কোভিড-১৯ মহামারির এ সময়ে শরীর সুস্থ রাখতে ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ডির ভূমিকা ও গুরুত্ব নতুন করে আলোচিত হচ্ছে। ভিটামিন ডি চর্বিতে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন, যা ‘সানশাইন ভিটামিন’ হিসেবে পরিচিত।
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি তৈরি হলে তা দেহের অভিযোজিত রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ত্বরান্বিত করে। ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধক উপাদান টি-সেল ও অ্যান্টিজেন–সমৃদ্ধ কোষগুলো সক্রিয় হয় এবং দেহকে বাইরের রোগজীবাণু থেকে সুরক্ষা দেয়। ভিটামিন ডি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও ইমিউনোরেগুলেটরি উভয় বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, যা দেহের সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে সক্রিয় করার জন্য অপরিহার্য। তাই ভিটামিন ডির ঘাটতিতে শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ যেমন, যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, অ্যাজমাসহ অনেক ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
গবেষণা বলছে, দেহে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না থাকলে তা ‘সাইটোকিন স্টর্ম’ নামের প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয়; ফলে এই অতিরিক্ত সাইটোকিন দেহের কোষকলাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে সংক্রমণের হার বাড়ায়। এই সাইটোকিন একধরনের প্রোটিন যা দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভিটামিন ডি স্টেরয়েড হরমোন হিসেবে জিন এক্সপ্রেশন নিয়ন্ত্রণ করে; অর্থাৎ দেহের প্রোটিন তৈরিতে নিয়ন্ত্রণকারীর ভূমিকায় থাকে। আর প্রোটিন দেহে মজবুত রোগ প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলার মূল ভিত্তি।বিজ্ঞাপনবিজ্ঞাপন
সাম্প্রতিক সময়ের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। বিশ্বজুড়ে কিছু জরিপে দেখা গেছে, যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের ৮০ শতাংশেরই শরীরে ভিটামিন ডির ঘাটতি রয়েছে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বা ইমিউনিটি বাড়ানো ছাড়াও ভিটামিন ডি দেহের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশ নেয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—দাঁত, হাড় ও মাংসপেশিকে সুস্থ রাখা। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না থাকলে দেহে ক্যালসিয়ামের শোষণ ও হাড়ের মিনারালাইজেশন ব্যাহত হয়, যা হাড়ক্ষয়ের সূচনা করে। এর অভাবে শিশুরা রিকেটসে ও প্রাপ্তবয়স্করা অস্টিওম্যালেসিয়াসহ বিভিন্ন হাড়ের রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
ভিটামিন ডি রক্তে ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের সঠিক মাত্রা বজায় রাখে, যা দেহের স্বাভাবিক মাংসপেশির সংকোচন, স্নায়ুর উদ্দীপনা পরিবহন, হাড়ের মিনারালাইজেশনসহ দেহকোষের সার্বিক কার্যকারিতায় সাহায্য করে। এ ছাড়া ভিটামিন ডি দেহে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করার মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে, বিষণ্নতা, আলঝেইমার, খিটখিটে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে অর্থাৎ মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতেও ভিটামিন ডি প্রয়োজন। গবেষকদের দাবি, বিষণ্ন ব্যক্তিদের ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দিলে উন্নতি লক্ষ করা যায়।বিজ্ঞাপন
কীভাবে পাবেন ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি মূলত আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি, অর্থাৎ সূর্যালোকে থাকে এবং চামড়ার ওপরের ভাগ থেকে শরীরে প্রবেশ করে। সূর্যরশ্মির সংস্পর্শে এলে শরীর নিজেই ভিটামিন ডি তৈরি করতে শুরু করে। কোনো কারণে ব্যক্তি দিনের পর দিন সূর্যের আলোর সংস্পর্শে না এলে ভিটামিন ডির অভাব হতে পারে। এ ছাড়া শরীরের অভ্যন্তরে ভিটামিন ডি কার্যকর হওয়ার জন্য কিডনি ও যকৃতের সুস্থতা দরকার হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের দেশে ৮০ শতাংশ মানুষের দেহেই ভিটামিন ডির অভাব রয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে দিনের বেলা বাইরের থেকে অভ্যন্তরে, যেমন বাড়ি বা অফিসে আমরা সময় বেশি কাটাই। কোভিড অতিমারিতে শিশু ও বয়স্করা বাড়ির বাইরে প্রায় যাননি বলা যায়। তাই এ সময় ভিটামিন ডির অভাব আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সূর্যালোকের সংস্পর্শে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় কাটালে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার ইউনিট ভিটামিন ডি দেহ গ্রহণ করতে পারে।
খাবার থেকে মানবদেহ ৩০ শতাংশ ভিটামিন ডি গ্রহণ করে, কিন্তু বর্তমানে ডায়েট সচেতন অনেকেই কোলেস্টেরল–সমৃদ্ধ খাবার পুরোপুরি ত্যাগ করেন। দেহে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখতে হলে সুষম ডায়েটে থাকতে হবে। স্বাস্থ্যকর স্নেহজাতীয় খাবার গ্রহণের মাধ্যমে ভিটামিন ডি পেতে পারি। খাবারে তেলের ব্যবহারের দিকে নজর রাখতে হবে। সাধারণত ডিমের কুসুম, পনির, তেল, ঘি, কডলিভার অয়েল বা কড মাছের তেল, কাঠবাদামের দুধ, ফর্টিফায়েড সিরিয়াল ও জুস, টক দই, সামুদ্রিক ও চর্বিযুক্ত মাছ, রোদযুক্ত পরিবেশে বেড়ে ওঠা প্রাণীর মাংস, সয়াবিন থেকে তৈরি খাবার, গরুর কলিজা, রোদে বেড়ে ওঠা মাশরুম ইত্যাদি থেকে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাওয়া যেতে পারে। ফর্টিফায়েড ফুড সেই অভাব দূর করতে পারে। ভিটামিন ডি–সমৃদ্ধ ফর্টিফায়েড খাবার হলো পাউরুটি, সিরিয়াল, দুধ, পনির, সয়াফুড ও কমলালেবুর জুস।
কীভাবে বুঝবেন
ভিটামিন ডির অভাবজনিত উপসর্গ তেমন স্পষ্ট বোঝা যায় না। তবে ক্লান্তি ও দুর্বলতা, চুল পড়া, ঘন ঘন সর্দি–কাশি ও অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা, ক্ষত পূরণে দেরি, কাজে আগ্রহ কমে যাওয়া, বিষণ্নতা দেখা দেয়, মাংসপেশিতে ব্যথা হয়। রক্তে ভিটামিন ডির মাত্রা নিরূপণ করা যায়।
কারা ঝুঁকিতে বেশি আছেন?
বয়স্কদের চামড়ার নিচে চর্বি বা কোলেস্টেরল কমে গেলে তাঁরা দ্রুত ভিটামিন ডির ঘাটতিতে আক্রান্ত হন। বয়স্করা বাড়িতে থাকেনও বেশি। ত্বকে মেলানিন বেশি থাকলে আলট্রাভায়োলেট ঢুকতে পারে না, এ ক্ষেত্রেও ভিটামিন ডির ঘাটতি হয়। এ ছাড়া ত্বকে অতিরিক্ত পরিমাণে সানস্ক্রিন ব্যবহারে, রোদ পৌঁছায় না এমন জায়গায় বসবাস, স্থূল শিশু-কিশোর যাদের ত্বকের বিভিন্ন স্থানে কালো অংশ দেখা দিচ্ছে, ধর্মীয় বা অন্য কারণে পোশাকে প্রায় সারা দেহ আবৃত করে রাখা ব্যক্তি, সারাক্ষণ প্রাতিষ্ঠানিক জীবন যাপন (হোস্টেল, হাসপাতাল বা অফিস) করেন এমন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে আছেন।
কতটুকু চাই
১ থেকে ৭০ বছর বয়সী মানুষের গড়ে প্রতিদিন ৬০০ আইইউ এবং ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের ৮০০ আইইউ ভিটামিন ডি গ্রহণ করা দরকার। এই চাহিদা যদি স্বাভাবিকভাবে পূরণ না হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। বয়স্ক ব্যক্তি, মেনোপজ হয়ে গেছে এমন নারী, কিডনি রোগীর চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিত।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন