দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু সংক্রমণ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার এই সময়টাতে ডেঙ্গুর সংক্রমণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, পরিস্থিতি এমন হতে পারে, যা হয়তো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পক্ষে সামাল দেয়াটাও কঠিন হয়ে পড়বে।”দুটো মহামারি যদি একত্রে চলমান থাকে, তাহলে মানুষের জীবনের জন্য একটি প্রবল হুমকি হয়ে দাঁড়াবে,” ড. লেনিন চৌধুরী বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার এন্ড কন্ট্রোল রুম থেকে দেয়া তথ্য বলছে, কয়েক দিন ধরেই ডেঙ্গু সংক্রমণের সংখ্যা শতাধিক হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, শুধু জুলাই মাসেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ১,৯২০জন, যা ২০২০ সালে সারা বছর জুড়ে আক্রান্ত সংখ্যার চেয়েও বেশি।
রাজধানী ঢাকার একটি পরিবারের সাথে কথা বলে বোঝা গেল পরিস্থিতি কতটা ভয়ানক হয়ে উঠছে।
সরকারি চাকরিজীবী রাজিয়া সুলতানা। বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন তার সাথে কথা হচ্ছিল তখন তিনি হাসপাতালে গিয়েছেন চিকিৎসাধীন ছেলের পরিচর্যার করতে।
রাজিয়া সুলতানা জানাচ্ছিলেন, কয়েক দিন আগেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তার এক ছেলে মারা গেছে।আর এখন একই রোগে আক্রান্ত হয়ে আরেক জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার এই ছেলের অবস্থা কিছুটা ভাল হওয়ার পথে।
“ঈদের তৃতীয় দিন ও (তার ছেলে) অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরীক্ষা করানোর পর পজিটিভ আসলে আমরা একটি হাসপাতালে ভর্তি করি।
”অবস্থা খারাপ হলে অন্য হাসপাতালে নেই। সেখানেও অবস্থা আরো খারাপ হয়। দু’দিনের দিন মারা যায়,” বলেন তিনি।
ডেঙ্গু সংক্রমণের হার বেশি কেন?
দু’হাজার কুড়ি সালে ১,৪০৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন, আর চলতি বছরের প্রথম সাত মাসেই ২,২৯২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান বলেন, এবছর যে ডেঙ্গু সংক্রমণ বেশি হবে তা তারা আগেই সন্দেহ করেছিলেন।
তিনি বলেন, এর কারণ হচ্ছে, ভাইরাসজনিত রোগের ক্ষেত্রে প্রতি এক বছর অন্তর সংক্রমণের সংখ্যা বেশি হয়।
“দু’হাজার কুড়ি সালে যেহেতু ডেঙ্গুর সংক্রমণ কম ছিল, তাই এবছর বেশি হবে, সেটা আমাদের আশঙ্কা ছিল,” বলেন তিনি।
সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু সংক্রমণ হয়েছিল ২০১৯ সালে।
সেবছর এক লাখের বেশি মানুষ রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর মারা গিয়েছিলেন ১৭৫ জনের বেশি।
তবে বেসরকারিভাবে মৃতর সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলে ধরা হয়।
ডেঙ্গু রোগীরা কেন হুমকীর মুখে?
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, এখন যেহেতু করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী, চারপাশে অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, তাই কারো জ্বর আসলেই ধরে নেয়া হয় যে তার কোভিড হয়েছে।
তিনি জানান, কোভিড আর ডেঙ্গু-দুই ক্ষেত্রেই জ্বরের উপসর্গটি সাধারণ হওয়ার কারণে এই সমস্যাটি হচ্ছে।
এছাড়া ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষার ফল আসতেও কিছুটা সময় লেগে যায়। যার কারণে ডেঙ্গু রোগীদের জটিলতা বেশি হচ্ছে এবং তাদের তখন হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।
অন্যদিকে কোভিডের কারণে হাসপাতালে শয্যা পাওয়া যাচ্ছে না, কারণ কোন শয্যা খালি থাকছে না।
“ফলে কী দাঁড়াচ্ছে, আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা থেকে অনেকটাই অবহেলিত ও বঞ্চিত।”
তিনি বলেন, “দুটো মহামারি যদি একত্রে চলমান থাকে, তাহলে মানুষের জীবনের জন্য একটি প্রবল হুমকি হয়ে যাবে, এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কখনোই এই চাপ নিতে সক্ষম হবে না।”
হাসপাতালে জায়গা পাওয়া কষ্টকর
ড. চৌধুরীর বক্তব্যর প্রতিফলন পাওয়া গেল ঢাকার আরেকটি পরিবারের সাথে কথা বলে।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর সম্প্রতি সেরে উঠেছেন মেহনাজ হোসেইন অনন্যার মা। তবে কোভিড পরিস্থিতির কারণে হাসপাতালে ভর্তি করাতেও বেশ বেগ পেতে হয়েছিল তাদের।
“হাসপাতালে ভর্তি করানোর আগে প্রচুর হাসপাতাল ঘাটাঘাটি করি। পরিচিতদের মাধ্যমে ভর্তি করানোর চেষ্টা করি কিন্তু পাচ্ছিলাম না,” মিস হোসেইন বলেন।
”পরে একটি হাসপাতালে সিট পেয়ে ভর্তি করাই।”
হোসেন জানান, শুরুতে শুধু জ্বর থাকলেও পরে শরীর ব্যথাসহ আরো কিছু উপসর্গ বেড়ে গেলে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তার মাকে।
টানা ১৪ দিন ধরে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালেই থাকতে হয়েছে তাকে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতেই অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে। সেখানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হলে, সংক্রমণ থামানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই। সেক্ষেত্রে পদক্ষেপ অতি দ্রুত নিতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. রোবেদ আমিন বলেন, হাসপাতালের আইসিইউগুলো কোভিড রোগীদের চিকিৎসাতেই বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে ডেঙ্গু রোগীরা কিছুটা সংকটের মুখে পড়ছেন।
এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে নন-কোভিড কয়েকটি হাসপাতালগুলোকে ডেঙ্গুর জন্য নির্ধারিত করা যায় কিনা সে বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা সিটি কর্তৃপক্ষ কী বলছে?
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ৬৪২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৬১৮ জনই ঢাকায়।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ২২৫ জন। আর ঢাকার বাইরে এই সংখ্যা ৬৭ জন।
রাজধানীতে মশা নিধনের দায়িত্বে থাকা সিটি কর্পোরেশন বলছে, যেহেতু এডিস মশা পরিষ্কার পানিতে জন্মায় এবং এর উৎস বাসা-বাড়িতেই বেশি থাকে, তাই মশা নিধনে জনগণ সচেতন হয়ে পদক্ষেপ না নিলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণের দায় যেমন কর্তৃপক্ষের রয়েছে ঠিক তেমনি নাগরিকদেরও রয়েছে।
তিনি বলেন, জনসচেতনতা যদি তৈরি না হয় তাহলে মশা মারার জন্য কীটনাশকের ব্যবহার দ্বিগুণও করে দেয়া হয়, কিংবা জনবলও যদি দ্বিগুণ বা তিনগুণও করা হয় তাহলেও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে না।
জনসচেতনতা তৈরিতে সিটি কর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার রোগীদের মধ্যে শতকরা ৯৭ ভাগের বেশিই রাজধানী ঢাকায়।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন