চীনে পোল্ট্রি খাদ্যের প্রশ্নে কোনো সংশয় নেই খামারিদের। কারণ দেশী ও বহুজাতিক কোম্পানির উৎপাদিত উপকরণের মান পরীক্ষায় দিনের পর দিন কঠোর হচ্ছে সরকার। ভেজাল অথবা ত্রুটির অভিযোগ উঠলেই রয়েছে আইনী ব্যবস্থা।পোল্ট্রি খাদ্যের প্রশ্নে খামারিদের কাছে গ্রহণযোগ্যতায় এক নাম্বারে নিউ হোপ গ্রুপ। প্রশ্ন হলো কী এমন বিশেষত্ব তাদের উপকরণে।
চীনের নিউ হোপ পোল্ট্রি খাদ্য কারখানার ম্যানেজার উই ফং বলেন, নিউ হোপ গ্রুপের পোল্ট্রি খাদ্যের মাণ নিয়ে শুধু চীনে নয়, পৃথিবীর অনেক দেশেরই প্রশংসা রয়েছে। কারণ আমরা পোল্ট্রি খাদ্যের প্রধান দুটি উপাদান প্রোটিনের জন্য উন্নতমাণের ডাল ও প্রধান খাদ্য উপাদান হিসেবে মাণসম্পন্ন ভূট্টা ব্যবহার করে থাকি। ক্যালসিয়ামের জন্য ব্যবহার করা হয় খনিজ উপাদান। খাদ্যে মেশানো উপকরণের শুদ্ধতা নিয়মিত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পরীক্ষা করতে আসে।
পোল্ট্রি খাদ্য নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই এখানে। নেই ভারী ধাতব বা অস্বাস্থ্যকর কোনো কিছু মিশ্রণের সুযোগও। কোম্পানির শত শত কারখানায় মানা হচ্ছে একই নিয়ম।
নিউ হোপের পোল্ট্রি খাদ্য কারখানার প্রোডাকশন ম্যানেজার চু জিয়াং থাও জানান, চীনের প্রায় সব শহরে নিউ হোপ গ্রুপের পোল্ট্রি খাদ্যের কারখানা আছে। বিদেশে আছে এমকি বাংলাদেশেও আছে। এই কারখানাটিতে প্রতিদিন খাদ্য উৎপাদিত হয় ১৩০ টন। এখানে পরিমাণের চেয়ে খাদ্যের গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য বেশি মনোযোগী।
নিজস্ব মাণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কঠোর নজরদারি রয়েছে বলে জানান চু জিয়াং থা। তিনি বলেন, সরকারি মান নিয়ন্ত্রক দপ্তর মাসে একবার, আবার কোনে মাসে দু’বার পরিদর্শনে আসে আমরা মান ঠিক রাখছি কিনা তা দেখার জন্য।
আর মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে রয়েছে বাজার পরিস্থিতি আর খামারিদের লাভ দুদিকেই সমান বিবেচনা।
পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল এই দেশটিতে ৩০ বছরে জনপ্রতি মুরগীর মাংস প্রাপ্তির হার ১ দশমিক ৩ কেজি থেকে পৌঁছেছে ৯ কেজিতে। একই গতিতে বেড়েছে ডিমের উৎপাদন। এই বিপুল উৎপাদনের সঙ্গে আশির দশক থেকে সম্প্রসারিত হচ্ছে পোল্ট্রি উপকরণের বাণিজ্য। এই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে নিউ হোপ গ্রুপ।
জাতীয় বাজেট (২০২১-২২) কে সামনে রেখে কৃষি এর উপখাতগুলোর জন্য সরকারের কাছে সুপারিশমালা প্রদান করেছেন উন্নয়ন সাংবাদিক শাইখ সিরাজ। এবার ষোল বছরের মতো তিনি সরকারের কাছে ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’ শীর্ষক সুপারিশমালা প্রদান করলেন।
এবার সুপারিশমালায় তিনি চলমান করোনা পরিস্থিতিতে কৃষিক্ষেত্রে করনীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। তিনি কৃষিতে ভর্তূকি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। কৃষির উপখাতগুলোতেও ভর্তূকি ও ঋণ সহায়তার সুপারিশ করেন। তিনি বার্ষিক ঋণ বিতরণের পরিমাণ বাড়ানোর ওপরও জোর দেন। কৃষি এর উপখাতগুলোতে বীমা ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করেন।
এক্ষেত্রে তিনি বীমার প্রিমিয়াম বাবদ শুরুতে ভর্তূকি সুবিধা দিয়ে কৃষক ও খামারিকে অভ্যস্ত করে তোলার আহ্বান জানান। জলবায়ুর পরিবর্তন ও বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে কৃষি ও সামগ্রিক জীবন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে কৃষি গবেষণার জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ ২০০৫ সাল থেকে তার কৃষি কার্যক্রম ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানের পক্ষ থেকে `কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি বছর এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তিনি মাঠ পর্যায়ে কৃষকের সংলাপ ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’ আয়োজন করে থাকেন। মাঠ পর্যায় থেকে উঠে আসা কৃষক-খামারির দাবি, চাহিদা ও প্রত্যাশার আলোকে সুপারিশমালা প্রস্তুত করে অর্থমন্ত্রীর মাধ্যমে সরকারের কাছে প্রদান করে থাকেন।
কৃষি সরঞ্জাম ও সার আমদানিতে অতিরিক্ত আরও ১৮০ দিন সময় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ঋণপত্র খোলার পর পণ্যগুলো আনতে মোট ১৮০ দিন সময় পেতেন গ্রাহক। কিন্তু করোনার প্রভাব মোকাবিলায় এই সময় বাড়িয়ে ৩৬০ দিন করা হয়েছে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, কৃষি সরঞ্জাম ও রাসায়নিক সার আমদানির ক্ষেত্রে মোট ৩৬০ দিন সময় পাবেন, সকল অথরাইজড ডিলার। করোনা পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত সময়ের দাবি। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত এক দশকে গ্রামবাংলার মানুষের চা পানের প্রবণতা বেড়েছে ব্যাপক। গ্রামের ১৫ থেকে ৮০ বছর বয়সী নারী-পুরুষ প্রতিদিন চা পান করেন ২ থেকে ২০ কাপ পর্যন্ত যার বার্ষিক অর্থমুল্য বিশাল। অথচ এই বিপুল আর্থিক লেনদেন একবারেই চোখের আড়ালে। চ্যানেল আই এখন থেকে মাঝে মাঝেই তুলে ধরবে আড়ালে পড়ে থাকা এমন সব অর্থনেতিক কর্মকান্ডের চিত্র।
উঠতে বসতে চা, আপ্যায়নে চা, তৃষ্ণা বা বিতৃষ্ণায় চা। নেশায় চা, স্বাদে কিংবা বিস্বাদেও চা। চা ছাড়া জীবন যেনো অচল গ্রাম বাংলায়। চা মুখে দিয়ে দিন শুরু। শেষ চুমুক দিয়ে দিনের সমাপ্তি। তাহলে গ্রামের একজন মানুষ দিনে পান করছেন কত কাপ চা?
ঝালকাঠির গাবখান ব্রিজ এলাকার মধ্যবয়স্ক একজন মজা করেই বলেন, কি করমু? এই চা কাপ খাই আর বুদ্ধি করি। কয় কাপ চা খান এমন প্রশ্নের জবাবে অপর একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি বলেন আমি রাত এগারোটার সময়ও খাই। একটার পর একটা চা খাই, ভাত না খাইলেও হয়।
একই প্রশ্নের জবাব আরও দশ থেকে বারো জনের কাছে জানতে চাওয়া হলে এদের মধ্যে দৈনিক দুই থেকে দশ কাপ পর্যন্ত চা পানে অভ্যস্ত ব্যক্তি পাওয়া যায়।
১৬ কোটি মানুষের এই উন্নয়নশীল দেশে তৃণমূলের মানুষের প্রতিদিনের চা পানের হিসাবটি বলে দেয় অনেক কথা। একজন মানুষ যদি গড়ে দুই কাপ চা খায়, ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে চার কোটি মানুষ যদি চা খায় তাহলে ৮ কোটি আর এক কাপ চা গড়ে যদি পাঁচ টাকা হয় তাহলে ৪০ কোটি টাকা শুধু চা খাওয়া হয়।
গাবখান ব্রিজ এলাকায় এসে দেখা যায় যে এখানকার লোকজন গড়ে পাঁচ কাপ খায়। মানে প্রায় একশো কোটি টাকার চা প্রতিদিন গড়ে বাংলাদেশের মানুষ চায়ের পেছনে ব্যয় করে। এর বাইরেও রয়েছে শহরের হিসাব, দেশব্যাপী প্যাকেটের দানা, গুড়ো বা টি-ব্যাগে চা বিক্রির হিসাব।
অর্থের লেনদেন যেখানে সেখানেই অর্থনীতি। দিনে যদি একশো কোটির হিসাব দাড়ায় চা বাবদ তাহলে বছরে দাড়ায় ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যা পদ্মা সেতু নির্মাণ ব্যয়ের চেয়েও বেশি। একই হিসাব দাড়াতে পারে পান-বিড়ি-সিগারেট, পুড়ি-সিঙ্গারা, কিংবা পাউরুটি কলায়।
হিসেবের আড়ালেই পড়ে থাকে এই বিশাল অঙ্কের হিসাবটি। কাপের পর কাপ শুধু চা পান নয় এর মধ্য দিয়ে তৃণমূল মানুষের প্রতিদিনকার পাল্টে যাওয়া জীবনের চিত্র ফুটে উঠে। যা আমাদের মুল অর্থনীতির সাথে যুক্ত হতে পারে। আর এর মধ্য দিয়ে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্রগুলো উঠে আসতে পারে।
দেশের অনেক স্থানের মতো মেহেরপুরেও গড়ে উঠেছে মিষ্টি মালটার বাগান। প্রবাস ফেরত যুবক ইসমাইল হোসেন ২০ শতক জমিতে মাল্টা বাগান গড়ে তিন বছরেই গড়েছেন সাফল্যের নজির।
টাঙ্গাইলে অমৌসুমী আনারস ও তার সঙ্গে সাথী ফসল আবাদে ঝুঁকেছেন কৃষক। ফসল বৈচিত্র্য আনতে এটি যেমন কৃষকের উদ্ভাবনী সাফল্য, একই সঙ্গে নেতিবাচক দিক হচ্ছে দ্রুত ফসল ফলাতে তারা সহায়তা নিচ্ছেন নানা অপকৌশলের।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন