ইসরায়েল
ইসরায়েলে হাজার বছরের পুরনো মসজিদের সন্ধান
লেখক
বিবিসি বাংলাইসরায়েলের মরুভূমিতে এমন একটি মসজিদের সন্ধান পাওয়া গেছে যা ইসলামের শুরুর দিকে নির্মাণ করা হয়েছিল।
বলা হচ্ছে, প্রায় ১২,০০ বছর আগে নেগেভ মরুভূমির রাহাত এলাকায় এটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলছেন, তারা যেসব ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পেয়েছেন সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা গেছে মসজিদটি সপ্তম কিম্বা অষ্টম শতাব্দীতে তৈরি করা হয়েছিল।
ইসরায়েলে প্রাচীন কাল নিয়ে গবেষণা করে যে কর্তৃপক্ষ সেই আইএএ বলছে, বেদুইন শহরে ভবন নির্মাণের সময় এই মসজিদের সন্ধান পাওয়া যায়।
তারা বলছে, ইসরায়েলের ওই এলাকায় এই প্রথম এতো প্রাচীন একটি মসজিদের খোঁজ পাওয়া গেল। এর আগে জেরুসালেম ও মক্কাতেও এরকম প্রাচীন মসজিদ পাওয়া গেছে।
খনন বিষয়ক পরিচালক জন সেলিগম্যান এবং সাহার জুর বলেছেন, সারা বিশ্বে প্রাচীন যেসব মসজিদের সন্ধান পাওয়া গেছে তার মধ্যে এটি খুব বিরল হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
গবেষকরা বলছেন, স্থানীয় কৃষকরাই এই মসজিদে নামাজ পড়তে যেতেন বলে তারা মনে করছেন।
মসজিদের ভবনটি একটি খোলা জায়গায়, আয়তাকার। সেখানে একটি মিরহাবও আছে যেটি দক্ষিণে ইসলামের পবিত্র শহর মক্কার দিকে মুখ করা।
“এসব তথ্যপ্রমাণ থেকেই এটা স্পষ্ট যে শত শত বছর আগে ওই ভবনটি কী কারণে নির্মাণ করা হয়েছিল এবং সেটি কী কাজে ব্যবহার করা হতো,” বলেছেন মি. সেলিগম্যান।
তারা বলছেন, ইসলাম ধর্ম প্রবর্তনের পর পরই ওই এলাকায়, যা বর্তমানে ইসরায়েল বলে পরিচিত, সেখানে যেসব মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল এটি সেগুলোর একটি।
ইসলামি ইতিহাসবিদ গিডন অভনি বলছেন, ৬৩৬ খৃস্টাব্দে আরবরা বাইজানটাইন প্রদেশ দখল করে নেওয়ার পর এসব মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল।
“এই গ্রাম ও মসজিদের সন্ধান পাওয়ার ঘটনা সেসময়কার ইতিহাসের জন্যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ,” বলেন তিনি।
আপনার জন্য নির্বাচিত সংবাদ
-
লাভজনক সবজি চাষ পদ্ধতি
-
কৃষকের বন্ধু ও কৃষি উন্নয়ন এর পথিকৃৎ শাইখ সিরাজের ৭০তম জন্মদিন আজ
-
যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে হতে পারে সারের সংকট
-
বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য
-
নাসিরনগরে বন্যায় তলিয়ে গেল কৃষকের বাদামখেত
-
পানি দিতে অতিরিক্ত টাকা
-
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি
-
‘শিক্ষিত কৃষক’ বলেই তাঁকে নিয়ে মানুষের আগ্রহটা বেশি
-
ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বীজ কিনে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত
-
বোরো কাটতে বাড়তি খরচ ঃ হাসি নেই কৃষকের মুখে
বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বেশ হৈচৈ পড়ে গেছে। এই শোরগোলের বড় কারণ হচ্ছে, পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করার ভারতীয় সিদ্ধান্ত।
যেমন বলছেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহাম্মদ মাসুদ রানা:
”ভারত যদি বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু হয় তবে আলোচনা ছাড়া কেন হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। অথবা শুষ্ক মৌসুমে যখন বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে পানির প্রয়োজন তখন পানি দেয় না, কিন্তু যখন বাংলাদেশে পানির প্রয়োজন নেই তখন ভারত কোনো রকম আলোচনা না করেই বাংলাদেশে পানি ছেড়ে দেয়, যার ফলে বাংলাদেশে বন্যার সৃষ্টি হয়। অথচ ভারতের প্রয়োজনে বাংলাদেশ সবসময়ই পাশে থাকে। তাহলে ভারত কি শুধুই মুখে মুখে বাংলাদেশের বন্ধু? কোন আলোচনা ছাড়া ভারত বাংলাদেশকে সংকটের মধ্যে ফেলে কী ধরনের বন্ধুত্বের পরিচয় দেয়?”
খবরেই সম্ভবত দেখেছেন মি. রানা, ভারতের সিদ্ধান্ত পাল্টানোর জন্য বাংলাদেশ কূটনৈতিক পথে চেষ্টা করছে। তবে এটাও সত্য যে, সব রাষ্ট্রই নিজ স্বার্থে সব সিদ্ধান্ত নেয় এবং ভারত তার ব্যতিক্রম না। ভারত সব দেশেই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে, শুধু বাংলাদেশ না, এবং এই সিদ্ধান্তর পেছনে তাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ব্যাখ্যা আছে। বাংলাদেশও নিজ স্বার্থ রক্ষা করবে এবং দেখবে কীভাবে পেঁয়াজের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরতা কমানো যায়। তবে পানির ব্যাপারটা ভিন্ন। অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের জন্য বন্ধুসুলভ প্রতিবেশীদের মধ্যে যে ধরনের সহযোগিতা থাকার কথা, সেটা দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু সেখানেও ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি কাজ করছে, কারণ তিস্তা নদী নিয়ে চুক্তির প্রধান অন্তরায় হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু এখানেও দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ তার স্বার্থ রক্ষার জন্য তিস্তা নদী নিয়ে নতুন প্রকল্পর কথা ভাবছে, যেখানে চীনের সহযোগিতা পাবার কথা শোনা যাচ্ছে।
খানিকটা একই রকম সেন্টিমেন্ট প্রকাশ করে লিখেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোহাম্মদ শাহিন আলম:
”প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ভারতের এই রকম আচরণ মোটেও সুসম্পর্কের বৈশিষ্ট্য নয়। ভারত সরকার গতবছর হঠাৎ করে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। সেই বছর প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি সফরে গিয়ে বলে এসেছে ভারতে যেন আমাদের জানিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এবারও ভারত হঠাৎ করেই কোন কিছু না জানিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিল। প্রতিবেশী দেশ থেকে এরকম আচরণ সুসম্পর্কের ক্ষেত্রে কতটা যৌক্তিক সেটা বিবেচ্য বিষয়।”
ভারতের এই সিদ্ধান্তটা হুট করে নেয়া হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে মি. আলম। পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্যগুলিতে অতি বৃষ্টির ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং সেকারণেই রফতানি বন্ধ করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে দু’দেশের সম্পর্ক নিশ্চয়ই একটি দ্রব্যের রফতানির ওপর নির্ভর করে না?
পেঁয়াজের প্রসঙ্গে ফিরছি আরেকটু পরে, তার আগে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে দুটো চিঠি।
বেশ কিছু দিন যাবত যে বিষয় আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক জগতকে সরগরম রেখেছে তা হল, ইসরায়েলের সাথে বিভিন্ন আরব রাষ্ট্রের সম্পর্ক স্থাপন। মাস খানেক আগে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়ে চমক লাগিয়ে দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। সপ্তাহান্তে যোগ দেয় বাহরাইন।
আগামীতে কে? সৌদি আরব, মরক্কো সহ অন্যান্য আরব দেশেরও নাম শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি আর ইরানের দিক থেকে এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের মতে, ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়ে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র স্থাপনের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়ে শুরু করছি, লিখেছেন ঢাকা থেকে তাঞ্জিলুর রহমান:
”ইসরায়েলের সাথে কিছু আরব রাষ্ট্রের সম্পর্ক প্রধানত ইরানকে দমনের জন্য। আর ওসব দেশে গণতন্ত্র নাই, যার ফলে জনগণের চাওয়া কী, সেটা সেসব দেশের বাদশাহরা পরোয়া করেনা। আমি যতটুকু জানি সেসব দেশের জনগণের বিশাল অংশ এটা সমর্থন করেনা তাই এই সম্পর্ক আসলে একটা পোশাকি সম্পর্ক ছাড়া আর কিছু নয়।”
এ’কথা ঠিক মি. রহমান, যেসব আরব দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে সেসব দেশে জনমত যাচাই করা কঠিন, তাই কোন নিশ্চয়তার সাথে বলা যাবে না তারা তাদের সরকারের পদক্ষেপ সমর্থন করে কি করে না। তবে আগামী দিনগুলোতে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
বিষয়টি ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখে লিখেছেন ঢাকার ধানমন্ডি থেকে শামীম উদ্দিন শ্যামল:
”ইসরাইলের সাথে নিজ স্বার্থ রক্ষা কিংবা প্রতিপক্ষকে কঠোর সতর্কবার্তা দিতে বেশ কয়েকটা মুসলিম দেশ শান্তিচুক্তি করছে/স্বীকৃতি দিচ্ছে। ইসরাইলের সাথে মুসলিম দেশগুলোর শান্তিচুক্তি/স্বীকৃতি ফিলিস্তিনিদের জন্য ভাল কিছু বয়ে আনবে কিনা তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তবে শত্রুতার সম্পর্কে রেখে যেহেতু মুসলিম দেশগুলো ফিলিস্তিনিদের জন্য কিছু করতে পারেনি, এবার বন্ধুত্বর সম্পর্কে রেখে হয়তো কিছু করতে পারবে বলে আশা করা যায়।”
এ’রকম একটা চিন্তাধারা অবশ্যই আছে মি. শামীম উদ্দিন। ইসরায়েলকে সামরিক পথে পরাস্ত করতে আরব দেশগুলো ব্যর্থ হয়েছে। তাই শান্তি স্থাপনের মধ্য দিয়েই হয়তো ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের নীতি প্রভাবিত করা যাবে। এই আশা আরব বিশ্বে অনেকে করবেন। তবে ফিলিস্তিনিদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে না তারা আশাবাদী।
এবারে একটি অভিযোগ। ভারতে এলাহাবাদ শহরের নাম বদল নিয়ে আমাদের রিপোর্টের প্রতিবাদ করে লিখেছেন ভারত থেকে অর্ক রায়:
”গত ১৫ই সেপ্টেম্বর বিবিসি বাংলায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে একটি প্রতিবেদনে দেওয়া হয়। ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, আদিত্যনাথ নাকি ‘দুম করে’ এলাহাবাদের নাম পালটে দিয়েছেন। অথচ বিবিসি বাংলার সাংবাদিকগণ রিসার্চ করে দেখলই না যে এলাহাবাদের আদি নাম ছিল প্রয়াগরাজ যেটি মুসলিম মুঘল শাসকরা ভারতে এসে পালটে রাখে এলাহাবাদ। আদিত্যনাথ শুধু আদি নামটাই আবার ফিরিয়ে আনল।
”ব্রিটিশরা যেমন ভারতে বিদেশী তেমনি উজবেকিস্তান থেকে আসা মুঘলরাও ভারতে বিদেশী। ব্রিটিশদের দেওয়া শহরের নামগুলো যেমন পালটে ফেলা হয়েছে তেমনি বিদেশী মুঘলদের নামগুলোও পালটে ফেলা কোন অন্যায় নয়। এনিয়ে বিবিসি বাংলা ইচ্ছাকৃত ভাবে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। আর ভারতের মুসলিমরা কিন্তু মুঘলদের বংশধর নয়। তাই মুঘলদের সাথে ভারতের মুসলিমদের জড়িয়ে ফেলা বিবিসির নিম্ন রাজনীতি ছাড়া কিছুই নয়।”
এলাহাবাদের প্রাচীন নাম যে প্রয়াগরাজ ছিল সেটা কিন্তু কেউ কোন দিন অস্বীকার করেনি মি. রায়। আর ‘দুম করে’ শব্দ দুটো আমাদের সংবাদদাতার নয়, সেটা ছিল একজন ইতিহাসবিদের পর্যবেক্ষণ। আমাদের রিপোর্ট ছিল ভারতে সম্প্রতি বিভিন্ন স্থাপনার নাম পালটে ফেলার প্রবণতা নিয়ে এবং সেটা ঘিরে যে বিতর্ক হচ্ছে, সেটা নিয়ে। এখানে বিবিসি বাংলার কোন রাজনীতি নেই, যা রাজনীতি আছে তা ভারতেই।
তবে প্রয়াগ সম্পর্কে আমাদের সংবাদদাতা শুভজ্যেতি ঘোষ কয়েকটি লাইন যোগ করেছেন:
”ভারতে গঙ্গা ও যমুনার সঙ্গমে যে প্রাচীন জনপদ, সেটি বেশ কয়েকশো বছর আগে যে ‘প্রয়াগরাজ’ বা ‘প্রয়াগ’ নামেই পরিচিত ছিল তাতে কোনও সন্দেহ নেই। মুঘল বাদশাহ আকবর ষোড়শ শতাব্দীতে এই শহরের নতুন নাম দেন এলাহাবাদ। পরবর্তী প্রায় সাড়ে চারশো বছর ধরে, এমন কী ব্রিটিশ আমলে বা স্বাধীন ভারতেও এই শহরকে সারা দেশ এলাহাবাদ নামেই চিনে এসেছে। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু নিজেকে এলাহাবাদের সন্তান বলেই পরিচয় দিতেন, বলিউড সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনও তাই দেন। উত্তরপ্রদেশের সর্বোচ্চ আদালতের নাম এখনও এলাহাবাদ হাইকোর্ট, আর আজও রাজ্যের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম এলাহাবাদ ইউনিভার্সিটি।
”যোগী আদিত্যনাথ সরকারের প্রশাসনিক নির্দেশে ২০১৮র নভেম্বরে রাতারাতি এই শহরের নাম পাল্টে করা হয় প্রয়াগরাজ। অথচ শহরের নাম পাল্টানোর জন্য সেখানে কোনও গণআন্দোলনও ছিল না, সরকার কোনও জনমত যাচাই (পাবলিক কনসাল্টেশন) বা গণভোটও করেনি। এ কারণেই বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ মৃদুলা মুখার্জি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন ‘দুম করে’ এলাহাবাদের নাম বদলে দেওয়া হল – আর প্রতিবেদনেও ঠিক সেটাই উল্লেখ করা হয়েছে।”
ভারত-চীন সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা এবং তা প্রশমনের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়ে লিখেছেন আসামের ডিগবয় থেকে শান্তনু রায়চৌধুরী:
”পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সামরিক উত্তেজনা প্রশমনের জন্য ভারত ও চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ে সদ্য গ্ৰহন করা মস্কো দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সত্ত্বেও লাদাখ সীমান্তে সামরিক উত্তেজনা ক্রমবর্ধমান। এমতাবস্থায় এটা কি ধরে নেওয়া যায়, যে উক্ত অঞ্চলে শান্তি স্থাপনের জন্য কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রচেষ্টা সামরিক পর্যায়ে কার্যকর হচ্ছে না বা সীমান্তে নিয়োজিত দু’পক্ষের সৈন্যরা সে নির্দেশ মানতে নারাজ, যার পরিণতি ভয়ংকর হতে পারে?”
পরিস্থিতি যে অত্যন্ত জটিল তা নিয়ে সন্দেহ নেই মি. রায়চৌধুরী। চীন ইতোমধ্যে অভিযোগ করেছে সীমান্তে ভারতের সৈন্যরা রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের বাইরে কাজ করছে। ভারত সেটা মানতে নারাজ। তবে চুক্তি বা সমঝোতা সত্ত্বেও আমার মনে হয় দু’দেশের সামরিক বাহিনীই চেষ্টা করছে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে। সেসব কার্যক্রম থেকে বড় মাপের সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকেই যায়।
পরের চিঠি লিখেছেন ঝিনাইদহ থেকে কাজী সাঈদ:
”বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদনে দেখলাম বাংলাদেশে ঝিনাইদহ জেলায় নাকি আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। চাকুরির সুবাদে এখানে অবস্থান করলেও বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ছিলাম না মোটেও। তবে এই চিত্রটি শুধু ঝিনাইদহের না, দেশের অন্যান্য এলাকাতেও প্রকোপ কম না বলেই আমি মনে করি। আর এর বড় কারণ হল, আমাদের দেশে মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেয়া হয়না বললেই চলে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরো ভয়াবহ।
”কেউ মানসিকভাবে অসুস্থ হলে আমাদের প্রবণতা হল তাকে পাগল সাব্যস্ত করা, যা ঐ মানুষটির প্রতি আরো অমানবিক হাওয়ার নামান্তর। আশা করব, মানসিক রোগীদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পালটাবে, সেই সাথে শুধু ঝিনাইদহ না, সারা দেশের আত্মহত্যার মাত্রা শূন্যের কোঠায় আনা সম্ভব হবে।”
শূন্যের কোঠায় নামানো সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে মি. সাইদ। কারণ ব্রিটেন বা সুইডেন-এর মত উন্নত দেশ, যেখানে মানসিক স্বাস্থ্যকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়, সেখানেও কিন্তু আত্মহত্যার হার বেশ উঁচু। তবে এটা ঠিক যে, বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যকে সরকার বা পরিবার, কোনো দিক থেকেই গুরুত্ব দেয়া হয়না। বরং এই বিষয়কে লুকিয়ে রাখার প্রবণতা দেখা যায়। এখানে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো অত্যন্ত জরুরি বলে আমার মনে হয়, এবং সেটা করতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।
আবার ফিরছি পেঁয়াজ প্রসঙ্গে। পেঁয়াজ নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন তুলে লিখেছেন খুলনার দাকোপ থেকে মুকুল সরদার:
”ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেবার একদিন পরেই বাংলাদেশে পেঁয়াজের মূল্য কী ভাবে দ্বিগুণ হয়ে গেল? তাহলে কি এটি ধরে নেওয়া যেতে পারে বাংলাদেশে পেঁয়াজের কোনো মজুদ নেই? না কি ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা রাতারাতি পেঁয়াজের মূল্য দ্বিগুণ করে দিয়েছে? এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ভারত নির্ভরতা কমিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি কারক অন্যান্য দেশের দিকে নজর দেওয়া উচিৎ বলেই আমার মনে হয়।”
আগের চিঠির উত্তরে যেটা বলেছি মি. সরদার, বাংলাদেশ সরকার নিশ্চয়ই পেঁয়াজের মত গুরুত্বপূর্ণ শস্যর জন্য একটি দেশের হাতে জিম্মি হয়ে থাকতে চাইবে না। তারা নিশ্চয়ই বিকল্প দেশ নিয়ে ভাবছে। আর দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়াটা মুক্ত বাজারের আরেকটি রূপ বলেই মনে হয় – রফতানি বন্ধ মানে সরবরাহ কম হবে, চাহিদাও হঠাৎ বেড়ে যাবে, কাজেই দাম বৃদ্ধি করে দেয়া হল। মজুদ থাকলেও ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে মুনাফা বৃদ্ধি করছে।
একই বিষয়ে আরো লিখেছেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে মোহাম্মদ রেজাউল রহিম:
”সপ্তাহ দু’য়েক আগেও যেখানে মসলা জাতীয় খাবার পেঁয়াজের কেজি প্রতি দাম পঞ্চাশের ঘরে ছিল, সেখানে পার্শ্ববর্তী দেশের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে এখন তা লাগামছাড়া বললে বোধহয় ভুল হবে না। এহেন পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে তো পেঁয়াজের দাম গেল বছরের মতন আকাশচুম্বী হওয়ার আশংকা তো রয়েছেই। আর এতে করে ক্রেতা সাধারণের পেঁয়াজ কিনতে তো নাভিশ্বাস অবস্থা। আদতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা এসবের ফায়দা লুটতে মরিয়া। কিন্তু সরকার আসলেই পেঁয়াজের অস্থির বাজারের লাগাম টেনে ধরতে পারবে কি?”
সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী তো কথা দিয়েছেন এক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি শান্ত হবে। হয়তো তিনি অন্য দেশ থেকে জরুরি ভিত্তিতে পেঁয়াজ আমদানির কথা ভাবছেন বা আশা করছেন ভারত শীঘ্রই তাদের সিদ্ধান্ত বদলাবে। দেখা যাক কী হয়। তবে আপনি যে পেঁয়াজকে মসলা বললেন, সব বাঙালি কি আপনার সাথে একমত হবে? অনেকে তো বলেন পেঁয়াজ শস্য, মসলা না!
একটি অনুরোধ করে লিখেছেন ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম:
”আমি আপনাদের কাছে একটি অনুরোধ করবো যা হলো, ঢাকা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) অথবা Detailed Area Plan (DAP) নিয়ে একটি ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করুন। এই প্ল্যানের ভবিষ্যৎ কী এবং এরকম প্ল্যান অতীতে কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে। যে প্ল্যানটা তৈরি করা হয়েছে ওই প্ল্যানটা কতটুকু বাস্তবায়নযোগ্য, সাধারণ জনগণ কীভাবে বেনিফিটেড অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
”একটা খসড়া প্ল্যান রাজউক অনলাইনে পাবলিশ করেছে এবং কারো কোন অভিযোগ থাকলে ওই প্ল্যান এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য চৌঠা নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। আপনারা সাংবাদিক আপনাদের প্রতিবেদন অনেক সুন্দর হয় । আপনাদের ভিডিও প্রতিবেদনগুলো রেগুলার দেখে থাকি এবং মনে মনে ভাবি কেন আমাদের দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো এত সুন্দর প্রতিবেদন তৈরি করতে পারে না।”
আমাদের কাজের প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মি. ইসলাম। ঢাকা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা নিয়ে আমরা অতীতে কাজ করেছি, তবে এখন আরেকটু অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
আরেকটি অনুরোধ করে লিখেছেন ঢাকার কাকরাইল থেকে শেখ মাহফুজুল বাসার:
”বিবিসি বাংলা বিভাগকে অনুরোধ করছি বাংলাদেশের সাধারণ অভিভাবকদের পক্ষে স্কুলের বেতন আংশিক মওকুফের জন্য একটি যুগোপযোগী প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য। অর্থাৎ, এ বছর বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের বেতন যাতে ১০০% না নেয়া হয়। করোনা কালে দেশের সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
”এ সময়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনেক রকম খরচ করার প্রয়োজন হয়নি। যেমন বিদ্যুৎ বিল, ষ্টেশনারি, মিটিং- আপ্যায়ন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণ-বেক্ষণ খরচ করার তেমন প্রয়োজন হয়নি। তাই সরকার যাতে সব ধরনের স্কুল/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করে ১০০% টিউশন ফি আদায় না করে ৫০% – ৬০% বেতন আদায় করে ছাত্র-ছাত্রীদের পরবর্তী শ্রেণিতে পড়ার সুযোগ করে দেয়।”
আমরা করোনাভাইরাস মহামারির ফলে শিক্ষা খাতে জটিলতা, বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষতি নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন করেছি। কিন্তু আগামী শিক্ষা বছরের বেতনের বিষয়টি নিয়ে কিছু করা হয়নি। তবে এখানে আমাদের অবশ্যই শিক্ষকদের বেতনের কথাটা মাথায় রাখতে হবে। স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের বেতন নিশ্চয়ই দেয়া হয়েছিল? তাছাড়া, নিরপেক্ষতার স্বার্থে আমরা কোন দাবিকে সমর্থন করে প্রতিবেদন প্রচার করতে পারি না। কিন্তু দাবির পক্ষে এবং বিপক্ষে যুক্তিগুলো ব্যাখ্যা করে বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন অবশ্যই করা যায়।
এবারে ছোট একটি অভিযোগ, লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ থেকে তাপস প্রামাণিক:
”আপনাদের ফেসবুক পেজে ইদানিং একটি বিষয় খুবই বেশি চোখে পড়ছে। ফেসবুকে প্রকাশিত খবরের নিচে কমেন্ট বক্সের কমেন্টগুলির অধিকাংশ অত্যন্ত অশ্লীল, বিদ্বেষমূলক, কুরুচি সম্পন্ন এবং কখনো কখনো হিংসাত্মক। যেগুলো শ্রোতা-দর্শকই করে থাকেন। বিবিসির মত প্লাটফর্মে এগুলি নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।”
আমি আপনার সাথে একমত মি. প্রামাণিক যে, এ’ধরনের অশ্লীল এবং বিদ্বেষমূলক কমেন্ট গ্রহণযোগ্য না। আমরা অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের এ’রকম কুরুচি সম্পন্ন আচরণ থেকে বিরত রাখার জন্য কিন্তু সফল হতে আরো চেষ্টা করতে হবে। আমরা কাওকে নিষিদ্ধ করতে চাই না বা মুক্ত মতামত প্রকাশ করার অধিকারেও হস্তক্ষেপ করতে চাই না, কিন্তু হিংসাত্মক বা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ডিলিট করা ছাড়া আমাদের কাছে কোন রাস্তা খোলা থাকছে না।
বিবিসি বাংলাকে নিয়ে ছোট একটি প্রশ্ন করেছেন খুলনা থেকে মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম:
”প্রযুক্তির বিকাশ,তারুণ্যের ট্রেন্ডিং এর সাথে মিলিয়ে আজকের দিনে বিবিসি বাংলার আইডেন্টিটি কী- ভার্চুয়াল মিডিয়া, টিভি না রেডিও?”
আজকের দিনে শুধু মাত্র একটি প্লাটফর্মে নির্ভর করা যায় না মি. ইসলাম। আজকের দিনের মিডিয়া হচ্ছে মাল্টিমিডিয়া, মাল্টি প্লাটফর্ম। আমাদের আইডেন্টিটি হচ্ছে তাই, একটি মাল্টি প্লাটফর্ম মিডিয়া।
বায়তুল মুকাদ্দাস। মুসলমানদের প্রথম কেবলা। ইসরাইল দখরকৃত জেরুজালেম শহরে অবস্থিত এটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিনিয়র উপদেষ্টা ও জামাতা জেরাড কুশনার মনে করেন, মসজিদে আকসা খুলে দিলেই মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে ইসরাইলের বিরোধ ও উত্তেজনা অনেকাংশেই সীমাবদ্ধ থাকবে। খবর আরব নিউজ।
ইসরাইলের সঙ্গে মুসলিম বিশ্বের বিরোধ ও উত্তেজনার কারণ বায়তুল মুকাদ্দাস তথা মসজিদে আকসায় ইবাদত-বন্দেগি ও নামাজ পড়তে বাঁধা দেয়া। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাত ও ইসরাইলের মধ্যে এক চুক্তি সম্পাদত হয়।
জেরাড কুশনার বলেন, আমি জানি, আরব আমিরাত-ইসরাইলের চুক্তির ফলে ইসরাইলিরা যেমন উচ্ছ্বসিত তেমনি অনেক মুসলিমরা সহজেই মসজিদে আকসায় যেতে পারবে। ইসরাইলিরা যেমন দুবাই হয়ে বিমান সেবা পাবে তেমনি দুবাই হয়ে অন্য দেশের মুসলিমরাও মসজিদে আকসায় যেতে পারবে।
কুশনার আরও বলেন, আমিরাতের সঙ্গে চুক্তির কারণে বেশি সংখ্যক মুসলিম আল আকসায় আসতে পারবেন। মুসলিমরা স্বাধীনভাবে শান্তিতে মসজিদে নামাজ পড়তে পারবেন। এ চুক্তির কারণে জেরুজালেম এখন আগের তুলনায় অনেক নিরাপদ।
কুশনার বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে এই চুক্তি অন্যতম বড় ঘটনা। ইসরাইলের গত ৭০ বছরের ইতিহাসে এটি তৃতীয় চুক্তি। আর গত ২৬ বছরে প্রথম কোনো আরব রাষ্ট্র ইসরাইলিদের সঙ্গে চুক্তি করতে সম্মত হলো। যদিও মুসলিম বিশ্বজুড়ে এ চুক্তির ফলে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা করছেন।
আরব-আমিরাত ও ইসরাইলের এই চুক্তির সুদূরপ্রসারী প্রভাব উপলব্ধি করতে পারছে না সমালোচনাকারীরা। এর মাধ্যমেই মধ্যপ্রাচ্যের সব সমস্যার সমাধান হবে বলেও উল্লেখ করেন কুশনার।
উল্লেখ্য যে, আরব আমিরাত ও ইসরাইলের মধ্যে ব্যবসায়িক এ চুক্তি বাস্তবায়িত হলে ইসরাইল-আমিরাত রুটে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হবে। এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আমিরাত-ইসরাইলের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচলের ঘোষণাও দিয়েছেন।
এ ঘোষণার ফলে অপেক্ষার পালা শুরু হলো- মুসলিম বিশ্বের জন্য মসজিদে আকসার দরজা কবে নাগাদ উন্মুক্ত হবে?
পৃথিবীর অবাক সৃষ্টি হল প্রজাপতি। গবেষকদের ধারণা প্রায় ২০০ মিলিয়ন বছর আগেও প্রকৃতিতে প্রজাপতির অস্তিত্ব ছিল। বর্ণিল এ প্রাণীটির বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে বিস্ময় জাগায় ওয়েস্টার্ন ব্ল– পিগমি বাটারফ্লাই বা পশ্চিমা নীল পিগমি প্রজাপতি। নীল রঙের এ প্রজাপতির নামের আগে পশ্চিমা শব্দটি থাকলেও উত্তর আমেরিকার পাশাপাশি এদের দেখা মেলে হাওয়াই ও মধ্যপ্রাচ্যে।
তবে ক্ষারীয় অঞ্চল এবং মরুভূমিতে থাকতেই এরা বেশি পছন্দ করে। ধারণা করা হয় বিশ্বে এরাই সবচেয়ে ছোট প্রজাতির প্রজাপতি। এদের ডানার বিস্তৃতি প্রায় ১২ মিলিমিটার। ডানা তামাটে বাদামি রঙের, উপরের দিক নীলাভ এবং নিচের দিকে সাদা চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও ডানার প্রান্তগুলোতে রয়েছে সাদা রঙের চিহ্ন যা নীল পিগমি প্রজাপতিকে করে তুলেছে আকর্ষণীয়। প্রজনন মৌসুমে স্ত্রী পিগমি প্রজাপতি নিজস্ব হোস্ট প্লান্ট যেমন পিগউইড বা সল্টবুশ গাছে ডিম দেয় এবং তা থেকে হলদে সবুজ রঙের শুঁয়োপোকার জন্ম হয়। জীবনচক্রের পরবর্তী বিভিন্ন ধাপ পার হয়ে অবশেষে নীল ছটার প্রজাপতি হয়ে আকাশে পাখা মেলে। এদের আয়ুষ্কাল মাত্র কয়েকদিন।
ফিলিস্তিনের গাজা থেকে দুই মাইল উত্তরে কিবুটস এলাকা। এখানে ১৯৩০’র দশকে পোল্যান্ড থেকে আসা ইহুদীরা কৃষি খামার গড়ে তুলেছিল।
ইহুদিদের পাশেই ছিল ফিলিস্তিনী আরবদের বসবাস। সেখানে আরবদের কৃষি খামার ছিল। তারা কয়েক শতাব্দী ধরে সেখানে বসবাস করছিল।
সে সময় মুসলমান এবং ইহুদীদের মধ্যে সম্পর্ক মোটামুটি বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল।
কিন্তু ১৯৩০’র দশকে ফিলিস্তিনীরা বুঝতে পারলো যে তারা ধীরে-ধীরে জমি হারাচ্ছে। ইহুদিরা দলে-দলে সেখানে আসে এবং জমি ক্রয় করতে থাকে।
ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার সময় প্রায় সাত লাখের মতো ফিলিস্তিনী বাস্তু-চ্যুত হয়েছে। তারা ভেবেছিল দ্রুত সমস্যার সমাধান হলে তারা বাড়ি ফিরে আসতে পারবে।
কিন্তু ইসরায়েল তাদের আর কখনোই বাড়িতে ফিরতে দেয়নি।
ইসরায়েলের সাবেক প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ বছর দশেক আগে বিবিসি’র সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনদের কেন এই দশা হলো সেজন্য তাদের নিজেদেরই প্রশ্ন করা উচিত।
মি: পেরেজ বলেন, “অধিকাংশ জমি ফিলিস্তিনদের হাতেই থাকতো। তাদের একটি আলাদা রাষ্ট্র হতো। কিন্তু তারা সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে। ১৯৪৭ সালে তারা ভুল করেছে। আমরা কোন ভুল করিনি। তাদের ভুলের জন্য আমরা কেন ক্ষমা চাইবো?”
১৮৯৭ সাল থেকেই ইহুদিরা চেয়েছিলেন নিজেদের জন্য আলাদা একটি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে।
১৯১৭ সালে থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনের ভূমি ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
১৯১৭ সালের নভেম্বর মাসে তুরস্কের সেনাদের হাত থেকে জেরুজালেম দখল করে ব্রিটেন।
তখন ব্রিটিশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে ফিলিস্তিনের মাটিতে ইহুদিদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের জন্য সহায়তা করবে।
ব্রিটেনের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড আর্থার জেমস বেলফোর বিষয়টি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন ইহুদি আন্দোলনের নেতা ব্যারন রটসচাইল্ডকে।
তৎকালীন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সে চিঠি ‘বেলফোর ডিক্লারেশন’ হিসেবে পরিচিত।
ইহুদীদের কাছে ব্রিটেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে ফিলিস্তিনের জমিতে তাদের জন্য একটি রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ করে দিবে।
যদিও রোমান সময় থেকে ইহুদিদের ছোট্ট একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী সে জায়গায় বসবাস করতো।
ইউরোপে ইহুদীদের প্রতি যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সেটি তাদের একটি নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের ভাবনাকে আরো তরান্বিত করেছে।
১৯৩৩ সালের পর থেকে জার্মানির শাসক হিটলার ইহুদিদের প্রতি কঠোর হতে শুরু করেন।
ইতোমধ্যে জাহাজে করে হাজার হাজার ইহুদি অভিবাসী ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডে আসতে থাকে।
তখন ফিলিস্তিনী আরবরা বুঝতে পারে যে তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে।
ফিলিস্তিনী আরবরা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বিদ্রোহ করে। তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল ব্রিটিশ সৈন্য এবং ইহুদি নাগরিকরা।
কিন্তু আরবদের সে বিদ্রোহ কঠোর হাতে দমন করেছে ব্রিটিশ সৈন্যরা।
ফিলিস্তিনদের উপর ব্রিটিশ সৈন্যরা এতো কঠোর দমন-পীড়ন চালিয়েছিল যে আরব সমাজে ভাঙন তৈরি হয়েছিল।
ইহুদীরা তাদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনে বদ্ধপরিকর ছিল। ব্রিটেনের সহায়তায় সে অনুযায়ী তারা কাজ এগিয়ে নিচ্ছিল।
১৯৩০’র দশকের শেষের দিকে ব্রিটেন চেয়েছিল হিটলারের নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের অবস্থান জোরালো করতে।
সেজন্য আরব এবং ইহুদী- দু’পক্ষকেই হাতে রাখতে চেয়েছে ব্রিটেন।
১৯৩৯ সালের মাঝামাঝি ব্রিটেনের সরকার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে যেখানে বলা হয়েছিল পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য পঁচাত্তর হাজার ইহুদি অভিবাসী আসবে ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডে। অর্থাৎ সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছিল।
ব্রিটেনের এ ধরনের পরিকল্পনাকে ভালোভাবে নেয়নি ইহুদিরা। তারা একই সাথে ব্রিটেন এবং হিটলারের বিরুদ্ধে লড়াই করার পরিকল্পনা করে।
তখন ৩২ হাজার ইহুদি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়। সেখান থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে ইহুদি সৈন্যরা ব্রিটেন এবং আরবদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের বাহিনীর দ্বারা লাখ-লাখ ইহুদি হত্যাকাণ্ডের পর নতুন আরেক বাস্তবতা তৈরি হয়।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পর যেসব ইহুদি বেঁচে ছিলেন তাদের জন্য জন্য কী করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
তখন ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডে ইহুদীদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের চিন্তা আরো জোরালো হয়।
আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ইসরায়েল রাষ্ট্রের পক্ষে জোরালো অবস্থান তুলে ধরেন।
মি: ট্রুম্যান চেয়েছিলেন হিটলারের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া এক লক্ষ ইহুদিকে অতি দ্রুত ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে জায়গা দেয়া হোক।
কিন্তু ব্রিটেন বুঝতে পারছিল যে এতো বিপুল সংখ্যক ইহুদিদের ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডে নিয়ে গেলে সেখানে গৃহযুদ্ধ হবে।
এ সময় ইহুদিদের সশস্ত্র দলগুলো ব্রিটিশ সৈন্যদের উপর ফিলিস্তিনের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানো শুরু করে।
তখন ইউরোপ থেকে ফিলিস্তিনের উদ্দেশ্যে জাহাজে বোঝাই হয়ে আসা হাজার-হাজার ইহুদিদের বাধা দেয় ব্রিটিশ বাহিনী। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি।
ইহুদি সশস্ত্র দলগুলো ব্রিটিশ বাহিনীর উপর তাদের আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
তাদের উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি পরিস্থিতির তৈরি করা যাতে ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের জন্য ব্রিটেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়। তখন সমাধানের জন্য ব্রিটেনের উপর চাপ বাড়তে থাকে।
এরপর বাধ্য হয়ে ব্রিটেন বিষয়টিকে জাতিসংঘে নিয়ে যায়।
১৯৪৭ সালের নভেম্বর মাসে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে দু’টি রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ। একটি ইহুদিদের জন্য এবং অন্যটি আরবদের জন্য।
ইহুদিরা মোট ভূখণ্ডের ১০ শতাংশের মালিক হলেও তাদের দেয়া হয় মোট জমির অর্ধেক। কিন্তু আরবদের জনসংখ্যা এবং জমির মালিকানা ছিল আরবদের দ্বিগুণ।
স্বভাবতই আরবরা এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। তারা জাতিসংঘের এ সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয়।
কিন্তু ফিলিস্তিনীদের ভূখণ্ডে তখন ইহুদিরা বিজয় উল্লাস শুরু করে। অবশেষে ইহুদিরা একটি স্বাধীন ভূখণ্ড পেল। কিন্তু আরবরা অনুধাবন করেছিল যে কূটনীতি দিয়ে এ সমস্যার সমাধান হবে না।
জাতিসংঘের এ সিদ্ধান্তের পর আরব এবং ইহুদিদের মধ্যে দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। তখন ফিলিস্তিনী ভূখণ্ড ছেড়ে যাবার জন্য ব্রিটিশ সৈন্যরা দিন গণনা করছিল।
তখন ইহুদিদের সশস্ত্র দলগুলো প্রকাশ্যে আসা শুরু করে। তাদের গোপন অস্ত্র কারখানাও ছিল।
কিন্তু ইহুদিদের সবচেয়ে বড় সুবিধা ছিল তাদের বিচক্ষণ নেতৃত্ব।
এর বিপরীতে আরবদের কোন নেতৃত্ব ছিলনা। ইহুদীরা বুঝতে পেরেছিল যে নতুন রাষ্ট্র গঠনের পর আরবরা তাদের ছেড়ে কথা বলবে না। সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য আগে থেকেই তৈরি ছিল ইহুদিরা।
সবার দৃষ্টি ছিল জেরুজালেম শহরের দিকে। মুসলমান, ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের জন্য পবিত্র এ জায়গা।
জাতিসংঘ যে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল সেখানে জেরুজালেম আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা ছিল।
কিন্তু আরব কিংবা ইহুদি- কোন পক্ষই সেটি মেনে নেয়নি। ফলে জেরুজালেম শহরের নিয়ন্ত্রণের জন্য দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠেছিল।
জেরুজালেমে বসবাসরত ইহুদীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিল আরবরা। অন্য জায়গার সাথে জেরুজালেমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে ইহুদীরা আরবদের উপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে।
অনেক বিশ্লেষক বলেন, তখন ইহুদীরা আরবদের নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করেছিল।
যেহেতু আরবদের মধ্যে কোন সমন্বয় ছিল না সেজন্য ইহুদিরা একের পর এক কৌশলগত জায়গা দখল করে নেয়।
তখন ফিলিস্তিনের একজন নেতা আল-হুসেইনি সিরিয়া গিয়েছিলেন অস্ত্র সহায়তার জন্য।
কিন্তু সিরিয়া সরকার ফিলিস্তিনদের সে সহায়তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সেখান থেকে ফিরে এসে আল হুসেইনি আবারো যুদ্ধে নামেন। এর কয়েকদিন পরেই তিনি নিহত হন।
ইহুদিরা যখন তাদের আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দিলে ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ বহু ফিলিস্তিনী আরব তাদের বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ইহুদি সশস্ত্র গ্রুপগুলোর নৃশংসতা আরবদের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়। অন্যদিকে ফিলিস্তিনী সশস্ত্র দলগুলো ইহুদিদের উপর কয়েকটি আক্রমণ চালায়।
কিন্তু ইহুদিদের ক্রমাগত এবং জোরালো হামলার মুখে ভেঙ্গে পড়তে শুরু করে ফিলিস্তিনীরা। তারা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ এবং অন্য আরব দেশগুলোর সরকার তাদের নিজ দেশের ভেতরে চাপে পড়ে যায়।
সেসব দেশের জনগণ চেয়েছিল, যাতে ফিলিস্তিনদের সহায়তায় তারা এগিয়ে যায়।
১৯৪৮ সালের ১৪ই মে ফিলিস্তিন ছেড়ে চলে যায় ব্রিটেন। একই দিন তৎকালীন ইহুদি নেতারা ঘোষণা করেন যে সেদিন রাতেই ইহুদি রাষ্ট্রের জন্ম হবে।
ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্মের এক ঘন্টার মধ্যেই আরবরা আক্রমণ শুরু করে। একসাথে পাঁচটি আরব দেশ ইসরায়েলকে আক্রমণ করে।
যেসব দেশ একযোগে ইসরায়েলকে আক্রমণ করেছিল তারা হচ্ছে – মিশর, ইরাক, লেবানন, জর্ডান এবং সিরিয়া। তাদের সৈন্য সংখ্যা ছিল প্রায় ত্রিশ হাজারের মতো।
অন্যদিকে ইসরায়েলের সৈন্য সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৫ হাজার।
কিন্তু আরব দেশগুলোর মধ্যে কোন সমন্বয় ছিলনা। তাছাড়া আরব নেতৃত্ব একে অপরকে বিশ্বাস করতো না।
জেরুজালেম দখলের জন্য আরব এবং ইসরায়েলের মধ্যে চলছে তীব্র লড়াই।
ইহুদিরা ভাবছিল জেরুজালেম ছাড়া ইহুদি রাষ্ট্রের কোন অর্থ নেই। অন্যদিকে মুসলমানদের জন্যও জেরুজালেম পবিত্র জায়গা।
তীব্র লড়াইয়ের এক পর্যায়ে ইসরায়েলি বাহিনী পিছু হটতে থাকে। তাদের অস্ত্রের মজুত শেষ হয়ে যায়।
সম্ভাব্য পরাজয় আঁচ করতে পেরে ইহুদিরা নিজেদের শক্তি সঞ্চয়ের জন্য সময় নেয়।
আর কিছুদূর অগ্রসর হলেই মিশরীয় বাহিনী তেল আবিবের দিকে অগ্রসর হতে পারতো। তখন জাতিসংঘের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
যুদ্ধবিরতির সময় দু’পক্ষই শক্তি সঞ্চয় করে। কিন্তু ইসরায়েল বেশি সুবিধা পেয়েছিল। তখন চেকোস্লোভাকিয়ার কাছ থেকে আধুনিক অস্ত্রের চালান আসে ইসরায়েলের হাতে।
যুদ্ধ বিরতী শেষ হলে নতুন করে আরবদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। একর পর এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে নেয় ইহুদিরা।
তেল আবিব এবং জেরুজালেমের উপর তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়।
জাতিসংঘের মাধ্যমে আরেকটি যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে সে সংঘাত থামে। ইসরায়েলী বাহিনী বুঝতে পরে তারা স্বাধীনতা লাভ করছে ঠিকই কিন্তু লড়াই এখনো থামেনি।
১৯৪৭ সালের নভেম্বর মাস থেকে ১৯৪৯ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ছয় হাজার ইহুদি নিহত হয়েছিল।
ইহুদিরা মনে করে তারা যদি সে যুদ্ধে পরাজিত হতো তাহলে আরবরা তাদের নিশ্চিহ্ন করে দিতো।
ইসরায়েলিরা মনে করেন ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ সেভাবে দু’টি দেশের স্বীকৃতি দিয়েছিল, সেটি যদি ফিলিস্তিনীরা মেনে নিতো তাহলে ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েল নামের দুটি দেশ এখন পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতো।
আরব দেশগুলোর মধ্যে পারষ্পরিক আস্থা না থাকার কারণেই ১৯৪৮ সালের যুদ্ধে তারা পরাজিত হয়েছে এবং ইসরায়েল দেশটির জন্ম হয়ে সেটি স্থায়ী হতে পেরেছে। অনেক ঐতিহাসিক বিষয়টিকে এভাবেই দেখেন।
১৯৪৮ সালের পর থেকে সামরিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে অতি দ্রুত উন্নতি লাভ করে ইসরায়েল। তারা সুপার পাওয়ার হিসেবে আবির্ভূত হয়।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন