আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

এক স্থানেই ৯০ তিমির মৃত্যু

তাসমানিয়া উপকূলের ম্যাককুয়েরি হেডসের তিনটি স্থানে আটকে পড়া ২৭০টির মতো তিমি পাওয়া গেছে। অস্ট্রেলিয়া, ২১ সেপ্টেম্বর

অস্ট্রেলিয়ার দ্বীপ রাজ্য তাসমানিয়ার উপকূলে অন্তত ৯০টি তিমির মৃত্যু হয়েছে।  উদ্ধারকারীরা বলছে, উপকূলে ২৭০টির মতো তিমি এসেছে—যার এক-তৃতীয়াংশেরই প্রাণহানি ঘটল। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ধারকারীরা আজ মঙ্গলবার উপকূল থেকে ২৫টি তিমি সাগরে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। আরও কিছু পাঠাতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার দ্বীপের পশ্চিম উপকূলের বালুচর ও অগভীর পানিতে প্রথম এই তিমিগুলো চোখে পড়ে। এগুলোকে পাইলট তিমি বলা হয়। পাইলট তিমি হলো ডলফিনের গোত্রভুক্ত। এ প্রজাতির তিমি ৭ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে, ওজন হয় তিন টন পর্যন্ত।

প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া বাকি পাইলট তিমিগুলোকে গভীর সাগরে পাঠানোর চেষ্টা করছেন

তবে ঠিক কি কারণে এতগুলো তিমি উপকূলে ওঠে এসেছে তার কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি সেখানকার প্রাণীবিদেরা। বন্যপ্রাণী বিষয়ক প্রাণীবিদ ক্রিস কার্লিয়নের ধারণা, পথ ভুলে এসব তিমি উপকূলে চলে এসেছে। দলবদ্ধ হয়ে বসবাসকারী এসব তিমি দলনেতাকে অনুসরণ করে চলাচল করে। হয়তো দুই-একটি তিমি পথ ভুল করেছে, আর স্বভাবজাত কারণে অন্যরাও পিছু নিয়েছে।

কার্লিয়ন বলেন,  পাইলট তিমি সৈকতে তিন থেকে চার দিন বাঁচতে পারে, এ সময় এদের অনেকগুলোই স্থিতিশীল থাকে। আটকে পড়া তিমি গভীর জলে ফেরত পাঠাতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।

তাসমানিয়ান মেরিটাইম কনজারভেশন প্রোগ্রামের ৪০ জন প্রশিক্ষিত উদ্ধারকর্মী সোমবার সন্ধ্যা থেকে এই তিমি উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। তবে উদ্ধারকর্মীদের এই অভিযান মোটেও সহজ নয়। তাঁরা জানিয়েছেন, দ্বীপের ম্যাককুয়েরি হেডস এলাকাজুড়ে তিনটি দলে তিমিগুলোকে পাওয়া গেছে। প্রত্যন্ত এই অঞ্চলে যাওয়ার তেমন কোনো রাস্তা নেই, জলযানও সীমিত আকারে চলাচল করে। প্রায় ২০০টি তিমি একটি নৌঘাটের কাছে বালুচরে পাওয়া যায়। এর কয়েক শ মিটার দূরে পাওয়া যায় আরও ৩০টি। আরও ৩০টি তিমি পাওয়া যায় কাছাকাছি আরেকটি জায়গায়।

তাসমানিয়া উপকূলের ম্যাককুয়েরি হেডস এলাকায় আটকে পড়া পাইলট তিমি। অস্ট্রেলিয়া, ২১ সেপ্টেম্বর

তিমিগুলোর শারীরিক অবস্থাও সাঁতার কাটার অনুকূলে নেই জানিয়ে ক্রিস কার্লিয়ন বলেন, সাধারণত তাঁরা সমুদ্র সৈকতের শুকনো স্থানে আটকে পড়া প্রাণীদের উদ্ধার করে থাকেন। কিন্তু ‘আধভেজা’ এই তিমিগুলোর শারীরিক অবস্থা পুরোপুরি ভাসতে সক্ষম নয়। ফলে তাদের ভাসিয়ে গভীর পানিতে নেওয়া ঝক্কির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই অঞ্চলে তিমি সৈকতে ওঠে আসা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তবে এক সঙ্গে এত তিমি আসা এক দশেরও বেশি সময়ে দেখা যায়নি। তাসমানিয়ায় এর আগে ২০০৯ সালে ২০০ টির মতো তিমি সৈকতে আটকে পড়া রেকর্ড করা হয়েছিল। অবশ্য ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ডের পূর্ব উপকূলে এক সপ্তাহে ২০০টি বেশি পাইলট তিমির মৃত্যু হয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের উপকূলগুলোতে প্রতিবছরই বিভিন্ন ধরনের তিমির জায়গা বদল ঘটে

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com