মা-ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণ এবং ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ শিরোনামে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর পাস হওয়া প্রকল্পটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মৎস্য অধিদফতর ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ২৪৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে দুটি গাড়ি ভাড়া বাবদ চার বছরে খরচ ধরা হয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।
প্রকল্পটির উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের অধীনে থাকা ২৯টি জেলার ১৩৪টি উপজেলার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে পর্যবেক্ষণ, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের জন্য প্রতি মাসে একটি গাড়ির ভাড়া ধরা হয়েছে এক লাখ দুই হাজার টাকা। ফলে দুটি গাড়ির চার বছরের (৪৮ মাস) ভাড়া খরচ ধরা হয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। তেল খরচ ছাড়াই এই অর্থ ভাড়া বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এক কোটি ১৫ লাখ টাকা খরচে দুটি গাড়ি অনায়াসেই কেনা যায়। চাইলে তিনটি গাড়িও কেনা সম্ভব। গাড়ি না কিনে ভাড়ার পেছনে এত টাকা খরচের কারণ কী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রকল্পটি যাচাই-বাছাই করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ। দুটি গাড়ি না কিনে এক কোটি ১৫ লাখ টাকা ভাড়ার পেছনে খরচের কারণ কী— জানতে চাইলে কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, ‘সরকার বর্তমান পরিস্থিতিতে গাড়ি না কেনার জন্য সার্কুলার দিয়েছে। এখন সার্কুলার যেহেতু দিয়েছে, কাজ তো করতে হবে। সুতরাং আউটসোর্সিং (ভাড়া) ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে গাড়িগুলো অফিসের পেছনে পড়ে থাকে। ছোট প্রকল্পে ব্যবহার দুরূহ হয়ে পড়ে। এছাড়া কোনো গাড়ি যদি সরকার কেনে, তার জন্য একজন চালক লাগে। দেখা যাবে, সেই চালক আবার রাজস্ব খাতে আসতে চায়। সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে আমরা প্রকল্প মেয়াদের জন্য, যেসব প্রকল্পে এ রকম আছে, সেখানে গাড়ি সরাসরি দিচ্ছি না।’
আরও কারণ ব্যাখ্যা করে জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, ‘দুটি গাড়িই ভালো হতে হবে। এগুলো গ্রামে চলবে। শহরের গাড়িগুলোর চাকা খাটো। সেই গাড়ি কিন্তু গ্রামের ভেতরে কাদার রাস্তায় চলতে পারবে না। সুতরাং গ্রামের রাস্তায়, কাদার ভেতরে চলার জন্য একটু মানসম্মত গাড়ি দরকার। সেসব গাড়ি কোনো অবস্থায়ই মাসে এক লাখ টাকা ছাড়া পাওয়া যাবে না। আমি নিজে খবর নিয়েছি।’
তবে কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্যের যুক্তি টেকেনি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের কাছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গাড়ি ভাড়া বনাম গাড়ি কেনা, এখানে কিছু যুক্তি আছে। আমার সচিব মহোদয় বা বিভাগকে অনুরোধ করব যে, এটা আরেকটু দেখতে। প্রয়োজনে সচিবের (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়) সঙ্গে কথা বলা যায়। যদি সামান্যতম সুযোগ থাকে রিভিশনের (পুনর্বিবেচনা করা), ফর বেটার উই ডু (ভালোর জন্য করব)।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনাদের অবগতির জন্য বলছি, পাস করা মানেই নয় যে করতে হবে। পাস করার পরও আমাদের আইএমইডি (বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ) আছে। ওই মন্ত্রণালয়ের (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) নির্বাহী প্রধান বা সচিব, তিনি বিষয়গুলো দেখেন সার্বক্ষণিক।’
বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে কি-না, জানতে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
সমাধান কী?
গত ৮ জুলাই সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ পরিপত্র জারি করে বলেছে, ‘চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং সরকারের কৃচ্ছ্র সাধন নীতির আলোকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালন এবং উন্নয়ন ব্যয়ের আওতায় সব প্রকার নতুন/প্রতিস্থাপক হিসেবে যানবাহন ক্রয় বন্ধ থাকবে।’
গাড়ি ভাড়ার বিষয়ে যেসব যুক্তি কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. জাকির হোসেন আকন্দ দেখিয়েছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো সরকার এমন সার্কুলার জারি করায় এ প্রকল্পে গাড়ি ভাড়া করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হলে বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘পরিকল্পনা কমিশনের যারা যাচাই-বাছাই করছেন এবং যে মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠিয়েছে, তাদের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। তা না হলে এ ধরনের যুক্তি দেয় কীভাবে যে, গাড়ি কিনতে না করেছে, সেজন্য ভাড়া করছি। তারা ভাড়া করছে চার বছরের জন্য!’
‘দৈনিকভিত্তিতে তো গাড়ি ভাড়া করা যায়। এমন তো নয় যে, মাসিকভিত্তিতে ভাড়া করতে হবে। গাড়ি তো অনেক সময় একটা ট্রিপের (পূর্বনির্ধারিত সময়ে প্রকল্প পরিদর্শনে) জন্যও করা যায়। সারাদিনের জন্য যে ভাড়া করতে হবে, তা তো না। মানে, কাজ বিঘ্নিত না করে খরচ নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন উপায় আছে। গাড়ি যখন দরকার, তখনই ভাড়া করা যায়। প্রয়োজন না হলে করলাম না। আরেকটা বড় কথা হলো, গাড়ি নাই, এমনও নয়। মন্ত্রণালয়ের তো গাড়ি আছে। ভাড়া করতে হবে কেন? অনেক সময় ভাড়া করারই দরকার পড়ে না। গাড়ি হয়তো বসেই আছে। কিন্তু আপনি আরেকটা ভাড়া করছেন! একটা গাড়ি বসে আছে, ওই মন্ত্রণালয়ের লোকজন আরেকটা গাড়ি ভাড়া করে খরচ করছে! সমন্বয়, পরিকল্পনা— এগুলো সঠিকভাবে করলে তো সরকারি ব্যয়ের অনেক সাশ্রয় হয়। কিন্তু সেটা তো করবে না। ভাড়া করলে তো শুধু গাড়ি সার্ভিস পাচ্ছে না, আরও তো কিছু পাচ্ছে, তাই না? কিছু কমিশন-টমিশন তো থাকেই।’
তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা কমিশনের পিইসির দায়িত্ব প্রশ্নগুলো তোলা। এগুলোর সন্তোষজনক উত্তর না পেলে ডিপিপিটাকে ফেরত পাঠানো। অথচ প্রকল্পটি একনেকে পাস হয়ে গেছে! এটা দুঃখজনক ব্যাপার। যাদের দায়িত্ব এ ধরনের প্রস্তাব নজরে আনার, তাদের নজরে পড়ল না! সার্কুলারের উদ্দেশ্য হলো খরচ কমানো, খরচ নিয়ন্ত্রণ করা। গাড়ি না কিনে ভাড়া করলে খরচের নিয়ন্ত্রণ তো আর থাকল না। এটুকু বোঝার ক্ষমতা নিশ্চয়ই তাদের আছে। তারা যে না বুঝে করেছে, এটাও নয়।’
ড. জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হলে স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজেদেরই এগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কথা। একটা কথা বললাম, সেটার শাব্দিক অর্থ থাকে, আরেকটা উদ্দেশ্য থাকে। বিষয়টি হলো খরচ কমানো। কথার মারপ্যাঁচে পার পেয়ে যাওয়ার চেষ্টা, আর কি? এগুলো দুঃখজনক। একজন পাবলিক সার্ভেন্ট থেকে আমরা এগুলো আশা করি না।’
এ ঘটনা থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা নেয়া উচিত— উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড এ ইকোনমিস্ট বলেন, ‘পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এখন তো আর কিছু করার নেই। পাস হয়ে গেছে। এ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটা শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত যে, তাদের আরেকটু সুনির্দিষ্টভাবে বলা। খরচ সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে আমরা এ ব্যবস্থা নিয়েছি।’
ভ্রমণে খরচ ৭ কোটি
ডিপিপি থেকে আরও জানা যায়, প্রকল্পের অধীনে ১৭৪ কর্মকর্তা ২৯টি জেলার ১৩৪টি উপজেলা ভ্রমণ করবেন। চার বছরে এজন্য তারা খরচ করবেন ছয় কোটি ৯৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা। অর্থাৎ ১৭৪ কর্মকর্তার প্রত্যেকে প্রতি বছর ভ্রমণ বাবদ খরচ করবেন এক লাখ ৫৩৪ টাকা করে, যা দুটি ভাড়া করা গাড়ির বাইরের খরচ।
এ বিষয়ে কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, ‘আপনারা জানেন, কোনো প্রকল্পে ভ্রমণ ব্যয় অতিরিক্ত দেখানোর ব্যবস্থা নাই। তাকে ভ্রমণ টিকিট জমা দিতে হবে, তারপর বিল করতে হবে। সুতরাং ভ্রমণ বিভাগের খরচে যদি টাকা কিছু বেশি ধরাও থাকে, তা অব্যয়িত থাকবে।’
প্রকল্প সূত্র জানায়, প্রকল্পে সিল ও স্ট্যাম্পে ১০ লাখ, মনিহারিতে ২০ লাখ, মুদ্রণ ও বাঁধাইয়ে এক কোটি ১৬ লাখ, জনসচেতনতা সভায় এক কোটি ১৬ লাখ, ৬০টি সেমিনার/কনফারেন্সে খরচ এক কোটি ৩৫ লাখ, অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণে খরচ ১৬ কোটি ৬৮ লাখ, ২২ দিনে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে খরচ এক কোটি ৬০ লাখ, পেট্রল ও লুব্রিকেন্ট খরচ ১৬ লাখ ৮০ হাজার, বদলি ব্যয় ১১ লাখ ৩৪ হাজার, তিনটি এসিতে খরচ চার লাখ ৫০ হাজার, ৩৫ লাখ টাকার আসবাবপত্র, দেড় লাখ টাকার একটি ফটোকপিয়ার, যানবাহন মেরামত ও সংস্কারে চার লাখ টাকা খরচ করা হবে। এমন মোট ৫১টি খাতে এ প্রকল্পে খরচ করা হবে ২৪৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো, মা-ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। দক্ষতা বৃদ্ধি করে জাটকা ও মা-ইলিশ আহরণকারী ৩০ হাজার জেলে পরিবারের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। জেলেদের ১০ হাজার বৈধ জাল বিতরণ এবং প্রচারের মাধ্যমে মা-ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে জনসচেতনতা তৈরি করা।
ক্রয় নয় ভাড়ায় বেশি আগ্রহ, দুটি গাড়িতে ব্যয় ১ কোটি ১৫ লাখ!
ক্রয় নয় ভাড়ায় বেশি আগ্রহ, দুটি গাড়িতে ব্যয় ১ কোটি ১৫ লাখ!
ক্রয় নয় ভাড়ায় বেশি আগ্রহ, দুটি গাড়িতে ব্যয় ১ কোটি ১৫ লাখ!
ক্রয় নয় ভাড়ায় বেশি আগ্রহ, দুটি গাড়িতে ব্যয় ১ কোটি ১৫ লাখ!
ক্রয় নয় ভাড়ায় বেশি আগ্রহ, দুটি গাড়িতে ব্যয় ১ কোটি ১৫ লাখ!
ক্রয় নয় ভাড়ায় বেশি আগ্রহ, দুটি গাড়িতে ব্যয় ১ কোটি ১৫ লাখ!
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন