বন্ধু যদি আপনাকে ‘টেকেন ফর গ্রান্টেড’ করে ফেলে, তাহলে তাকে অবশ্যই এড়িয়ে চলুন
সুখে-দুঃখে বন্ধুদের প্রতি আমাদের ভরসা অগাধ। মন খুলে কাউকে কিছু বলতে না পারলে আমরা খুঁজি একজন প্রকৃত বন্ধু। যদিও বা ভাগ্য করে জনাকয়েক ভাল বন্ধু পেলেন, তার তুলনায় হয়তো বেশি সংখ্যাতেই পাবেন এমন কয়েকজনকে যারা নামে বন্ধু হলেও কাজে একেবারেই অবান্ধবসুলভ। সহজে বলতে গেলে, এরা “টক্সিক ফ্রেন্ড”। সামনে মিষ্টিমিষ্টি কথা বললেও আপনার পেছনে সমালোচনা করলে, তিনি কখনই প্রকৃত বন্ধু নন। বন্ধুত্বের মুখোশ আঁটা এই মানুষগুলোকে চিনে নিন। মিলিয়ে নিন কয়েকটি লক্ষণ।
১. আপনার কঠিন সময়ে কখনই এদের আপনি পাশে পাবেন না। কোথাও বেড়াতে যাওয়া হোক বা রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়ায় এরা অবশ্যই হাজির! তবে যখনই কোনও বিপদে এদের আপনার পাশে প্রত্যাশা করবেন, তখন এরা নানা অজুহাতে তা এড়িয়ে যাবে। অবান্ধবসুলভ আচরণের এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
২. সামনে ভালো কথা বললেও পেছনে আপনার নিন্দা-সমালোচনা করতেই বেশি ভালবাসে এরা। হয়তো আপনার অন্য বন্ধুদের কাছে আপনার সম্পর্কে এমন কিছু কথা শুনলেন যা মোটেও সত্যি নয়। জিজ্ঞেস করতেই বোঝা গেল, কথাগুলো কে বলেছে! আপনিও বুঝে গেলেন এরা আদতেও আপনার বন্ধু নয়।
৩ কোনও বন্ধু যদি জেন্ডার বায়াসড হন, তাহলেও তাদের সংসর্গ ত্যাগ করা প্রয়োজন। যেমন, আপনি নারী হয়ে থাকলে যদি সে বা তারা সারাক্ষণ বলতে থাকে, আপনার কীরকম পোশাক পরা উচিৎ, কেমনভাবে কথা বলা উচিৎ বা সমাজে আপনার নির্দিষ্ট দায়িত্ব কী, অর্থাৎ এসব অতি ব্যক্তিগত বিষয়েও যদি আপনার বন্ধু বিশদ জ্ঞান দিতে থাকে, তাহলে তাতে কর্ণপাত না করাই উচিৎ হবে!
৪. যদি আপনার বন্ধু যদি সবসময়ই আপনার সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব দেখান, তাহলে তিনি আপনার প্রকৃত বন্ধু নন মোটেও। বন্ধুত্বে ইগো থাকতে নেই। আপনার সাফল্যে খুশি না হয়ে যদি তিনি মুখ ঘুরিয়ে থাকেন, তাহলে সতর্ক হন। ইগোর সমস্যা পরে কিন্তু আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে। আবার আপনাকে যদি কথায় কথায় তিনি হেয় করার চেষ্টা করেন তাহলেও ভেবে দেখুন এরকম বন্ধুত্ব আদতেও রাখবেন কি না।
৫. আপনার বন্ধু আপনাকে যদি “টেকেন ফর গ্রান্টেড” করে ফেলেন, তাহলে আপনি অবশ্যই তাকে এড়িয়ে চলুন। তার যেকোনও প্রয়োজনে আপনি সবসময় পাশে থেকেছেন, যথাসাধ্য করেছেন। তবে কোনও একবার সাহায্য না করতে পারলেই তিনি আপনাকে কটূকথা শোনাবেন, এটা মোটেও কাজের কথা নয়।
৬. বন্ধুত্ব একটা “কমফোর্ট জোন”। বন্ধুতে বন্ধুতে কোনও বিষয় নিয়ে টুকটাক মান-অভিমান হতেই পারে। তবে যদি প্রায়ই আপনার বন্ধু আপনাকে কথা কিংবা কাজে আহত করেন, তাহলে তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখা কষ্টকর।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন