কেউ যদি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সাথে সংগ্রাম করেন, তখন তাকে চিকিৎসা বা পেশাদার সেবা দেয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
এরপরও সাহায্য করতে চাইলে, প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পাওয়া যায় না।
তবে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো সংকট তৈরি না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসার বিষয় আলোচনায় আসে না।
চিকিৎসকরা বিবিসিকে বলেছেন, যে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে,তারা কোনো সংকটে না পড়লে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয় না। অনেক সময় মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে কোনো শিশু আত্নহত্যার চেষ্টা করলে, তখন চিকিৎসার বিষয়টা আলোচনায় আসে।
বিবিসি প্যানোরমার কাছে একটি চিঠি এসেছে, তাতে একটি এলাকার শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে চিকিৎসার কথা লেখা হয়েছে।
সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, শিশুরা মানসিক স্বাস্থ্য সার্ভিস থেকে যথাযথ সেবা পাচ্ছে না।
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় যারা ভোগেন, এমন অনেক মানুষ অবশ্যই প্রাথমিকভাবে বন্ধু বা পরিবারের কাছে যাবে তাদের সমস্যা নিয়ে। তার সমস্যা বোঝানোর জন্য এটি একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে।
যদি আপনি মনে করেন, আপনার একজন বন্ধু মানসিক রোগে ভুগছেন, তাহলে আপনি তাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারেন, সে ব্যাপারে নিজে চিন্তা করুন অথবা আপনিও বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে পারেন।
আপনি আপনার বন্ধুর সাথে আরও ঘনিষ্ট হয়ে সমস্যাগুলো জানার চেষ্টা করুন। এরপর পদক্ষেপ নিন।
একজন মানসিক রোগী সাহায্য পেলে সুস্থ হয়ে পেশায় ফিরতে পারে
লিঙ্কনশায়ার এর বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সী লরা নুত্তল কিশোরী বয়স থেকেই মানসিক রোগে ভুগছিলেন।
তার বয়স যখন ১৪, তখন থেকেই তিনি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সাথে সংগ্রাম করছেন।
তিনি কয়েকবছর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।তিনি সুস্থ হয়েছেন।
লরা বলেছেন, মানসিক রোগীদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া বা হাসপাতালে সেবা পেতে তাকে সাহায্য করা উচিত।
তিনি মনে করেন, তার সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে তাকে সাহায্য করা হচ্ছে, এটা রোগী বুঝতে পারলে তার সুস্থ হয়ে উঠতে অনেক সাহায্য করে।
“মনে রাখবেন, আপনি তার অচেনা নন। একটা আন্তরিকতা এবং চেনা পরিবেশ নিশ্চিত করে মানসিক রোগীকে পেশাদার সেবা দিতে হবে।”
লরা সুস্থ হয়ে নিজেই এখন মানসিক রোগের নার্স
লরা এখন মনোবিজ্ঞানে ডিগ্রী নিয়েছেন এবং মানসিক রোগের একজন নার্স হিসেবে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
তিনি বলেছেন, কেউ যখন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় থেকে নিজে সেই সমস্যা বুঝতে পারেন না, সেটা তার সমস্যা নয়।এখানে তার কাছের মানুষ বা বন্ধুদের দায়িত্ব আছে।বন্ধুদের মাধ্যমে মানসিক রোগীর সমস্যাগুলো জানার একটা ভাল বা বৃহত্তর উপায়।
কেউ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা পড়লে, তার সাথে কোনোভাবেই বন্ধু থেকে দূরে ঠেলে দিয়ে ভিন্ন আচরণ করা যাবে না।
তার সমস্যাগুলো বুঝে সে অনুযায়ী আন্তরিকতার সাথে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন