সয়া বিশ্বজুড়ে খুবই জনপ্রিয় খাবার। এ খাবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে প্রশংসিত। সয়া মিল্ক, সয়া সস, টোফু, তেল, নাগেটস, গ্রানুলস, চ্যাম্প এবং এডামাম- এগুলো সয়া জাতীয় খাবার। সয়াবিন জাতীয় শস্য থেকে এসব খাবার পাওয়া যায়।
পূর্ব এশিয়া থেকে উৎপন্ন হওয়া সয়া এখন এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা এবং উত্তর আমেরিকার বড় অংশে জন্মে এবং প্রক্রিয়াজাত হয়। বর্তমান সয়াজাত খাবার বা পণ্যগুলো মুদি দোকানে খুব সহজেই পাওয়া যায়।
এত জনপ্রিয় কেন: সয়া খাবার এত জনপ্রিয় হওয়ার মূল কারণ হলো- সয়ায় অনেকগুলো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের একটি উৎস। প্রকৃতপক্ষে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের সমস্ত অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে এ খাবারে।
এগুলো ছাড়াও প্রচুর ডায়েটরি ফাইবার, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৯, ভিটামিন কে, তামা, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস এবং মলিবডেনামের খনিজ রয়েছে। সয়ায় আইসোফ্লাভোন্স, ফাইটিক অ্যাসিড এবং স্যাপোনিনের মতো ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্রিয়াকলাপ বাড়ায়।
সয়া জাতীয় খাবার ৫ ধরনের স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করতে পারে-
পেশী গঠনে: সয়া পণ্য আপনার শরীরের প্রোটিন বাড়ায় এবং পেশী গঠনে সহায়তা করতে পারে। সয়া জাতীয় খাবার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
ওজন কমায়: সয়া জাতীয় খাবার আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষুধা অনুভব থেকে বিরত রাখে। যার ফলে অযাচিত খাবার থেকে বিরত রাখে। এতে আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করে।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে সয়ার উপস্থিতি মস্তিস্কের ক্ষতের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারে। এ ক্ষতগুলো জীবনের অনেক স্মৃতি ভুলিয়ে দেয়। তাই সয়া জাতীয় খাবার খেলে স্মৃতিশক্তি বা ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
হাড়ের উন্নতি: সয়া জাতীয় খাবারগুলো আইসোফ্লাভোন্সযুক্ত। এটি একধরনের ফাইটোনিট্রিয়েন্ট, যা দেহে ফ্ল্যাভোনয়েড ক্রিয়াকলাপ বাড়ায়। এ আইসোফ্লাভোন হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। এমনকি মেনোপজে পৌঁছে যাওয়া নারীদের অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি রোধ করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ: গবেষণায় দেখা গেছে, সয়া জাতীয় খাবারের ফাইটোনিউট্রিয়েন্টগুলোর উচ্চ ঘনত্ব পুরুষ এবং নারীদের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে। নারীদের স্তন ক্যান্সার এবং পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন