ফল
আমের জাত নিয়ে কিছু তথ্য
লেখক
নিজস্ব প্রতিনিধিআম যে আমাদের ফলের রাজা এ নিয়ে বোধ করি কারও মতভেদ নেই। পাকা আমের কথা মনে হলেই কেমন জিভে পানি এসে যায়। কত রকমের আম যে আমাদের রয়েছে ভাবলে অবাক হতে হয়। দেশজুড়ে আমের জাত বৈচিত্র্য সত্যি সত্যি আমাদের বিস্মিত করে। আকার আকৃতি স্বাদে বর্ণে গন্ধে একেকটি আমের রয়েছে একেক রকম বিশিষ্টতা। পাকা আমের মৌসুমে সে এক আশ্চর্য মৌ মৌ করা গন্ধ চারপাশে। যত্রতত্র চোখে পড়ে নানা রকম পাকা আম। দুধ ভাতের সঙ্গে আমের রস মিশিয়ে দিয়ে সে যে এক ভুড়িভোজন তার কোন তুলনা হয় না।
রসনা তৃপ্ত করে হাত ডুবিয়ে দুধে ভাতে রসে সে এক ভিন্ন রকম স্বাদ। আম যত মজাদার হয় এর স্বাদও তত বেড়ে যায়। আমের স্বাদের যে ভিন্নতা সেটি মূলত এর জাতের ওপর নির্ভরশীল। টক আর অতি মিষ্টি এবং এর মাঝখানে যত রকম স্বাদ রয়েছে সবই আমাদের আমের জাতগুলোতে রয়েছে। আমাদের পূর্ব পুরুষরা হাজার হাজার বছর ধরে নানা রকম আমের জাত বাছাই করে নিয়েছে। বংশপরম্পরায় এসব জাত বাড়ির আশপাশে বা ক্ষেতে খামারের আইলে রোপণ করে দিয়ে এদের সংরক্ষণ করে আসছে। এদেশের গ্রামেগঞ্জে কত ভিন্ন রকম আমের দেখা মেলে।
নানা রকম নাম দিয়ে এদের একটা জাতের গাছকে অন্য জাতের গাছের থেকে আলাদা করে চেনানোর চেষ্টা সেই ছোটবেলায়ই লক্ষ করেছি। মনে আছে একটি গাছের আম অনেক ছোট ছিল বলে গাছটার নাম দেয়া হয়েছিল ‘টরি’ আমের গাছ। আমের গাঁয়ে সিঁথির সিদুরের মতো রঙ ছিল যেসব গাছের এদের নাম দেয়া হয়েছিল ‘সিঁদুরে’ আমের গাছ। একটি লম্বা আম গাছে আমও ধরত লম্বা লম্বা বলে এই গাছটিকে বলা হতো ‘লম্বা’ আমের গাছ। হতে পারে অন্য কোন বাড়িতে এক জাতের আমকে অন্য জাত থেকে আলাদা করতে হয়তো অন্য কোন নাম দেয়া হতো। এসব কোন কেতাবি নাম নয়। মুখে মুখে বলা নাম। এদের অধিকাংশ জাত হিসেবে খুব প্রসিদ্ধও নয় যে এসব নাম মুখে মুখে ছড়িয়ে যাবে। ভাবতে অবাক লাগে আমাদের পূর্ব পুরুষরা ১০-১২ হাজার দেশি জাতের ধানের প্রতিটিরই ভিন্ন ভিন্ন নাম দিলেও জনপ্রিয় ফল আমের ক্ষেত্রে প্রায়শই দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য স্থানীয় জাতের আমের সে রকম নামকরণ করা হয়নি। দিনে দিনে গ্রামেগঞ্জে আমের এই জাত বৈচিত্র্য এখন অবশ্য অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।
জ্বালানি সংগ্রহের কারণে এবং পতিত জমি আবাদের আওতায় নিয়ে আসায় অনেক গাছের মতো আম গাছের সংখ্যাও বহুলাংশে কমে এসেছে। তবে আমের অঙ্গজ বংশবিস্তার করার কৌশল রপ্ত করায় দেশের উত্তরাঞ্চলসহ অনেক স্থানেই মানুষ বাছাই করা জাতের আম চাষ শুরু করেছে অনেক দিন ধরেই। ফলে এখন স্থানীয় ভিন্ন রকম আমের তুলনায় বাছাই করা জাতের আম মৌসুমে বেশ পরিদৃষ্ট হচ্ছে। আমাদের দেশের জনপ্রিয় জাতের আমগুলোর কিন্তু সুন্দর সুন্দর নাম রয়েছে। এক নামে সারাদেশের মানুষ এদের চিনতে পারে। এসব জাতের একটা আলাদা কদর আর চাহিদা রয়েছে আমাদের কাছে। মৌসুমে এসব আম পেতে আমাদের ইচ্ছে করে। স্বাদে গন্ধে এসব জাতের কোন তুলনা হয় না। সে রকম জনপ্রিয় জাতগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ ল্যাংড়া, গোপালভোগ, লক্ষণভোগ, মোহনভোগ, ক্ষীরপুলি, শাহী-পছন্দ, রাজভোগ, মির্জাপুরী, কিষাণভোগ, ফজলি, চসা, আশ্বিনা, খিরসা পাতি, হিমসাগর, অমৃতভোগ, রানী পছন্দ, কৃষ্ণভোগ, দিল পছন্দ, বোম্বাই (মালদা), সূর্যপুরী, মিসরীভোগ, শ্রীধন, গোলাপ খাস, বৃন্দাবনী, দিল খোশ, হাড়ি ভাংগা, কোহিতুর ইত্যাদি। বাংলাদেশে জন্মায় তেমন কিছু উৎকৃষ্ট জাতের মধ্যে রয়েছে লক্ষণভোগ, মোহনভোগ, ক্ষীরপুলি, শাহী-পছন্দ, রাজভোগ, মির্জাপুরী, অমৃতভোগ, রানী পছন্দ, কৃষ্ণভোগ, দিল পছন্দ, বৃন্দাবনী, দিল খোশ, হাড়ি ভাংগা, কোহিতুর ইত্যাদি। এদেশে আবাদ করা হচ্ছে তেমন অন্য জাতগুলো হল আশ্বিনা, বারমাসী ও কাঁচা মিঠা। আমের জাতের কিছু মনোহরা নামও আছে। কোহিনুর, চৈতালী, জাফরান, দিল খোস, দুধ কুমার, দুধসর, বাবুই ঝাঁকি, মধুচাকী, মিঠুয়া, শ্রাবণী, স্বর্ণরেখা, সুবর্ণরেখা, ক্ষীরপুলি ইত্যাদি।
এদের কোন কোনটা দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের প্রধান আম হল ফজলি। সব জাতের আম যখন শেষ হয়ে যায় তখন বাজারে আসে আঁশহীন, অতি সুস্বাদু এই জাতের বৃহদাকৃতির আম। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত হল ল্যাংড়া। সুগন্ধী, অতি সুমিষ্ট, আঁশহীন এই জাতটি আবার আগাম। মিষ্ট শাঁসযুক্ত সুস্বাদু আঁশহীন আর একটি প্রিয় জাতের আম হল গোপালভোগ। হিমসাগরও এদেশের আর একটি উৎকৃষ্ট জাত। এদের ফল রসাল, মিষ্টি ও আঁশবিহীন। কিষাণভোগ জাতটির শাঁস সুমিষ্ট ও সুগন্ধীযুক্ত। আশ্বিনা আম জাতটি দেখতে অনেকটা ফজলির মতো। গুণেমানে এটি ফজলির চেয়ে নি¤œমানের। এই আমের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে নাবি জাত। অন্য আম যখন থাকে না তখন স্বাভাবিকভাবেই এর কদর কিছুটা বাড়ে। ‘বারমাসী’ নামে আমের যে জাতটি রয়েছে এটিতে বছরে দুই-তিন বার আম ফলে। মোটামুটি সুস্বাদু এর আম। কাঁচা মিঠা জাতের আম কাঁচা অবস্থায়ই মিষ্টি বলে এ রকম নাম পেয়েছে। তবে পাকলেও মন্দ নয় এসব আম। আমের জাতের মধ্যে বেশ ছোট জাতের আম যেমন রয়েছে তেমনি বিশালাকৃতির কেজি ছুঁই ছুঁই বা কেজি ছাড়িয়ে যাওয়া আমও রয়েছে। অধিকাংশ স্থানীয় গুটি আমগুলো আসলে ছোট জাতের আম। এরা খুব একটা মাংসল নয়। এদের বীজটা ফলের বড় অংশ দখল করে নেয় বলে এসব জাতের আম খুব একটা লোভনীয় নয়। তবে এসব আম সহজেই মুখের ভেতর পুরে দেয়া সম্ভব হয়। তবে উন্নত জাতের জনপ্রিয় আমের অনেকগুলোর ফলও কিন্তু তুলনামূলকভাবে ছোটই বলা চলে। এসব জাতের আমের মধ্যে রয়েছে- ল্যাংড়া, খিরসা পাতি, বৃন্দাবনী, দুধিয়া, মিঠুয়া ইত্যাদি। মাঝারি আকৃতির জনপ্রিয় আমের জাতই আমাদের বেশি। গোপালভোগ, কিষাণভোগ, হিম সাগর, কোহিতুর, মোহনভোগ, মিসরীভোগ, বোম্বাই এসব হল মাঝারি ধরনের আম জাত। বড় আকৃতির আমের মধ্যে ফজলি অন্যতম।
এর আরেক নাম মালদা। এটি বাংলাদেশে একটি অতি জনপ্রিয় জাতের একটি। মাঝারি থেকে বড় আকারের আমের মধ্যে রয়েছে হাড়ি ভাংগা, মোহনভোগ, মিসরীভোগ এসব আম। হাড়ি ভাংগা আমগুলো ফজলি আমের মতো লম্বাটে নয়। বরং এরা বেশ খানিকটা গোলাকৃতি ধরনের। বড় বেশি মাংস এদের বীজের চার পাশে। খুবই আশু জাতীয় আম হল দুধিয়া। এটি মে মাসেই পেকে যায়। মৌসুমের শুরুতেই বাজারে যেসব আম আসে সেসব জাত হল গোপালভোগ, মহানন্দা, খিরসা পাতি, কোহিতুর, বৃন্দাবনী, মিঠুয়া। এসব আম মৌসুমের শুরুতেই জুন মাসে পাকে বলে এদের আশু জাত বলা হয়। মাঝারি মৌসুমের জাতগুলো হল কিষাণভোগ, ল্যাংড়া, হিমসাগর, বোম্বাই, মোহনভোগ, মিসরীভোগ। এরা মধ্য জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্যে পাকে। আমের মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে আসে ফজলি, আম্রপালি, আশ্বিনা, ল্যাংড়া, শ্রীধন এসব জাতের আম। মধ্য জুলাই থেকে আগস্ট সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এরা পাকে। ফজলি, চসা, ল্যাংড়া কিংবা হিমসাগর আমাদের দেশের মতো ভারতেও বেশ জনপ্রিয় ও বাণিজ্যিক আম জাত। ভারতের কেবল পশ্চিমবঙ্গে এদের পাওয়া যায় তা কিন্তু নয় বরং পশ্চিম বাংলাসহ আরও ১১টি রাজ্যে এদের কোন কোনটা অত্যন্ত জনপ্রিয় জাত। ফজলি আম বিহার, হরিয়ানা, মধ্য প্রদেশ ও পশ্চিম বাংলায় আবাদ করা জাত। চসা জাতটি বিহার, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশের একটি বাণিজ্যিক জাত। হিমসাগর জাতটির আবাদ করা হয় বিহার ও পশ্চিম বঙ্গে। আম্রপালী জাতটি দিন দিন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটি ভারতের একটি জনপ্রিয় জাত। ভারতের বিহার এবং উত্তর প্রদেশে এই জাতটির আবাদ করা হয়। এটি আসলে আম প্রজনন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উদ্ভাবিত একটি জাত। ‘দেশারী’ আর ‘নিলাম’ নামক দুটি ভারতীয় জাতের মধ্যে পরাগ সংযোগ ঘটিয়ে তৈরি করা হয়েছে আম্রপালী জাতটি। ছোট খাটো আম্রপালী গাছে লম্বা বোঁটায় ঝুলে থাকে অনেকগুলো আম। প্রতি বছরই এ জাতের গাছে ফুল ফোটে বলে সব মৌসুমেই আম পাওয়া যায়।
গাছের আকার আকৃতি ছোট বলে নির্ধারিত স্থানে অনেক বেশি সংখ্যক গাছ লাগানো যায়। পাকা আমের আকৃতি মাঝারি, মাংস গাঢ় কমলাবর্ণ, বেশ মিষ্টি আর আঁশবিহীন। আমাদের দেশেও কিন্তু শুরু হয়েছে নতুন জাত সৃষ্টির কর্মকাণ্ড। যদিও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আম গবেষণা কেন্দ্রে এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলের জার্মপ্লাজম কেন্দ্রে দেশ বিদেশ থেকে সংগৃহীত জাত থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করা উত্তম আমের জেনোটাইপকে নতুন জাত হিসেবে অবমুক্ত করার রেওয়াজ এখনও চলছে, তবু এখন আম গবেষণা কেন্দ্রে ক্রস ব্রিডিং পদ্ধতিতে আম উন্নয়নের কাজও চলছে। আমের ক্রস ব্রিডিংয়ের উদ্দেশ্য হল নিয়মিত প্রতি বছর এবং ছোট খাটো প্রকৃতির গাছেই যেন আম ধরে সে রকম জাত উদ্ভাবন। খর্বাকৃতি আম গাছ, মাংসের পরিমাণ অধিক, মাংস আঁশবিহীন, বড় ফল এবং মাংস লাল, আমের সংরক্ষণ মান ভালো এমনি কত রকম লক্ষ নিয়ে চলে আমের জাত উদ্ভাবনের কাজ। অনেক আমের মঞ্জুরি ব্যবহার করে ক্রস ব্রিডিং করতে হয়। তবে প্রতি মঞ্জুরির অল্প কয়েকটি ফুলে ক্রসিং সম্পন্ন করলে কৃতকার্য হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। আম গবেষণা কেন্দ্র বারি আম ৪ নামক একটি জাত দুইটি জাতের মধ্যে ক্রসের মাধ্যমে উদ্ভাবন করেছে। আরও জাত তৈরির কর্মকাণ্ড সেখানে চলছে। আমের চারা লাগানোর তিন চার বছর পর কলমের চারা থেকে পাওয়া গাছে প্রথম ফল ধরে। অথচ কোন একটি জাত সত্যি সত্যি উত্তম জাত কিনা ফল ধরার আগেই এটি আম চাষির জানতে ইচ্ছে করে।
আম প্রজননের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের জন্যতো এটি জানা একটি আবশ্যিক বিষয়। বিজ্ঞানীরা অবশ্য নানা রকম গবেষণা থেকে গাছে আম ধরার আগেই কিছু বিজ্ঞানসম্মত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আম জাতের উৎকৃষ্টতা যাচাই করার কিছু কৌশল উদ্ভাবন করেছেন। এসব কৌশল হল যে আম জাতের পাতার গন্ধ উত্তম এর ফলের গন্ধও সুমিষ্ট হয়। যে জাতের আম গাছে ফল ধারণ অবস্থায়ই বা আম সংগ্রহের শেষেই প্রতি বছর নতুন করে পাতা গজায় সে জাত প্রতি বছরই ফল দিতে সক্ষম। পাতার প্রতি একক ক্ষেত্রে নিম্ন সংখ্যক পত্ররন্ধ্র গাছটির খর্বাকৃতির হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ করে। আম গাছের শীর্ষ কুঁড়িতে অধিক ফেনোলিকের উপস্থিতি আম গাছের কম তেজ এবং গাছটির খর্বাকৃতির হওয়ার আর একটি লক্ষণ। ভারতে এক হাজারের মতো আমের জাত রয়েছে। আমাদেরও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভালো মন্দ অনেক জাত রয়েছে। দেশের নানা অঞ্চল থেকে এসব জাত সংগ্রহ করার পাশাপাশি ভারতের আম জাত প্রবর্তন করে শুধু বাছাই করেই এখনও অনেক আম জাত উদ্ভাবনের সুযোগ রয়েছে। মানুষের ভিন্নতর চাহিদার বিষয়টিকে মাথায় রেখে আমাদের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের কাজও চলবে। চলবে বিদ্যমান বৈচিত্র্যপূর্ণ জাতগুলোর সংরক্ষণের মাধ্যমে আমের জাত উন্নয়নের কাজও। সে কাজ আসলে এখন চলছেও আম গবেষণা কেন্দ্রে। আমাদের বিজ্ঞানীরা আমাদের রুচি আর চাহিদার খবরটিও রাখেন। সেই নিরিখেই চালিয়ে যাচ্ছেন তারা গবেষণা কর্মকাণ্ড।
আপনার জন্য নির্বাচিত সংবাদ
-
বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য
-
কমলা চাষে সার ব্যবস্থাপনা, সেচ, আগাছা ব্যবস্থাপনা ও ফসল তোলা- দা এগ্রো নিউজ
-
আমের চারা তৈরি, চারা রোপণ,সার ব্যবস্থাপনা, সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা,রোগ ব্যবস্থাপনা, পোকা দমন ব্যবস্থাপনা – দা এগ্রো নিউজ
-
লিচুর চারা তৈরি, চারা রোপণ, সার ব্যবস্থাপনা,অন্তবর্তীকালীন পরিচর্যা ও পোকা মাকড় ব্যবস্থাপনা – দা এগ্রো নিউজ
-
তাল উৎপত্তিস্থান, পুষ্টিমান, ওষুধিগুণ, উৎপাদন পদ্ধতি, বীজতলা তৈরী ও চারা উৎপাদন – দা এগ্রো নিউজ
-
লটকনের ওষুধিগুণ, চাষ পদ্ধতি, চারা রোপণ, পরিচর্যা ও সার প্রয়োগ- দা এগ্রো নিউজ
-
পরিবারের সদস্যদের জন্য ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত করতেই ছাদে বা বারান্দায় ফল,সবজি চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন মানুষ
-
লেবু জাত পরিচিতি ও চাষ পদ্ধতি
-
স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি
-
আনারস চাষ পদ্ধতি
মিরাজুল ইসলাম (৩৩)। ১০ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। আকামা জটিলতায় খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। এক বছর বেকার থাকার পর ইউটিউবে পতিত জমিতে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখেন। বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে নেমে পড়েন ড্রাগন চাষে। দেড় বছরের ব্যবধানে এখন উপজেলার সবচেয়ে বড় ড্রাগন বাগান তাঁর। এ বছর খরচ বাদে আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার ইন্দুরকানি গ্রামের বাসিন্দা মিরাজুল। উপজেলার টগরা গ্রামে দেড় একর জমিতে তিনি ড্রাগনের বাগান তৈরি করেছেন। তাঁর বাগানে এখন সাড়ে তিন হাজার ড্রাগন ফলের গাছ আছে।
মিরাজুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক হিসেবে ১০ বছর সৌদিতে কাজ করে ২০১৯ সালে দেশে ফেরেন তিনি। আকামা সমস্যার কারণে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কিছু একটা করবেন বলে ভাবছিলেন। একদিন ইউটিউবে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখতে পান। সেই থেকে ড্রাগন চাষে আগ্রহ জন্মে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেড় একর পতিত জমি ড্রাগন চাষের উপযোগী করেন। গাজীপুর থেকে ৬০ টাকা দরে ৬০০ চারা নিয়ে আসেন। বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শুরু করেন চাষাবাদ। পরের বছর জুনে ফল পাওয়া শুরু করেন।
ড্রাগনের বাগান করতে মিরাজুলের খরচ হয়েছিল ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ফল বিক্রি করে তাঁর খরচ উঠে গেছে। সাধারণত মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গাছে ফল আসে। বছরে ছয় থেকে সাতবার পাকা ড্রাগন সংগ্রহ করা যায়। এখন পরিপক্ব ও রোগমুক্ত গাছের শাখা কেটে নিজেই চারা তৈরি করেন। ড্রাগন চাষের পাশাপাশি বাগানে চুইঝাল, এলাচ, চায়না লেবুসহ মৌসুমি সবজি চাষ করেন। এ ছাড়া ড্রাগনের চারাও উৎপাদন করে বিক্রি করেন তিনি।
মিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাগানের বেশির ভাগ গাছে এ বছর ফল ধরেছে। গত মঙ্গলবার বাগান থেকে দেড় টন ফল সংগ্রহ করেছেন। ২৫০ টাকা কেজি দরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছেন। স্থানীয় বাজারে ৩০০ টাকা কেজি দরে ড্রাগন বিক্রি হয়। নভেম্বর পর্যন্ত আরও পাঁচ–ছয়বার বাগান থেকে ফল তোলা যাবে। আশা করছেন, খরচ বাদে এবার আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভ থাকবে।
মিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার বাগান থেকে চারা নিয়ে অনেকে বাড়িতে ও ছাদে ছোট পরিসরে ড্রাগনের বাগান করেছেন। আমি এ পর্যন্ত ৪০ টাকায় দেড় হাজার চারা বিক্রি করেছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ বয়সের একটি ড্রাগনের চারা রোপণের পর ২৫ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এর মৃত্যুঝুঁকি নেই বললেই চলে। তবে কয়েক দিন পরপর সেচ দিতে হয়। বৃষ্টির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হয়। ড্রাগন ফল চাষে রাসায়নিক সার দিতে হয় না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাতুন্নেছা বলেন, মিরাজুল ইসলামকে ড্রাগন চাষে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। উপজেলায় তাঁর বাগানটি সবচেয়ে বড়। তিনি নিরলস পরিশ্রম করে ছোট থেকে বাগানটি বড় করেছেন।
এগ্রোটেক
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি
লেখক
প্রথম আলোডাচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন।
গতকাল সোমবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অনুষ্ঠিত কৃষি খাতের ব্যবসাবিষয়ক এক সম্মেলনে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এগ্রি বিজনেস কনক্লেভে বাংলাদেশের প্রায় ৪০জন উদ্যোক্তা ডাচ কৃষি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি প্রযুক্তি সহযোগিতা ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছে ওয়েগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়।
আলোচনায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্রযুক্তি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিলে নেদারল্যান্ডসের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তি সহযোগিতা দিতে রাজি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে ডাচরা প্রস্তুত এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। এ ছাড়া ডাচ সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বীজ, পশু খাদ্য, পোলট্রি, হর্টিকালচার ও এ্যাকুয়াকালচার বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদন করেছে, যা ওই দেশের বেসরকারি খাতকে আরও উৎসাহিত করেছে।
আলোচনায় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করতে তৈরি আছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্কয়ার, ইস্পাহানি এগ্রো, একে খান অ্যান্ড কোম্পানি, প্যারাগন গ্রুপ, এসিআই, জেমকন গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ডাচ প্রযুক্তির প্রয়োগ সরেজমিনে দেখতে যাবেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের পোল্ট্রিখাতে সহযোগিতার আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে উল্লেখ করে মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের মধ্যে মৎস্য, পশুপালন ও হর্টিকালচারে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা আছে।
কনক্লেভ আয়োজনে প্রথমবারের মতো দূতাবাসের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কৃষি মন্ত্রণালয়, নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সি, নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ, ডাচ-গ্রিন-হাইজডেল্টা, লারিভ ইন্টারন্যাশনাল, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ।
কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারী নেদারল্যান্ডসের আয়তন বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের কম। ২০২১-এ কৃষিপণ্য ও খাদ্য রপ্তানি করে নেদারল্যান্ডস ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।
পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম তাঁর দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করে এবার প্রায় ৪০ হাজার টাকা লোকসান দিয়েছেন। অথচ পেঁয়াজের জমিতেই সাথি ফসল হিসেবে লাগানো বাঙ্গি থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকার মতো লাভ করবেন বলে আশা করছেন। এই বাঙ্গি আবাদে তাঁর কোনো খরচ হয়নি। ফলে পেঁয়াজ আবাদের ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।
সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বাঙ্গি আবাদ কইর্যা যে টাকা পাইল্যাম তা হলো আমাগরে ঈদের বোনাস। পেঁয়াজের দাম না পাওয়ায় আমরা (কৃষকেরা) যে ক্ষতির মধ্যে পড়িছিল্যাম, বাঙ্গিতে তা পুষায়া গেছে। এই কয়েক দিনে ১২ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচছি। সব মিলায়া ৫০ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচার আশা করতেছি।’
সাইদুল ইসলামের মতো পাবনার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলার অনেক কৃষক এবার পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গির আবাদ করেন। কৃষকেরা পেঁয়াজ আবাদ করতে গিয়ে বিঘায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন। সেই হিসাবে প্রতি মণ পেঁয়াজ উৎপাদনে তাঁদের খরচ হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকার বেশি। কিন্তু বাজারে সেই পেঁয়াজ কৃষকেরা বিক্রি করতে পেরেছেন প্রতি মণ ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এতে প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদে কৃষকদের এবার ২০ হাজার টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।
কৃষকেরা বলেন, পেঁয়াজের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গি, মিষ্টিকুমড়া, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জমিতে পেঁয়াজ লাগানোর পর তা কিছুটা বড় হলে এর ফাঁকে ফাঁকে এসব সাথি ফসল লাগানো হয়। পেঁয়াজের জন্য যে সার, কীটনাশক, সেচ দেওয়া হয়, তা থেকেই সাথি ফসলের সব চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। ফলে সাথি ফসলের জন্য বাড়তি কোনো খরচ হয় না।
কৃষকেরা বলেন, বাঙ্গিতেই কৃষকের লাভ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। রমজান মাস হওয়ায় এখন বাঙ্গির চাহিদা ও দাম দুই-ই বেশি।
সাঁথিয়ার শহীদনগর গ্রামের কৃষক আজমত আলী জানান, তাঁর জমিসহ এই এলাকার জমি থেকে ৮ থেকে ১০ দিন হলো বাঙ্গি উঠতে শুরু করেছে। এবার বাঙ্গির ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। বাজারে এসব বাঙ্গি আকারভেদে প্রতিটি ৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন দাম থাকলে এক বিঘা থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি হবে।
সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার গোস্বামী বলেন, পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসলের আবাদ কৃষকদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে তাঁরাও কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
জাতীয় ফল কাঁঠালের জ্যাম, চাটনি ও চিপস উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) শস্য সংগ্রহের প্রযুক্তি বিভাগের একদল গবেষক। তাঁরা কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করে মোট ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
গত শনিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিনা) ‘কাঁঠালের সংগ্রহত্তোর ক্ষতি প্রশমন ও বাজারজাতকরণ কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে এবং নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের সহযোগিতায় গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত হয়।
কর্মশালায় ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় আমরা কাঁঠালের প্রক্রিয়াজাত করে মুখরোচক ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসব পণ্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। কাঁঠালের জ্যাম, আচার, চাটনি, চিপস, কাটলেট, আইসক্রিম, দই, ভর্তা, কাঁঠাল স্বত্ব, রেডি টু কুক কাঁঠাল, ফ্রেশ কাট পণ্যসহ আরও বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত পণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। প্রক্রিয়াজাত পণ্যগুলো ঘরে রেখে সারা বছর খাওয়া যাবে। কাঁঠাল থেকে এসব পণ্য উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষক।’
কর্মশালায় নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের মুখ্য পরিদর্শক তারেক রাফি ভূঁইয়া বলেন, উদ্ভাবিত পণ্যগুলো বাজারজাত করার জন্য নিউভিশন কোম্পানি বিএআরআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ময়মনসিংহসহ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা ও উপজেলা শহরে পণ্যগুলো বিপণনের কাজ চলছে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাফিজুল হক খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্পেশালিস্ট (ফিল্ড ক্রপস) ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবু হানিফ। উপস্থিত ছিলেন নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের প্রকল্প ম্যানেজার কায়সার আলম।
ফল
কমলা চাষে সার ব্যবস্থাপনা, সেচ, আগাছা ব্যবস্থাপনা ও ফসল তোলা- দা এগ্রো নিউজ
লেখক
নিজস্ব প্রতিনিধিসার ব্যবস্থাপনা: প্রতি গর্তে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ১০০ গ্রাম টিএসপি সার ও এমওপি সার ১০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়।
সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা: চারা গাছের গোড়ায় মাঝে মাঝে পানি সেচ দিতে হবে। বর্ষাকালে গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেজন্য পানি নিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া কমলা গাছের আগাছা দমন করতে হবে।
ফসল তোলা: মধ্য কার্তিক থেকে মধ্য পৌষ মাসে ফল সংগ্রহ করতে হয়।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন