প্রকৃতিতে হেমন্ত এসে গেছে। এরপরই শীতের মৌসুম। তাপমাত্রা কমতে শুরু করলে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় করোনাভাইরাসে পুনরায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। এই সংক্রমণের পরে প্রতিরক্ষামূলক অ্যান্টিবডিগুলো কতক্ষণ সত্যই স্থায়ী হয় সে সম্পর্কে আরও আলোকপাত করেছে এই জার্নাল। এমনটাই প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া-
করোনাভাইরাসে পুনরায় সংক্রমণ অস্বাভাবিক তবে সম্ভব ১৩ অক্টোবর প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, পুনরায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে খুব কমই দেখা যেতে পারে, তবে তা অসম্ভব নয়। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বিজ্ঞান জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণার ফলাফলগুলো নিশ্চিত করেছে যে, একজন একাধিকবার এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে এবং এটি পুরোপুরি সেরে যাওয়ার পরে অ্যান্টিবডিগুলো ঠিক কতদিন স্থায়ী হতে পারে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পুনরায় আক্রান্তের বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম নিশ্চিত করা হয় করোনাভাইরাস মহামারীতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর একটি হলো আমেরিকা। পুনরায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনা আমেরিকায়ই প্রথম ঘটেছে। গবেষণা অনুসারে, আপনি দ্বিতীয়বার করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হবেন না- এই নিশ্চয়তা কেন দেয়া যাচ্ছে না সেকথাও বলা হয়েছে। আক্রান্ত রোগী মাত্র ৪৮ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক অ্যান্টিবডি সত্যই কতদিন স্থায়ী হয় সে ক্ষেত্রে এই ঘটনা একটি বড় প্রশ্ন ফেলেছে।
পুনরায় সংক্রমিত হলে লক্ষণ গুরুতর হতে পারে গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে, দ্বিতীয়বার আক্রান্ত আমেরিকান সেই পঁচিশ বছর বয়সী রোগীর ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের গুরুতর লক্ষণ দেখা দিয়েছিল। তাকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়েছিল এবং অক্সিজেন দিতে হয়েছিল। এ থেকে বোঝা যায়, করোনাভাইরাস সম্পর্কে আমাদের এখনও অনেক জানা বাকি। গবেষকরা বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, হংকং এবং ইকুয়েডরে পুনরায় সংক্রমণের আরও চারটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন।
পুনরায় সংক্রমণের ঘটনা কেবল উদ্বেগজনক নয়, এটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক অ্যান্টিবডি শরীরে কতক্ষণ স্থায়ী হয় তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এটি ভ্যাকসিন প্রস্ততকারীদের জন্যও যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। যদিও পুনরায় সংক্রমণের ঘটনাগুলো অস্বাভাবিক হতে পারে তবে এটি এখনও বোঝা যায়নি যে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির বিকাশ সত্ত্বেও পুনরায় আক্রমণের ক্ষেত্রে আরও মারাত্মক লক্ষণ রয়েছে কেন।
করোনাভাইরাসে পুনরায় আক্রান্ত হতে পারেন, বলছে গবেষণা
করোনাভাইরাসে পুনরায় আক্রান্ত হতে পারেন, বলছে গবেষণা
করোনাভাইরাসে পুনরায় আক্রান্ত হতে পারেন, বলছে গবেষণা
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন