আত্ম-সন্দেহের এই প্রবণতাটি প্রতিটি মানুষের সহজাত ধর্ম। দারুণ আত্মবিশ্বাসী মানুষটিও কোন না কোন সময়ে নিজের প্রতি, নিজের কাজ নিয়ে সন্দিহান হয়ে ওঠেন। আত্ম-সন্দেহের প্রবণতাটি পুরোপুরিভাবে দূর করা সম্ভব না হলেও, অভ্যাসের মাধ্যমে তা কমিয়ে আনা সম্ভব। বিশেষত কর্মক্ষেত্রে আত্ম-সন্দেহ সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেয় ক্যারিয়ারে। আত্ম-সন্দেহের প্রভাব কর্মক্ষেত্রে নিজেকে পিছিয়ে দেয় অনেকটা। আপনিও যদি এমন আত্ম-সন্দেহে ভোগেন তবে আজকের ফিচারটি আপনার জন্যেই। জেনে রাখুন খুব সহজ কিছু অভ্যাস রপ্ত করার মাধ্যমে কীভাবে কর্মক্ষেত্রে আত্ম-সন্দেহ দূরে রাখবেন।
নেতিবাচক চিন্তার পরিবর্তে ইতিবাচক চিন্তা করা যেকোন বিষয়কেই ইতিবাচকভাবে দেখার চেষ্টা করতে হবে। হয়তো আপনি অফিসে কোন কাজে অকৃতকার্য হয়েছেন। এই বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে না দেখে ইতিবাচকভাবে দেখার চেষ্টা করতে হবে। কাজটি আপনি ঠিকমতো করতে পারেননি- এমন ভাবনার পরিবর্তে ভাবুন, এই ভুল থেকে আপনি শিখতে পারছেন। সঠিকভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারছেন। লিখতে হবে নিজের নেতিবাচক চিন্তাগুলো মাথার ভেতর খুব বেশি নেতিবাচক চিন্তা ঘুরাঘুরি করছে? আত্ম-সন্দেহের প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে সময়ের সাথে। তবে এক কাজ করুন। কাগজ-কলম নিয়ে বসে পড়ুন। মাথার ভেতর ঘুরতে থাকা নেতিবাচক চিন্তাগুলো লিখে ফেলুন। এতে করে আত্ম-সন্দেহের বাষ্প অনেকটাই কমে যাবে। লেখা শেষে বেশ কিছুক্ষণ পর নিজের লেখাগুলো পড়ুন। দেখবেন নিজের কাছেই অমূলক মনে হবে। কখনোই হার না মানা
আত্ম-সন্দেহ যতই প্রকট আকার ধারণ করুক না কেন, কখনোই তার সামনে হার স্বীকার করা যাবে না। সবসময় নিজের কাজের প্রতি ফোকাসড থাকতে হবে। কাজে ভুল হবে, বাধা আসবে, সমস্যা তৈরি হবে। কিন্তু এই সকল কারণের জন্য কোনভাবেই নিজেকে থামিয়ে রাখা যাবে না। দুর্বলতা নয়, শক্তির দিকে মনোযোগ দিতে হবে সবার মাঝেই কোন না কোন ক্ষেত্রে দুর্বলতা ও শক্তি রয়েছে। কেউ হয়তো লেখালেখি ভালো পারেন, কেউ হয়তো এডিটিং ভালো পারেন। আপনি কোন কাজটিতে ভালো সেটা শনাক্ত করুন। সেটাই আপনার শক্তি। ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে সেটা নিয়েই কাজ করার চেষ্টা করুন। দেখবেন আত্ম-সন্দেহ তৈরি হওয়ার কোন চান্স থাকবে না। ইতিবাচক মনোভাব সম্পন্ন মানুষের সাথে কথা বলা
নিজের কাজ, ক্যারিয়ার, কর্মক্ষেত্র নিয়ে এমন মানুষের সাথে কথা বলার চেষ্টা করুন, যারা আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে। আপনাকে ইতিবাচক ভাবনা ভাবতে সাহায্য করবে। এমন মানুষগুলো আপনার ভেতর থেকে আত্ম-সন্দেহ দূর করে আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার জন্য সাহায্য করবে। সেক্ষেত্রে আরও বলে রাখা ভালো, ইতিবাচক মানুষদের সাহচর্য যতটাই কাম্য নেতিবাচক মানুষদের থেকে নিজেকে ততটাই দূরে রাখতে হবে।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন