বলিউডের অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের দর্শকপ্রিয়তা নেহাত কম নয়। বলিউডের সর্বকনিষ্ঠ এ নায়িকা তার অভিনয় দিয়ে জয় করেছেন ভক্তকূলের মন।
তার উচ্চতা, শারীরিক গড়ন, চেহারা ও মুখের টোল পড়া হাসি মুগ্ধ করে সবাইকে। বেশিরভাগ সিনেমাতেই আলিয়াকে ন্যাচারাল লুকে দেখা যায়। তিনি ততটা মেকআপফ্রিক নন।
আলিয়া সবসময় মেকআপ ছাড়াই থাকতে পছন্দ করেন। তার মসৃণ ও কোমল ত্বক দেখলে যে কেউ অবাক হয়ে যায়। আলিয়ার ভক্তকূলের মনে প্রশ্ন, কীভাবে তিনি ত্বকের যত্ন নেন? যদিও আলিয়া তার সৌন্দর্য রহস্য কারো কাছেই গোপন করেননি।
আলিয়া ভাট জানান, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার মা কখনো আমাকে মেকআপ ব্যবহার করতে দেননি। আমার বয়স যখন ১৫ বা ১৬ বছর তখন জন্মদিনের অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো মা আমাকে মেকআপ ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন।’ জেনে নিন আলিয়াল রূপচর্চা টোটকা-
>> চোখের ফোলাভাব দূর করতে আলিয়া বরফের টুকরো ব্যবহার করেন। ডার্ক সার্কেল কিংবা পাফি আইয়ের সমাধান আছে আইস কিউবে। তাই সময় পেলে কিংবা ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের ফোলভাব দূর করতে এ টোটকা ব্যবহার করেন আলিয়া ভাট।
>> প্রাকৃতিক ও ভেষজ উপাদান ব্যবহার করে ত্বক ও চুলের যত্ন নেন আলিয়া। তিনি সবসময় চেষ্টা করেন ত্বকে মুলতানি মাটি ব্যবহার করতে। প্রতিদিনের ফেসকেয়ার রুটিনে আলিয়া মুলতানি মাটি ব্যবহার করেন। ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ব্রণ, তৈলাক্ততা ও দাগ দূর করে এ উপাদান।
>> মেকআপের পর তা উঠানোর ক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী হন আলিয়া। তার মতে, ত্বকে মেকআপ লেগে থাকলে বা ভালোভাবে পরিষ্কার না হলে ব্রণ, কালচে ভাবসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করা উচিত।
>> জানলে অবাক হবেন, আলিয়া রাতে ত্বককে বিশ্রাম নিতে দেন। এজন্য তিনি রাতে কোনো ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন না। ঘুমানোর আগে একটি হারবাল ফেসওয়াশ ব্যবহার করে মুখ পরিষ্কার করেই ঘুমাতে যান আলিয়া।
>> সময় থাকলে আলিয়া নিজেই তৈরি করেন ফেসপ্যাক। তিনি জানান, ‘আমার যদি পর্যাপ্ত সময় থাকে; তবে পেঁপে বা কমলার গুঁড়োর সঙ্গে মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য মুখে ব্যবহার করি।’
>> আলিয়া ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে কখনো ভুলেন না। কারণ ময়েশ্চারাইজার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
>> আলিয়া সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করেন। এতে তার ত্বক আর্দ্র থাকে এবং উজ্জ্বলতা ধরে রাখে। আলিয়া তার ভক্তদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা এবং তাজা ফলের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন