ফল
আমে কেমিক্যাল ব্যবহার কি ক্ষতিকর?
লেখক
জাগোনিউজ২৪.কমদেখতে আকর্ষণীয় ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় প্রায় সব বয়সী মানুষেরই আম পছন্দ। এ ছাড়া আমে রয়েছে আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলস। তাই আম হলো ফলের রাজা। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় আম সাধারণত উষ্ণ ও অবউষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে জন্মে। ইন্দো-বার্মা অঞ্চলে আমের উৎপত্তিস্থল বলে ধারণা করা হয়। তবে বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যবহার ও পুষ্টিমানের কারণে ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল হলো আম। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে আম জন্মে। দেশের উত্তরাঞ্চল, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর এবং কুষ্টিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এর ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। তাই আমে কেমিক্যাল ব্যবহার নিয়ে লিখেছেন ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ও আব্দুল কাইয়ুম—
মধুমাস খ্যাত জুন-জুলাই মাসে সারাদেশেই কম-বেশি আম পাওয়া যায়। স্বাদে-গুণে ভরা নানা বৈচিত্র্যের আম এখন দেশ পেরিয়ে ইউরোপেও রফতানি হচ্ছে। জুন-জুলাই মাস এলে সারাদেশ যেন আম-কাঁঠালের উৎসবে মেতে ওঠে। প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগের পরেও আম-কাঁঠালের গন্ধে চারদিক এখন ম ম করছে। আম বাগানি ও ব্যবসায়ীদের কর্মব্যস্ততায় এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেক এলাকায় উৎসবের আমেজ। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এ চিরচেনা উৎসবের কোথাও যেন একটা ফাটল ধরেছে। দ্বিধা ও সঙ্কোচ অদৃশ্য এক বিষের ভয়, কােথাও যেন স্বস্তি নেই। গবেষণা ছাড়া অনেকের না বুঝে আম নিয়ে এমন অতিকথন আম বাগানী ও সংশ্লিষ্টদের আরও বিপদসংকুল করে তুলেছে। আমে ক্ষতিকর বিষের উপস্থিতি আছে কি-না এবং কী মাত্রা আমাদের জন্য ক্ষতিকর, সে বিষয়ে আমাদের ভালোভাবে জানা উচিত।
এ কথা অনস্বীকার্য যে, গত কয়েক বছর যাবৎ আমের উৎপাদন বেড়েছে বহুগুণে। উত্তরাঞ্চল ছাড়িয়ে আম এখন ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। আমরা এখন আম উৎপাদনে বিশ্বে ৮ম। এসব ভালো খবর প্রচারের সাথে যোগ হয়েছে অপপ্রচারও। ফল নিয়ে নানা অপপ্রচারের কারণে বিত্তশালী অনেকে আতঙ্কে দেশীয় আম খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। গবেষণা ছাড়া আম নিয়ে নেতিবাচক অনেক গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে দেশীয় ফলের বাজার চলে যাচ্ছে মাফিয়াদের হাতে। এতে উপকৃত হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তানের আম ব্যবসায়ীরা। যারা ইউরোপে আম রফতানি করে আয় করছে লাখ লাখ ডলার ইউরো। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, ভেজাল বিরোধী নানা অভিযানের ফলে আজ ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে। অভিযান ও গণমাধ্যমে প্রচারের সুবাদে কুচক্রী ও অসাধু ব্যবসায়ীরা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির আওতায় এনে এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
আমের মধ্যে কেমিক্যালের ব্যবহার হচ্ছে- এ কথা ভেবে যদি আমরা আম খাওয়া ছেড়ে দেই, তাহলে আমরা সুলভ ও সহজলভ্য নানা পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হব। আম নানা পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। যা শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি কর্মশক্তি জোগাতেও সহায়তা করে। প্রতি ১০০ গ্রাম আমে ২৭৪০ মাইক্রাে গ্রাম ক্যারােটিন থাকে। এতে ১.৩ গ্রাম আয়রন, ১৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১৬ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ০.৯ মিলিগ্রাম রিভাফ্লভিন এবং ০.০৮ মিলিগ্রাম থায়ামিন থাকে। এ ছাড়াও পাকা আমে রয়েছে জিংকসহ প্রচুর ভিটামিন বি-১ ও বি-২। এসব সহজলভ্য পুষ্টি উপাদান না গ্রহণ করার ফলে নানা রােগ-বালাইয়ের সমস্যা যেমন তৈরি হচ্ছে; তেমনি অপুষ্টিতেও ভুগছে অসংখ্য মানুষ। আর করােনাকালের এ সময় আমের এসব পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই কেমিক্যাল দিয়ে আম পাকানাে হয়েছে এ অভিযােগে কােন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া হাজার হাজার মন আম ধ্বংস করার আগে কেমিক্যালের ফলে ক্ষতিকর মাত্রা কতটুকু, তা নিয়ে আমাদের আরও বেশি ভাবতে হবে।
এবার আসি বাজারের কিছু চাকচিক্য প্রচারণায়। কেমিক্যাল কিংবা কার্বাইড ও ফরমালিনমুক্ত আম-এখন এক ধরনের প্রচারণা মাত্র। আর এসব প্রচারণা চালিয়ে দুষ্টুচক্রের ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে বহু টাকা। ইতোমধ্যে ফরমালিন ও কার্বাইডের ব্যবহার আমাদের দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ রয়েছে। তবে সীমিত পরিসরে এখনও অনেক ব্যবসায়ী অন্যকােনো নামে এদের ব্যবহার করছে বলে জানা যায়। আর ইথাফন হলো বিশ্বের বহুল ব্যবহত ফল পাকানাের রেজিস্ট্রার্ড কেমিক্যাল। নির্দিষ্ট মাত্রায় ফল পাকানোর কেমিকেল হিসেবেই তা বিশ্বে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যদিও আমাদের দেশে যেভাবে ইথাফন ব্যবহার করার কথা, তা না মেনে অনেক সময় বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশে কার্বাইড নিষিদ্ধের কারণ হলো, এরমধ্যে বিভিন্ন অপদ্রব্যের উপস্থিতি যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া কার্বাইড ফলের মধ্যে প্রবেশ করে না, কার্বাইড হিট উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, যা আম অথবা অন্য ফলকে পাকাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ইথাফন প্রয়ােগ করা হলেও সেটা কম সময়ের মধ্যেই (২৪ ঘণ্টা) নির্ধারিত মাত্রার নিচে চলে আসে। মজার ব্যাপার হলো, ইথাফন এবং কার্বাইডকে তাৎক্ষণিকভাবে মাপার জন্য কােন যন্ত্র আমাদের দেশে এখনও নেই। আর ইথাফন কিংবা কার্বাইড দিয়ে পাকানাে আমের স্বাদে কিছুটা তারতম্য মনে হলেও এর পুষ্টি উপাদানে খুব বেশি পরিবর্তন হয় না।
আম পাকানাের জন্য ফরমালিন কােনভাবেই দায়ী নয়। প্রাকৃতিকভাবেই আমের মধ্যে ফরমালডিহাইড থাকায় তা আমকে পাকাতে সাহায্য করে। এছাড়া বাহির থেকে ফরমালিন প্রয়ােগ করা হলেও তা আমের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। এ ছাড়া গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ফরমালিন ফল ও শাক-সবজিতে কাজ করে না। এটি শুধু আমিষে কাজ করে। তবে ফরমালিন শোধনে চমৎকার ভূমিকা পালন করায় আমের মধ্যে পচনক্রিয়ায় সাহায্যকারী অনুজীবগুলোর উপস্থিতি কমে যাওয়ায় আমের পচনকাল দীর্ঘ হয় বলে অনেক গবেষক মত দিয়েছেন। এ নিয়ে আরও বিস্তর গবেষণা করে তা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। ফরমালিন নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আর তাই বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বাগানি ও ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণ না দিতে পারলে অযাচিত বিভিন্ন কেমিক্যালসের ব্যবহার রয়েই যাবে।
এ কথা সত্যি যে, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে নানা রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে আম বাগানে বালাইনাশকের ব্যবহার বাড়ছে। সঠিক সময়ে রোগ ও পোকামাকড় দমন করতে ব্যর্থ হলে আমের ফলন মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়। ছোট আকারের বাগানের ক্ষেত্রে অন্যান্য দমন পদ্ধতি যেমন- আক্রান্ত পাতা বা গাছের অংশ ছিড়ে ফেলা, পোকার ডিম বা কীড়া সংগ্রহ করে ধ্বংস করা, জাল দিয়ে পোকা সংগ্রহ করে নষ্ট করা ইত্যাদি কার্যকর হলেও বড় বাগানে রোগ বা পোকামাকড় দমনের জন্য বালাইনাশক স্প্রে করা ছাড়া আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী অন্যকোন উপায় নেই। আমের ফলন নির্ভর করে মূলত আম গাছে মুকুল বা পুষ্পমঞ্জরীর সংখ্যার উপর। তাই আমের মুকুলে রােগ বা পােকার আক্রমণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে জরুরি পদক্ষেপ নিতে নির্দিষ্ট মাত্রার সঠিক বালাইনাশকের ব্যবহার করতে না পারলে তা ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। যদিও বর্তমানে রোগ-বালাইনাশক নিয়ে নানা গবষণা আমাদের আশার আলাে দেখাচ্ছে। তবে বালাইনাশক বা ছত্রাকনাশক সর্বশেষ স্প্রে করার ১৫-২০ দিনের মধ্যে আম খাওয়া যাবে না, তাই আম পাড়ার কমপক্ষে ২০ দিন আগেই স্প্রে বন্ধ করতে হবে। সমস্যা হলো, অনেক অসাধু ব্যবসায়ী অনেক সময় অতি মুনাফার লাভে এসব বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখেন না। যা আমাদের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এখন প্রশ্ন হলো, এ বালাইনাশক বা ছত্রাকনাশক আম আমাদের জন্য কতটুকু ক্ষতিকর? গত তিন বছর ধরে আমের মধ্যে বিষক্রিয়ার উপস্থিতি নিয়ে কাজ করছেন কৃষি গবেষণার কীটতত্ত্ব বিভাগের পেস্টিসাইড অ্যানালাইটিক্যাল ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা। বালাইনাশকের উপস্থিতির মাত্রা নিয়ে কাজ করা সিনিয়র বিজ্ঞানী ড. দেলোয়ার হোসেন প্রধান জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহকৃত আমের এ গবেষণায় মাত্র ৮-১০% আমের মধ্যে বালাইনাশকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যার আবার শুধু ৩-৪% Maximum Residue Limit (MRL) অতিক্রম করেছে। অর্থাৎ সামগ্রিক হিসেবে হয়তো ১-২% আমের মধ্যে বালাইনাশকের উপস্থিতি আমাদের জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের গবেষণাগুলো আমাদের জাতীয়ভাবে খুব বেশি প্রচার পায় না বলেই আমরা যা খুশি বলে দেই। আর এতে সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের অর্থনীতি। তাই ঢাকায় একটি ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করে এসব বিষয়ে আরও বেশি প্রচার করা এখন সময়ের দাবি। আশার কথা হলো, পুষ্টিমান ঠিক রেখে খাবার কিভাবে আরও বেশি নিরাপদ রাখা যায়, সে বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের সহযােগিতায় একটি প্রকল্প শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে কাজ শুরু করেছে। যা সফলভাবে সম্পন্ন হলে হয়তো আমরা আরও বেশি নিরাপদ খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে পারব।
আম পচনশীল ফল। বেশি পাকা অবস্থায় সংগ্রহ করলে সংরক্ষণকাল কম হয়। অধিকাংশ জাতের আম ১৩-১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাএায় ও ৮৫-৯০% আপেক্ষিক আদ্রতায় বাঁশের ঝুড়ি, বাস্কেট, খড় বিছানো স্থানে ৩-৫ সপ্তাহ সংরক্ষণ করা যায়। গাছ থেকে সাবধানতার সাথে আম পেড়ে আমের আঠা বা কষ ছাড়িয়ে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রার গরম পানিতে শোধন করে ভালোমতো শুকিয়ে তারপর প্যাকেটজাত করলে এতেও ভালো ফল পাওয়া যায়। আম পাড়ার পর চুন পানিতে কিছুক্ষণ চুবিয়ে তারপর ভালোমত শুকিয়ে রাখলে আমের স্টেম অ্যান্ড রট নামক রোগ থেকে বাঁচা যায় বলে মত দিয়েছেন কোন কোন গবেষক। এ ছাড়া আম ও লিচু পানিতে ভালো করে ধুয়ে তারপর খেলে স্বাস্থ্যের জন্য তেমন ঝুঁকি থাকে না। বেশি সতর্কতার জন্য লবণ পানিতে ধুয়ে খাওয়া যেতে পারে। যেহেতু চামড়া ছিলে খাওয়া হয়, তাই আমের স্বাস্থ্যঝুঁকি খুবই কম বলে মনে করেন আম নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীরা।
তাই সবশেষে বলতে চাই, অনলাইন কিংবা কুরিয়ার পরিবহনে আম আনার পর আম পচে গেলে শুধু আমচাষি কিংবা ব্যবসায়ীদের দােষারােপ না করে এর প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা জরুরি। বিশ্বে করােনাভাইরাসের কঠিন এ পরিস্থিতির মধ্যেও বর্তমান বাংলাদেশে আমরা সুলভ মূল্যে যে আম পাছি, তার জন্য আম বাগানি ও ব্যবসায়ীদের অবশ্যই ধন্যবাদ জানানো উচিত। দেশীয় ফল আম নিয়ে কােনো অপপ্রচার নয় বরং জেনে শুনে বুঝে বালাইনাশকের ব্যবহার নিয়ে মানুষকে সচেতন করি ও সহজলভ্য ফলগুলো বেশি বেশি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি। বাজার থেকে আম কিনে পরিপূর্ণ স্বাদ ও পুষ্টি পেতে চাইলে অবশ্যই পরিপক্কের নির্দিষ্ট তারিখের আগে আম খাওয়া ও বিপণন রােধ করি।
-
আমে কেমিক্যাল ব্যবহার কি ক্ষতিকর?
-
আমে কেমিক্যাল ব্যবহার কি ক্ষতিকর?
-
আমে কেমিক্যাল ব্যবহার কি ক্ষতিকর?
আপনার জন্য নির্বাচিত সংবাদ
-
লাভজনক সবজি চাষ পদ্ধতি
-
ছাদ বাগানের জন্য কয়েকটি টিপস
-
পুইশাক চাষ পদ্ধতি
-
যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে হতে পারে সারের সংকট
-
বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য
-
নাসিরনগরে বন্যায় তলিয়ে গেল কৃষকের বাদামখেত
-
পানি দিতে অতিরিক্ত টাকা
-
‘শিক্ষিত কৃষক’ বলেই তাঁকে নিয়ে মানুষের আগ্রহটা বেশি
-
ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বীজ কিনে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত
-
পেঁয়াজের ক্ষতি পুষিয়ে দিচ্ছে সাথি ফসল বাঙ্গি
মিরাজুল ইসলাম (৩৩)। ১০ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। আকামা জটিলতায় খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। এক বছর বেকার থাকার পর ইউটিউবে পতিত জমিতে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখেন। বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে নেমে পড়েন ড্রাগন চাষে। দেড় বছরের ব্যবধানে এখন উপজেলার সবচেয়ে বড় ড্রাগন বাগান তাঁর। এ বছর খরচ বাদে আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার ইন্দুরকানি গ্রামের বাসিন্দা মিরাজুল। উপজেলার টগরা গ্রামে দেড় একর জমিতে তিনি ড্রাগনের বাগান তৈরি করেছেন। তাঁর বাগানে এখন সাড়ে তিন হাজার ড্রাগন ফলের গাছ আছে।
মিরাজুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক হিসেবে ১০ বছর সৌদিতে কাজ করে ২০১৯ সালে দেশে ফেরেন তিনি। আকামা সমস্যার কারণে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কিছু একটা করবেন বলে ভাবছিলেন। একদিন ইউটিউবে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখতে পান। সেই থেকে ড্রাগন চাষে আগ্রহ জন্মে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেড় একর পতিত জমি ড্রাগন চাষের উপযোগী করেন। গাজীপুর থেকে ৬০ টাকা দরে ৬০০ চারা নিয়ে আসেন। বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শুরু করেন চাষাবাদ। পরের বছর জুনে ফল পাওয়া শুরু করেন।
ড্রাগনের বাগান করতে মিরাজুলের খরচ হয়েছিল ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ফল বিক্রি করে তাঁর খরচ উঠে গেছে। সাধারণত মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গাছে ফল আসে। বছরে ছয় থেকে সাতবার পাকা ড্রাগন সংগ্রহ করা যায়। এখন পরিপক্ব ও রোগমুক্ত গাছের শাখা কেটে নিজেই চারা তৈরি করেন। ড্রাগন চাষের পাশাপাশি বাগানে চুইঝাল, এলাচ, চায়না লেবুসহ মৌসুমি সবজি চাষ করেন। এ ছাড়া ড্রাগনের চারাও উৎপাদন করে বিক্রি করেন তিনি।
মিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাগানের বেশির ভাগ গাছে এ বছর ফল ধরেছে। গত মঙ্গলবার বাগান থেকে দেড় টন ফল সংগ্রহ করেছেন। ২৫০ টাকা কেজি দরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছেন। স্থানীয় বাজারে ৩০০ টাকা কেজি দরে ড্রাগন বিক্রি হয়। নভেম্বর পর্যন্ত আরও পাঁচ–ছয়বার বাগান থেকে ফল তোলা যাবে। আশা করছেন, খরচ বাদে এবার আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভ থাকবে।
মিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার বাগান থেকে চারা নিয়ে অনেকে বাড়িতে ও ছাদে ছোট পরিসরে ড্রাগনের বাগান করেছেন। আমি এ পর্যন্ত ৪০ টাকায় দেড় হাজার চারা বিক্রি করেছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ বয়সের একটি ড্রাগনের চারা রোপণের পর ২৫ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এর মৃত্যুঝুঁকি নেই বললেই চলে। তবে কয়েক দিন পরপর সেচ দিতে হয়। বৃষ্টির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হয়। ড্রাগন ফল চাষে রাসায়নিক সার দিতে হয় না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাতুন্নেছা বলেন, মিরাজুল ইসলামকে ড্রাগন চাষে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। উপজেলায় তাঁর বাগানটি সবচেয়ে বড়। তিনি নিরলস পরিশ্রম করে ছোট থেকে বাগানটি বড় করেছেন।
এগ্রোটেক
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি
লেখক
প্রথম আলোডাচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন।
গতকাল সোমবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অনুষ্ঠিত কৃষি খাতের ব্যবসাবিষয়ক এক সম্মেলনে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এগ্রি বিজনেস কনক্লেভে বাংলাদেশের প্রায় ৪০জন উদ্যোক্তা ডাচ কৃষি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি প্রযুক্তি সহযোগিতা ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছে ওয়েগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়।
আলোচনায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্রযুক্তি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিলে নেদারল্যান্ডসের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তি সহযোগিতা দিতে রাজি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে ডাচরা প্রস্তুত এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। এ ছাড়া ডাচ সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বীজ, পশু খাদ্য, পোলট্রি, হর্টিকালচার ও এ্যাকুয়াকালচার বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদন করেছে, যা ওই দেশের বেসরকারি খাতকে আরও উৎসাহিত করেছে।
আলোচনায় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করতে তৈরি আছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্কয়ার, ইস্পাহানি এগ্রো, একে খান অ্যান্ড কোম্পানি, প্যারাগন গ্রুপ, এসিআই, জেমকন গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ডাচ প্রযুক্তির প্রয়োগ সরেজমিনে দেখতে যাবেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের পোল্ট্রিখাতে সহযোগিতার আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে উল্লেখ করে মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের মধ্যে মৎস্য, পশুপালন ও হর্টিকালচারে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা আছে।
কনক্লেভ আয়োজনে প্রথমবারের মতো দূতাবাসের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কৃষি মন্ত্রণালয়, নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সি, নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ, ডাচ-গ্রিন-হাইজডেল্টা, লারিভ ইন্টারন্যাশনাল, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ।
কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারী নেদারল্যান্ডসের আয়তন বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের কম। ২০২১-এ কৃষিপণ্য ও খাদ্য রপ্তানি করে নেদারল্যান্ডস ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।
পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম তাঁর দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করে এবার প্রায় ৪০ হাজার টাকা লোকসান দিয়েছেন। অথচ পেঁয়াজের জমিতেই সাথি ফসল হিসেবে লাগানো বাঙ্গি থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকার মতো লাভ করবেন বলে আশা করছেন। এই বাঙ্গি আবাদে তাঁর কোনো খরচ হয়নি। ফলে পেঁয়াজ আবাদের ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।
সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বাঙ্গি আবাদ কইর্যা যে টাকা পাইল্যাম তা হলো আমাগরে ঈদের বোনাস। পেঁয়াজের দাম না পাওয়ায় আমরা (কৃষকেরা) যে ক্ষতির মধ্যে পড়িছিল্যাম, বাঙ্গিতে তা পুষায়া গেছে। এই কয়েক দিনে ১২ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচছি। সব মিলায়া ৫০ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচার আশা করতেছি।’
সাইদুল ইসলামের মতো পাবনার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলার অনেক কৃষক এবার পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গির আবাদ করেন। কৃষকেরা পেঁয়াজ আবাদ করতে গিয়ে বিঘায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন। সেই হিসাবে প্রতি মণ পেঁয়াজ উৎপাদনে তাঁদের খরচ হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকার বেশি। কিন্তু বাজারে সেই পেঁয়াজ কৃষকেরা বিক্রি করতে পেরেছেন প্রতি মণ ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এতে প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদে কৃষকদের এবার ২০ হাজার টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।
কৃষকেরা বলেন, পেঁয়াজের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গি, মিষ্টিকুমড়া, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জমিতে পেঁয়াজ লাগানোর পর তা কিছুটা বড় হলে এর ফাঁকে ফাঁকে এসব সাথি ফসল লাগানো হয়। পেঁয়াজের জন্য যে সার, কীটনাশক, সেচ দেওয়া হয়, তা থেকেই সাথি ফসলের সব চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। ফলে সাথি ফসলের জন্য বাড়তি কোনো খরচ হয় না।
কৃষকেরা বলেন, বাঙ্গিতেই কৃষকের লাভ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। রমজান মাস হওয়ায় এখন বাঙ্গির চাহিদা ও দাম দুই-ই বেশি।
সাঁথিয়ার শহীদনগর গ্রামের কৃষক আজমত আলী জানান, তাঁর জমিসহ এই এলাকার জমি থেকে ৮ থেকে ১০ দিন হলো বাঙ্গি উঠতে শুরু করেছে। এবার বাঙ্গির ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। বাজারে এসব বাঙ্গি আকারভেদে প্রতিটি ৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন দাম থাকলে এক বিঘা থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি হবে।
সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার গোস্বামী বলেন, পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসলের আবাদ কৃষকদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে তাঁরাও কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
জাতীয় ফল কাঁঠালের জ্যাম, চাটনি ও চিপস উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) শস্য সংগ্রহের প্রযুক্তি বিভাগের একদল গবেষক। তাঁরা কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করে মোট ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
গত শনিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিনা) ‘কাঁঠালের সংগ্রহত্তোর ক্ষতি প্রশমন ও বাজারজাতকরণ কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে এবং নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের সহযোগিতায় গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত হয়।
কর্মশালায় ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় আমরা কাঁঠালের প্রক্রিয়াজাত করে মুখরোচক ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসব পণ্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। কাঁঠালের জ্যাম, আচার, চাটনি, চিপস, কাটলেট, আইসক্রিম, দই, ভর্তা, কাঁঠাল স্বত্ব, রেডি টু কুক কাঁঠাল, ফ্রেশ কাট পণ্যসহ আরও বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত পণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। প্রক্রিয়াজাত পণ্যগুলো ঘরে রেখে সারা বছর খাওয়া যাবে। কাঁঠাল থেকে এসব পণ্য উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষক।’
কর্মশালায় নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের মুখ্য পরিদর্শক তারেক রাফি ভূঁইয়া বলেন, উদ্ভাবিত পণ্যগুলো বাজারজাত করার জন্য নিউভিশন কোম্পানি বিএআরআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ময়মনসিংহসহ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা ও উপজেলা শহরে পণ্যগুলো বিপণনের কাজ চলছে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাফিজুল হক খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্পেশালিস্ট (ফিল্ড ক্রপস) ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবু হানিফ। উপস্থিত ছিলেন নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের প্রকল্প ম্যানেজার কায়সার আলম।
ফল
কমলা চাষে সার ব্যবস্থাপনা, সেচ, আগাছা ব্যবস্থাপনা ও ফসল তোলা- দা এগ্রো নিউজ
লেখক
নিজস্ব প্রতিনিধিসার ব্যবস্থাপনা: প্রতি গর্তে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ১০০ গ্রাম টিএসপি সার ও এমওপি সার ১০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়।
সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা: চারা গাছের গোড়ায় মাঝে মাঝে পানি সেচ দিতে হবে। বর্ষাকালে গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেজন্য পানি নিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া কমলা গাছের আগাছা দমন করতে হবে।
ফসল তোলা: মধ্য কার্তিক থেকে মধ্য পৌষ মাসে ফল সংগ্রহ করতে হয়।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন