আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

ফল

লক্ষ্মণভোগ যেন এবার লক্ষ্মীছাড়া

আম ভাঙার কাজে এসে বাগানে খেতে বসেছেন চার শ্রমিক। খেতে খেতে গল্প করছেন। আম নিয়েই সে গল্প। শ্রমিক শাহাবুল বলছেন, ‘আজ ভাঙছি গরিবের আম। আবার কাল ভাঙতে হবে বড় লোকের আম।’ মাসুম বললেন, ‘যে আমই ভাঙি মজুরি সাড়ে তিন শ টাকার কম হলে হবে না।’ তাঁর কথায় সায় দিয়ে শাহাবুদ্দিন ও রাশেদ মাথা নাড়লেন। শুনতে শুনতে তাঁদের গল্পের সঙ্গে যুক্ত হই।

জানতে চাই, আমের কি ধনি-গরিব আছে ভাই? এ কথা শুনে চারজন শ্রমিকই হেসে উঠলেন, কিন্তু পাশে দাঁড়ানো বাগানের মালিক আবদুর রশিদ হাসলেন না। তিনি খানিকটা আনমনা হয়ে গেলেন। তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়াই। সুধাই, ওরা কী বলছে ভাই। বাগানমালিক বলছেন, ওরা ঠিকই বলছে, আজ গরিবের আম ভাঙছি। যাঁরা গরিব বা নিম্ন আয়ের মানুষ, তাঁরা বেশির ভাগই কম দামের লক্ষ্মণভোগ আম কেনেন। যাঁদের হাতে পয়সা আছে, তাঁরা বেশি দামের আম গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপলি—এসব আম কেনেন। এই আম মিষ্টি বেশি, আঁশ কম। খেতে সুস্বাদু। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এসব আমের দাম চড়া। আর লক্ষ্মণভোগ আমের চাষ বেশি হলেও দাম ক্রমশ কমছে। কারণ, এবার এই আমের ক্রেতাদের হাতে পয়সা নেই।

বাগানমালিক রশিদ বললেন, খুলনার আড়তে পাঠাতে সাত দিন আগে আম ভাঙতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আড়তদার ফোন করে মানা করেছিলেন। এখন মৌসুম শেষের দিকে। যে দামেই হোক আম তো বিক্রি করতে হবে। লক্ষ্মণভোগ জাতের তাঁর প্রায় চার শ মণ আম অবিক্রীত রয়ে গেছে।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা মিয়াপাড়া গ্রামের একটি বাগানে গত মঙ্গলবার (১৬ জুন) তাঁদের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের কথাবার্তায় একটি নতুন হিসাব মাথায় আসে। রাজশাহীর গোটা জেলায় যে পরিমাণ আম চাষ হয়, তার অর্ধেক হয় বাঘা উপজেলায়। বাঘার কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বললেন, উপজেলার প্রায় ৭০ শতাংশ আমবাগান লক্ষ্মণভোগের।

আবদুর রশিদ আরও তথ্য দিলেন, নতুন জাতের আম আসার কারণে চাষিরা এখন লক্ষ্মণভোগ আমের বাগান বদলে ফেলছেন। এই বাগানের গাছের ফাঁকে ফাঁকে আম্রপলি জাতের গাছ লাগিয়ে দিচ্ছেন। দিঘা গ্রামের আবদুল মান্নান তাঁর তিন বিঘা জমির লক্ষ্মণভোগ আমের বাগানের ফাঁকে ফাঁকে নতুন করে আম্রপলি ও হিমসাগর আমের গাছ লাগিয়ে দিয়েছেন। দিঘা বাজারের মেঘলা কফি হাউসে গিয়ে পাওয়া যায় আবদুল মান্নানকে। তিনি বললেন, গরিবের বাগানের মালিক হয়ে শুধু শুধু গরিব হয়ে থাকার কোনো মানে হয় না। তাঁর তিন বিঘা বাগান যদি হিমসাগরের হতো, তাহলে এখন চার গুণ বেশি দামে আম বিক্রি করতে পারতেন। তাই বাগানের গাছ বদলে দিচ্ছেন। তাঁর মতো অনেকেই এখন গাছ বদলে ফেলছেন।

এদিকে রাজশাহীতে আমের হাটের চিরাচরিত ম–ম গন্ধ ও আমের রঙের বাহার এবার একটু কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আম পরিপুষ্ট হওয়ার জন্য লম্বা একটা শুষ্ক ও গরম আবহাওয়ার দরকার হয়। এবার আমের মৌসুমে বাড়তি বৃষ্টির কারণে কাঙ্ক্ষিত সেই হাওয়া মেলেনি। এই প্রভাব সব আমের ওপরই পড়েছে। তারপরও ঝড়ে আম পড়ে যাওয়ায় আমের সরবরাহ কম। এ জন্য অন্য আমের চাহিদা বেশি, দামও বেশি। লক্ষ্মণভোগের কপাল খোলেনি।

প্রচুর ফলন হওয়ায় একসময় লক্ষ্মণভোগ আমের বাগান করার হিড়িক পড়ে যায়। এই আম খেতে একটু কম মিষ্টি হয় কিন্তু রং খুব উজ্জ্বল, দেখতে খুব সুন্দর। এবার এই আমের রংও অতটা ভালো হয়নি। মিষ্টিও কম। একটু টকও লাগছে। এমনটিই বললেন বাঘা উপজেলার দিঘা বাজারের মেসার্স আকরাম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আকরাম হোসেন। তাঁর আড়তে লক্ষ্মণভোগ আম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা মণ দরে কেনা হচ্ছে।

দিঘা গ্রামে আমচাষি আবদুল বারি তাঁর নিজ বাগানের লক্ষ্মণভোগ আম ভাঙছিলেন। কী দামে বিক্রি করলেন, জানতে চাইলে বলেন, ৭০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করলেন। মোট ২২ মণ ২৯ কেজি লক্ষ্মণভোগ আম হলো। সবই ওই দামে দিতে হলো। তাঁর আক্ষেপ, এর মধ্যে আবার কর্মচারীদের খরচ বাদ দিতে হচ্ছে। যে কর্মচারী আম ভেঙে নিজের ভ্যানে করে আড়তে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁকে ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে। যে কর্মচারী শুধু আম ভাঙছেন তাঁকে তিন–সাড়ে তিন শ টাকা দিতে হচ্ছে। তাঁর বাগানের আম ভ্যানে করে টানছিলেন কর্মচারী সেলিম। তিনি বললেন, আমের দাম যা-ই হোক। তাঁর পারিশ্রমিক ৫০০ টাকা।

লক্ষ্মণভোগের ক্রেতা কম কেন

লক্ষ্মণভোগ আমের এ অবস্থা কেন, জানতে চাইলে রাজশাহীর বড় আমচাষি ও ব্যবসায়ী আসাফুদ্দৌলা বললেন, সাধারণত তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরাই লক্ষ্মণভোগের প্রধান ক্রেতা। এবার তাঁদের হাতে পয়সা না থাকায় এ আম বেচাকেনা কমে গেছে। আর যাঁরা সমাজের বিত্তবান তাঁরা হিমসাগর, গোপালভোগ, ল্যাংড়া কিনছেন। সেই আমের দাম আবার গত বছরের চেয়ে বেশি।

১৬ জুন দুপুরে উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, কর্মচারীরা আমে ব্যাগ পরানোর কাজ করছেন। আনোয়ার হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে আমের গায়ে একটা কালচে দাগ পড়েছে। ‘মেডিসিন স্প্রে’ করলে এই দাগটা উঠে গিয়ে আম উজ্জ্বল হবে। কিন্তু তিনি মেডিসিন না দিয়ে ‘ব্যাগিং’ করছেন। গাছের প্রত্যেকটি আমকে একটি বিশেষ কাগজের মোড়ক দিয়ে মুড়ে দেয়াকে ব্যাগিং বলা হয়। ব্যাগের ভেতরে আম থাকলে আমের রং উজ্জ্বল হবে। কোনো দাগ থাকবে না। দামও ভালো পাওয়া যাবে। তিনি এখন তাঁর ফজলি ও আশ্বিনা আমের গায়ে ব্যাগ পরাচ্ছেন। তবে হিমসাগর এখন যাঁদের গাছে রয়েছে সেগুলোর গুণগত মান ঠিক আছে। দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি মণ ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম উঠেছে আড়াই হাজার টাকা। এই আম ঢাকার অভিজাত বিপণিবিতানে চড়া দামে বিক্রি হবে। এটা বড়লোকের আম। নিম্ন আয়ের মানুষ এই আম কিনতে পারবেন না। তিনিও লক্ষ্মণভোগ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। স্থানীয় বাজারে এই আম তিনি ৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান।

বাগানে কাজ করছেন ছাত্ররা

আনোয়ার হোসেনের বাগানে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের বেশির ভাগই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে হাত খরচের পয়সা জোগাড় করতে নেমে পড়েছেন তাঁরা। অবশ্য শিক্ষার্থীদের অনেকে প্রতি মৌসুমেই এ কাজে যুক্ত হন। শিক্ষার্থীদের একজন মুন্না আজিজ। তাঁর বাড়িও এই আড়পাড়া গ্রামেই। তিনি ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে সম্মান শ্রেণিতে পড়ছেন। তিনি বলেন, প্রতিবছরই তিনি আমের মৌসুমে বাগানে কাজ করে আয় করেন। আমের কালচে রং দূর করতে অন্য বাগানে ওষুধ দেওয়ারও কাজ করেছেন তিনি। এখন আনোয়ার হোসেনের বাগানে ব্যাগিংয়ের কাজ করছেন। এই মৌসুমে আমবাগানে কাজ করে তিনি প্রায় ২০ হাজার টাকা আয় করেছেন। তাঁরা আটজন ছাত্র একসঙ্গে বিভিন্ন বাগানে কাজ করেন।

বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম বিএম কলেজের শিক্ষার্থী সানারুল ইসলাম ও মাস্টার্সের ছাত্র সাইদুর ইসলামকে পাওয়া যায় সেখানে। তাঁরাও প্রতি আমের মৌসুমে এভাবে কাজ করে আয় করেন। তাঁরা বললেন, প্রতিদিন তাঁদের খাওয়া বাবদ ১০০ টাকা এবং পারিশ্রমিক হিসেবে ৩৫০ টাকা দেওয়া হয়।

এবার আম যাচ্ছে না বিদেশে

কয়েক বছর ধরে বাঘা থেকে সরাসরি ইউরোপের বাজারে আম পাঠায় ‘সাদী এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। গত বছর তারা ৩৬ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করেছিল। আর ঢাকার অভিজাত বিপণাবিতানগুলোকে ১৮ মেট্রিক টন আম দিয়েছিল। গত বছর তারা নিজের বাগানের ও কেনা মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার টন আম বিক্রি করেছে। সাদী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম ওরফে ছানা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার প্রস্তুতি নেওয়ার পরও বিদেশে আম গেল না। এতে তাঁরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।

আম পাঠিয়ে বিব্রত

ওই দিনই দেখা হয় দিঘার কলেজশিক্ষক গোলাম তোফাজ্জলের সঙ্গে। তিনি প্রতিবছর ঢাকায় তাঁর মামার বাসায় ১৫ থেকে ২০ মণ আম পাঠান। মামা সেই আম তাঁর বন্ধুবান্ধবদের দিয়ে থাকেন। কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি। এমন বাগান থেকে সরাসারি তিনি আম পাঠিয়ে থাকেন। এবার তিনি প্রথমে এক মণ গোপালভোগ আম পাঠানোর পর তাঁর মামা জানিয়েছেন, আম ভালো না। মিষ্টি কম, টক। আমের গায়েও দাগ। এবার আর আম পাঠানোর দরকার নেই। এই কলেজশিক্ষক বলেন, তিনি নিজে বাগানে দাঁড়িয়ে থেকে আম ভেঙে দিয়েছেন। শুধু আবহাওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় আরও দুই আত্মীয়ের কাছে তিনি এক মণ আম পাঠিয়েছেন। তাঁরাও বলছেন, আম ভালো না।

ভ্রাম্যমাণ আম বিক্রেতারা যা বলেন

রাজশাহী শহরের ভ্যানে করে গুটি জাতের কাঁচা–পাকা ল্যাংড়া আম বিক্রি করেন জিয়ারুল ইসলাম। নগরের ঘোড়ামারা এলাকায় বুধবার সকালে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়। তাঁর ভ্যানভর্তি আমের একই অবস্থা। আমে একটু কালচে দাগ পড়েছে। পাকা আমের গন্ধও ভেসে আসছে না। এই অভিযোগের সহজ উত্তর দিলেন জিয়ারুল, এবার লাগাতার বৃষ্টির কারণে রং এমন হয়েছে। তবে আমের স্বাদ ভালো আছে। প্রথমে দাম হাঁকলেন, ৫০ টাকা কেজি। আমের গুণাগুণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই দাম ৪০ টাকায় নেমে এল।

বানেশ্বর বাজারে আম শোধন

রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের মোকাম পুঠিয়ার বানেশ্বর বাজার। বুধবার সেখানে গিয়ে আমের বাজারের সেই আগের আমেজ অনেকটাই কম দেখা গেল। পাকা আমের ঘ্রাণও পাওয়া যাচ্ছে না। চাষিরাও বলছেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণেই এ অবস্থা। এই বাজারেও লক্ষ্মণভোগের দাম কম।

পুঠিয়ার বালিয়াঘাটা গ্রামের আমচাষি শাহজামাল তাঁর বাগানের আম নিয়ে এসেছিলেন। বললেন, এবার আমের রংটা ভালো হয়নি। আবার বোঁটার কাছ থেকে আগেই পচন হচ্ছে।

তবে আম পাকা পাঁচ থেকে সাত দিন বিলম্বিত করার জন্য বানেশ্বর বাজারে গরম পানিতে আম শোধন করার প্লান্ট বসানো হয়েছে। রাজশাহী ফল গবেষণাকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন গত সোমবার বলেন, বানেশ্বরে তাঁরা ‘হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’ বসিয়েছেন। এই প্লান্টে আম পরিষ্কার করে নিলে আম পাকা পাঁচ থেকে সাত দিন বিলম্বিত হবে। বোঁটার কাছ থেকে আম পচবে না। বাইরে পাঠানো হলে পথে আম পচার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আমের রংটাও একটু উজ্জ্বল হবে। এই প্লান্টে প্রতি কেজি আম পরিষ্কার করতে খরচ পড়বে ৮৭ পয়সা। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবার ব্যবসায়ীদের বিনা মূল্যে এই সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই প্লান্টে ঘণ্টায় ৫০০ কেজি আম পরিষ্কার করা যাবে। বুধবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, যাঁরা বাইরে আম পাঠাচ্ছেন তাঁরা এই শোধনাগারে আম শোধন করে নিচ্ছেন। বানেশ্বরের আমজাদ হোসেন নামের এক যুবক এক মণ আম পরিশোধন করে নিলেন। তিনি বললেন, আম পচে নষ্ট হবে না, রংটাও একটু ভালো হবে এ কথা শুনে তিনি আম পরিশোধন করে নিলেন। এ জন্য কোনো পয়সা দিতে হয়নি।

আম পরিবহনব্যবস্থা

রাজশাহী থেকে এবার বাইরে আম পরিবহনের বিশেষ ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। ডাক বিভাগের একটি ট্রাকে চাষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ৫ টন করে আম বিনা মূল্যে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আম পরিবহনের জন্য ‘ম্যাংগো ট্রেন’–এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরও কুরিয়ার সার্ভিসে আম পাঠানোর সেই ভিড় এবারও রয়েছে।

নতুন সম্ভাবনা

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুল হকের তথ্য, রাজশাহীতে ৮৬ হাজারের বেশি আমচাষি রয়েছেন। আম ভাঙা ও পরিবহনের সঙ্গে জড়িত আছেন আরও অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। যুক্ত আছেন প্রায় ৬০০ ব্যবসায়ী ও আড়তদার। লেনদেন হয় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। প্রচলিত ছয় জাতের আমের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসছে বারি-৪ জাতের আম। মৌসুমের শেষে আশ্বিনা আমের সঙ্গে এই আম পাকবে। খেতে সুস্বাদু এই জাতের আমের ভালো দামও পাবেন চাষিরা।

এগ্রোবিজ

বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য

বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম
বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম

মিরাজুল ইসলাম (৩৩)। ১০ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। আকামা জটিলতায় খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। এক বছর বেকার থাকার পর ইউটিউবে পতিত জমিতে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখেন। বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে নেমে পড়েন ড্রাগন চাষে। দেড় বছরের ব্যবধানে এখন উপজেলার সবচেয়ে বড় ড্রাগন বাগান তাঁর। এ বছর খরচ বাদে আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার ইন্দুরকানি গ্রামের বাসিন্দা মিরাজুল। উপজেলার টগরা গ্রামে দেড় একর জমিতে তিনি ড্রাগনের বাগান তৈরি করেছেন। তাঁর বাগানে এখন সাড়ে তিন হাজার ড্রাগন ফলের গাছ আছে।

মিরাজুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক হিসেবে ১০ বছর সৌদিতে কাজ করে ২০১৯ সালে দেশে ফেরেন তিনি। আকামা সমস্যার কারণে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কিছু একটা করবেন বলে ভাবছিলেন। একদিন ইউটিউবে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখতে পান। সেই থেকে ড্রাগন চাষে আগ্রহ জন্মে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেড় একর পতিত জমি ড্রাগন চাষের উপযোগী করেন। গাজীপুর থেকে ৬০ টাকা দরে ৬০০ চারা নিয়ে আসেন। বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শুরু করেন চাষাবাদ। পরের বছর জুনে ফল পাওয়া শুরু করেন।

ড্রাগনের বাগান করতে মিরাজুলের খরচ হয়েছিল ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ফল বিক্রি করে তাঁর খরচ উঠে গেছে। সাধারণত মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গাছে ফল আসে। বছরে ছয় থেকে সাতবার পাকা ড্রাগন সংগ্রহ করা যায়। এখন পরিপক্ব ও রোগমুক্ত গাছের শাখা কেটে নিজেই চারা তৈরি করেন। ড্রাগন চাষের পাশাপাশি বাগানে চুইঝাল, এলাচ, চায়না লেবুসহ মৌসুমি সবজি চাষ করেন। এ ছাড়া ড্রাগনের চারাও উৎপাদন করে বিক্রি করেন তিনি।

মিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাগানের বেশির ভাগ গাছে এ বছর ফল ধরেছে। গত মঙ্গলবার বাগান থেকে দেড় টন ফল সংগ্রহ করেছেন। ২৫০ টাকা কেজি দরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছেন। স্থানীয় বাজারে ৩০০ টাকা কেজি দরে ড্রাগন বিক্রি হয়। নভেম্বর পর্যন্ত আরও পাঁচ–ছয়বার বাগান থেকে ফল তোলা যাবে। আশা করছেন, খরচ বাদে এবার আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভ থাকবে।

মিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার বাগান থেকে চারা নিয়ে অনেকে বাড়িতে ও ছাদে ছোট পরিসরে ড্রাগনের বাগান করেছেন। আমি এ পর্যন্ত ৪০ টাকায় দেড় হাজার চারা বিক্রি করেছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ বয়সের একটি ড্রাগনের চারা রোপণের পর ২৫ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এর মৃত্যুঝুঁকি নেই বললেই চলে। তবে কয়েক দিন পরপর সেচ দিতে হয়। বৃষ্টির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হয়। ড্রাগন ফল চাষে রাসায়নিক সার দিতে হয় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাতুন্নেছা বলেন, মিরাজুল ইসলামকে ড্রাগন চাষে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। উপজেলায় তাঁর বাগানটি সবচেয়ে বড়। তিনি নিরলস পরিশ্রম করে ছোট থেকে বাগানটি বড় করেছেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোটেক

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি

ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি
ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি

ডাচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন।

গতকাল সোমবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অনুষ্ঠিত কৃষি খাতের ব্যবসাবিষয়ক এক সম্মেলনে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এগ্রি বিজনেস কনক্লেভে বাংলাদেশের প্রায় ৪০জন উদ্যোক্তা ডাচ কৃষি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি প্রযুক্তি সহযোগিতা ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছে ওয়েগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়।

আলোচনায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্রযুক্তি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিলে নেদারল্যান্ডসের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তি সহযোগিতা দিতে রাজি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে ডাচরা প্রস্তুত এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। এ ছাড়া ডাচ সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বীজ, পশু খাদ্য, পোলট্রি, হর্টিকালচার ও এ্যাকুয়াকালচার বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদন করেছে, যা ওই দেশের বেসরকারি খাতকে আরও উৎসাহিত করেছে।

আলোচনায় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করতে তৈরি আছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্কয়ার, ইস্পাহানি এগ্রো, একে খান অ্যান্ড কোম্পানি, প্যারাগন গ্রুপ, এসিআই, জেমকন গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ডাচ প্রযুক্তির প্রয়োগ সরেজমিনে দেখতে যাবেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের পোল্ট্রিখাতে সহযোগিতার আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে উল্লেখ করে মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের মধ্যে মৎস্য, পশুপালন ও হর্টিকালচারে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা আছে।

কনক্লেভ আয়োজনে প্রথমবারের মতো দূতাবাসের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কৃষি মন্ত্রণালয়, নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সি, নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ, ডাচ-গ্রিন-হাইজডেল্টা, লারিভ ইন্টারন্যাশনাল, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ।

কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারী নেদারল্যান্ডসের আয়তন বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের কম। ২০২১-এ কৃষিপণ্য ও খাদ্য রপ্তানি করে নেদারল্যান্ডস ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

পেঁয়াজের ক্ষতি পুষিয়ে দিচ্ছে সাথি ফসল বাঙ্গি

পেঁয়াজ তুলে নেওয়ার পর পুরো জমি ভরে গেছে বাঙ্গিগাছে। ফলন হয়েছে ভালো। পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামে গত শুক্রবার
পেঁয়াজ তুলে নেওয়ার পর পুরো জমি ভরে গেছে বাঙ্গিগাছে। ফলন হয়েছে ভালো। পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামে গত শুক্রবার

পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম তাঁর দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করে এবার প্রায় ৪০ হাজার টাকা লোকসান দিয়েছেন। অথচ পেঁয়াজের জমিতেই সাথি ফসল হিসেবে লাগানো বাঙ্গি থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকার মতো লাভ করবেন বলে আশা করছেন। এই বাঙ্গি আবাদে তাঁর কোনো খরচ হয়নি। ফলে পেঁয়াজ আবাদের ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।

সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বাঙ্গি আবাদ কইর‌্যা যে টাকা পাইল্যাম তা হলো আমাগরে ঈদের বোনাস। পেঁয়াজের দাম না পাওয়ায় আমরা (কৃষকেরা) যে ক্ষতির মধ্যে পড়িছিল্যাম, বাঙ্গিতে তা পুষায়া গেছে। এই কয়েক দিনে ১২ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচছি। সব মিলায়া ৫০ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচার আশা করতেছি।’

সাইদুল ইসলামের মতো পাবনার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলার অনেক কৃষক এবার পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গির আবাদ করেন। কৃষকেরা পেঁয়াজ আবাদ করতে গিয়ে বিঘায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন। সেই হিসাবে প্রতি মণ পেঁয়াজ উৎপাদনে তাঁদের খরচ হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকার বেশি। কিন্তু বাজারে সেই পেঁয়াজ কৃষকেরা বিক্রি করতে পেরেছেন প্রতি মণ ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এতে প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদে কৃষকদের এবার ২০ হাজার টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।

কৃষকেরা বলেন, পেঁয়াজের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গি, মিষ্টিকুমড়া, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জমিতে পেঁয়াজ লাগানোর পর তা কিছুটা বড় হলে এর ফাঁকে ফাঁকে এসব সাথি ফসল লাগানো হয়। পেঁয়াজের জন্য যে সার, কীটনাশক, সেচ দেওয়া হয়, তা থেকেই সাথি ফসলের সব চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। ফলে সাথি ফসলের জন্য বাড়তি কোনো খরচ হয় না।

কৃষকেরা বলেন, বাঙ্গিতেই কৃষকের লাভ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। রমজান মাস হওয়ায় এখন বাঙ্গির চাহিদা ও দাম দুই-ই বেশি।

সাঁথিয়ার শহীদনগর গ্রামের কৃষক আজমত আলী জানান, তাঁর জমিসহ এই এলাকার জমি থেকে ৮ থেকে ১০ দিন হলো বাঙ্গি উঠতে শুরু করেছে। এবার বাঙ্গির ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। বাজারে এসব বাঙ্গি আকারভেদে প্রতিটি ৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন দাম থাকলে এক বিঘা থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি হবে।

সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার গোস্বামী বলেন, পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসলের আবাদ কৃষকদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে তাঁরাও কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

কাঁঠালের আইসক্রিম জ্যাম ও চিপস

জাতীয় ফল কাঁঠালের জ্যাম, চাটনি ও চিপস উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) শস্য সংগ্রহের প্রযুক্তি বিভাগের একদল গবেষক। তাঁরা কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করে মোট ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।

গত শনিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিনা) ‘কাঁঠালের সংগ্রহত্তোর ক্ষতি প্রশমন ও বাজারজাতকরণ কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে এবং নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের সহযোগিতায় গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত হয়।

কর্মশালায় ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় আমরা কাঁঠালের প্রক্রিয়াজাত করে মুখরোচক ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসব পণ্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। কাঁঠালের জ্যাম, আচার, চাটনি, চিপস, কাটলেট, আইসক্রিম, দই, ভর্তা, কাঁঠাল স্বত্ব, রেডি টু কুক কাঁঠাল, ফ্রেশ কাট পণ্যসহ আরও বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত পণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। প্রক্রিয়াজাত পণ্যগুলো ঘরে রেখে সারা বছর খাওয়া যাবে। কাঁঠাল থেকে এসব পণ্য উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষক।’

কর্মশালায় নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের মুখ্য পরিদর্শক তারেক রাফি ভূঁইয়া বলেন, উদ্ভাবিত পণ্যগুলো বাজারজাত করার জন্য নিউভিশন কোম্পানি বিএআরআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ময়মনসিংহসহ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা ও উপজেলা শহরে পণ্যগুলো বিপণনের কাজ চলছে।

কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাফিজুল হক খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্পেশালিস্ট (ফিল্ড ক্রপস) ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবু হানিফ। উপস্থিত ছিলেন নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের প্রকল্প ম্যানেজার কায়সার আলম।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ফল

কমলা চাষে সার ব্যবস্থাপনা, সেচ, আগাছা ব্যবস্থাপনা ও ফসল তোলা- দা এগ্রো নিউজ

কমলা

সার ব্যবস্থাপনা:  প্রতি গর্তে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ১০০ গ্রাম টিএসপি সার ও এমওপি সার ১০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা:  চারা গাছের গোড়ায় মাঝে মাঝে পানি সেচ দিতে হবে। বর্ষাকালে গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেজন্য পানি নিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া কমলা গাছের আগাছা দমন করতে হবে।

ফসল তোলা: মধ্য কার্তিক থেকে মধ্য পৌষ মাসে ফল সংগ্রহ করতে হয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com