শহুরে জীবনের ভিড়, কোলাহল থেকে বের হয়ে সবাই চায় প্রকৃতির মধ্যে হারিয়ে যেতে। কিন্তু কর্মব্যস্ত যান্ত্রিক জীবনে সেই সুযোগ খুব একটা আসে না। তাই ঘরের মধ্যে গাছ রেখে বা বারান্দায় গাছ লাগিয়ে পেতে পারেন প্রকৃতির ছোঁয়া।
গৃহসজ্জায় রকমারি আসবাবের সাথে গাছপালা থাকলে স্পেস ডিজাইনে নতুনত্ব আনা যায়। যদি আপনার এমন একটি ঘর থাকে যেখানে খুব কম সবুজ এবং খুব বেশি খালি জায়গা রয়েছে তাহলে একটি ফ্লোর প্ল্যান্ট হতে পারে সঠিক সমাধান।
আপনার ঘরে যদি খালি কোণ থাকে, তখন এটিকে অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দিয়ে পূরণ করা ঠিক হবে না। গাছ রাখতে পারেন। এতে সতেজতার স্পর্শ পাবে কক্ষটি। তবে গাছটি কোথায় রাখবেন তা নির্ধারণ করার সময় নিশ্চিত হয়ে নেবেন সেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসে কিনা।
আপনি যখন আপনার গৃহসজ্জার পরিকল্পনায় যোগ করার জন্য গাছ খুঁজছেন, তখন সব সময় মনে রাখা ভালো যে সবুজই আপনার জন্য একমাত্র রঙ নয়। সবুজ গাছে স্বাস্থ্য এবং অ্যারোমাথেরাপির সব উপকারিতা রয়েছে। এক্ষেত্রে অর্কিড হতে পারে উত্তম নির্বাচন। অর্কিড উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় রঙের হওয়ায় ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের প্রথম পছন্দ এটি। আপনি এগুলোকে রুমের সেটিংয়ে যেখানেই রাখুন না কেন, রুমকে উজ্জ্বল করবে এবং দৃষ্টি নন্দন দেখাবে। সঠিক যত্নে অর্কিড বাঁচেও অনেক দিন।
কর্মব্যস্ততায় অনেকের ক্ষেত্রে গাছের যত্ন নেওয়া কঠিন হতে পারে। তাছাড়াও গাছের ধরণ, আপনি যে পরিবেশে বাস করেন, তার উপর নির্ভর করে কিছু গাছ বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাড়ির জন্য একটি ক্যাকটাস নির্বাচন করতে পারেন। এই গাছগুলোর সুবিধা হলো অল্প পানি এবং সূর্যালোকেও বেঁচে থাকে। এবং খুব কম রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্নেও গাছ থাকে সুস্থ ও সবল। এসব গাছ থাকলে ঘর হয়ে ওঠে নান্দনিক।
বাড়ির বিভিন্ন স্থানে গাছ লাগানোর অনেক মজার এবং সৃজনশীল উপায় রয়েছে। এর মধ্যে দুর্দান্ত একটি আইডিয়া হলো রান্নাঘরে একটি ঝুলন্ত ভেষজ গাছ রাখা। ছোট প্ল্যান্টের ব্যবহার করে আপনার রান্নাঘরে বিভিন্ন রকমের তাজা শাকসবজি রাখা সম্ভব। যা কেবল সৌন্দর্য বাড়াবে তা না, সেগুলো আপনার রান্নায়ও যোগ করবে নতুন সতেজতা। আপনি কিছু সহজ কিন্তু আকর্ষণীয় প্যাটার্ন তৈরি করতে পারেন। যা শুধু আপনার রান্নার সহায়ক হিসেবে নয়, দেয়াল শিল্প হিসেবেও নতুন মাত্রা এনে দেবে।
শহরে স্থান স্বল্পতার কারনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ছাদ বাগান ও গৃহসজ্জায় গাছের ব্যবহার। বাড়ির অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জায় গাছ লাগানোর অনেক সুবিধা রয়েছে। গাছের রয়েছে একটি শান্ত প্রভাব, যা চাপমুক্ত পরিবেশে অবদান রাখে। নান্দনিকতার সাথে বাড়িতে গাছপালা বাতাসের বিষাক্ততা কমায় এবং বাতাসের গুণমান বৃদ্ধি করে।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন