যা গিয়েছে তা গিয়েছেই। অতীতের জন্য বর্তমানকে কেন নষ্ট করবেন? আগের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে মাথায় রাখুন কয়েকটি বিষয়
সম্পর্কে ইতি টেনেছেন সত্যি তাও মাঝেমধ্যেই মনে হয়, “ইস! যদি কোনভাবে সম্পর্কটা টেকানো যেত!” এরকম মনে হওয়া কিন্তু মোটেও অস্বাভাবিক নয়। তবে এটাও সত্যি, পুরনো সম্পর্ককে নিয়ে খেদ বা অপরাধবোধে ভোগার কোনও অর্থ নেই! যা গিয়েছে তা গিয়েছেই। অতীতের জন্য বর্তমানকে কেন নষ্ট করবেন? আগের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে মাথায় রাখুন কয়েকটি বিষয়।
১. সম্পর্ক শেষ হয়েছে। যতদিন একসঙ্গে ছিলেন, পৃথিবীর সবকিছুই রঙিন লাগত! তাই ব্রেক আপের পরে জীবনটা অনেকখানি ধূসর মনে হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে ফিরে আসা সম্ভব হলেও অতীতের স্মৃতি হাতড়ালে অনুতপ্ত হয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
আর এই ব্যাপারটিই হতে দেওয়া যাবে না! মনে রাখবেন, নিশ্চিয়ই এমন কোনও বিষয় ছিলো যার কারণে শেষপর্যন্ত আর সম্পর্কটি টেকানোই গেলো না।
২. অনেকেই ভাবেন, এতদিন ধরে এমন একটা সম্পর্কের পেছনে সময় নষ্ট করলেন, যেটা শেষমেশ ভেঙ্গেই গেল! শুধু এটাই নয়। আরও নানারকম অনুশোচনা, অনুতাপ হওয়া একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে অনেকেই ভাবেন যে ভুল মানুষের পেছনে জীবনের মহামূল্যবান সময় অপচয় করেছেন।
আসলে, যা গিয়েছে সেটা নিয়ে এভাবে ভেবে অযথাই সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই করছেন না আপনি। তারচেয়ে বরং ভালো একটা সিনেমা দেখুন, গান শুনুন বা কাছের কোনও বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে জমিয়ে আড্ডা দিয়ে আসুন কিছুক্ষণ। অর্থাৎ, অতীতকে সামনে আসতে দেওয়ার কোনও সুযোগই দেওয়া যাবে না!
৩. অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, সম্পর্কে থাকার সময় অনেকখানি কম্প্রোমাইজ বা সমঝোতা করে চলতে। হয়তো উল্টোদিকের মানুষটাকে সুযোগও দিতে চান ভুল শুধরে নেওয়ার। দিনের পর দিন মনোমালিন্য হতে থাকলেও ধরে নেন, একদিন নিশ্চয়ই সুখী হবেন। আবার অনেকে সম্পর্কে “টেকেন ফর গ্রান্টেড” হয়ে যান।
অনুতাপ হলে, মনে করুন সেসব অভিজ্ঞতার কথা। কীভাবে সেসময় নিজেকে ছোট করেছিলেন, অপমানিত হতে হয়েছিলো “বিশেষ মানুষটির” কাছেই। ভাবুন না, এখন আর যাই হোক নিজেকে প্রমাণ করার বাড়তি সেই চাপে তো আর দিন-রাত পিষ্ট হতে হচ্ছে না, এই কি কম সুখের?
৪. অনেকেই সঠিক সময়ে বোঝে না, সম্পর্কের ভিতটা আসলে কতটা দুর্বল! বিশ্বাস, পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকলে কেউ সম্পর্কে সুযোগ নিতে পারে না, এই বোধটা আসে অনেক দেরিতে। তখন অনেকেরই হয়ত সম্পর্ক ভেঙে দিয়েও অনুশোচনা থেকে যায়।
বিষয়টা কেন এভাবে দেখছেন না যে দেরিতে হলেও এইযে আপনার বোধদয় হলো, এটাই জীবনে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে আপনাকে। একটা ভুল বা রুগ্ন সম্পর্ককে জোর করে টিকিয়ে না রেখে এতখানি সাহস নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পারার জন্য নিজেকেই জম্পেশ একটা ধন্যবাদ জানিয়ে দিন না!
৫. আর একটা কথা অবশ্যই মনে রাখা প্রয়োজন। কোনও সম্পর্ক কাজ না করলে সেকথা ভেবে চোখের জল ফেলা আদৌ কাজের কথা নয়। অতীতের সম্পর্কে সফল না হলেও আপনি নিশ্চয়ই সেখান থেকে অনেককিছুই শিখেছেন। আর এই শিক্ষাই পরবর্তী সম্পর্কের ক্ষেত্রেও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে আপনাকে অনেকবেশি পরিণত করে তুলবে।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন