিত্য চাহিদার জিনিসগুলোর বাজার পর্যবেক্ষণ করেন? তাহলে আপনার হাতে তৈরি জিনিসগুলো বিক্রির প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুন অনলাইনে। নিজের তৈরি জিনিস বিক্রির এমন অজস্র উদাহরণ আপনি চাইলেই হাতের কাছেই খুঁজে পাবেন।
৪। ভার্চুয়াল এসিট্যান্ট এখনকার এই গতিময় জীবনে অনেক বড় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মিটিং এর আয়োজন থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি কাজের জন্য নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। ‘অপর্চুনিটি কস্ট’ বলা হয় বিষয়টিকে। নতুন লোক নিয়োগের ফলে কিছু অর্থ খরচের মাধ্যমে ওই কোম্পানিগুলোর আরও মূল্যবান সময় বেঁচে যায়। ফ্রিল্যান্সার ডট কম, ফ্যান্সিহ্যান্ডস ডট কম আপওয়ার্ক ডট কমের মত ওয়েবসাইটগুলোতে নিজের স্কিল পাবলিশ করুন এবং অপেক্ষা করুন সুযোগের।
৫। কাস্টমার সার্ভিস বিভিন্ন অনলাইন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠনের কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস বহাল রাখার জন্য অনেক কর্মীর দরকার হয়। আপনার যদি যোগাযোগে দক্ষতা থাকে, বাসায় নীরব একটা কোন থাকে আর ইন্টারনেট লাইনটা যদি হয় গতিময় তাহলে আপনিও সহজেই বিভিন্ন কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসে এপ্লাই করতে পারেন।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন