আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

পাঙ্গাসের আচার রফতানি করা সম্ভব

পাঙ্গাসের আচার রফতানি করা সম্ভব : ড. সালাম
পাঙ্গাসের আচার রফতানি করা সম্ভব : ড. সালাম

বর্তমানে দেশে বছরে প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ মেট্রিক টন থাই পাঙ্গাস উৎপাদন হয়। বৃহত্তর উৎপাদন ও কম দামের পরও অতিরিক্ত চর্বি, আঁশটে গন্ধ আর কালচে বর্ণের কারণে দেশে জনপ্রিয়তা হারানোর পাশাপাশি বিদেশ যাত্রায় সুবিধা করে উঠতে পারেনি পাঙ্গাস মাছ। ফলে পাঙ্গাস খামারিরা হতাশ হয়ে পড়ছেন।

পাঙ্গাসের জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে বিকল্প ব্যবহার সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালাম তৈরি করেছেন পাঙ্গাসের হরেক রকম আচার।

জাগো নিউজের পক্ষ থেকে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো পাঙ্গাসের আচার তৈরি সম্পর্কে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাগো নিউজের বাকৃবি প্রতিনিধি মো. শাহীন সরদার

জাগো নিউজ : কিভাবে আচার তৈরির ধারণা এলো?
জাগো নিউজ : কিভাবে আচার তৈরির ধারণা এলো?

অধ্যাপক ড. সালাম : আবহমান কাল থেকে এই উপমহাদেশের তথা বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন ধরনের ফলের আচার তৈরি করে আসছে। তবে আমাদের দেশে মাছের আচারের প্রচলন তেমন একটা নেই বললেই চলে। ২০০৯ সালে ময়মনসিংহের পাঙ্গাস চাষিরা যখন মাছের দাম না পেয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন; তখন আমি চাষিদের রক্ষার জন্য কিছু একটা করার চিন্তা করতে থাকি। এমন একসময় আমার গবেষণার পুকুরে প্রচুর ছোট ছোট বেলে মাছ পাই। এত ছোট মাছ দিয়ে কী করা যায় ভেবে পাচ্ছিলাম না। পরীক্ষামূলকভাবে ওই ছোট বেলে মাছ দিয়ে আচার জাতীয় কিছু একটা করার সিদ্ধান্ত নেই।

জাগো নিউজ : পারিবারিক সহযোগিতা কেমন ছিল?
জাগো নিউজ : পারিবারিক সহযোগিতা কেমন ছিল?

অধ্যাপক ড. সালাম : প্রথমে স্ত্রী ও দুই মেয়ে এই কাজকে পাগলামি বলে ভর্ৎসনা করে। তারপরও তারা খুব আগ্রহ সহকারে আমাকে সাহায্য করতে থাকে। বিশেষ করে ছোট মেয়ে চয়নিকা সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ও কৌতুকচ্ছলে সাহায্য করে। আচার তৈরিতে আমি ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞতা এবং ইন্টারনেটের সাহায্য নেই। সত্যি সত্যি আচারটা যখন তৈরি হলো তখন পরিবারের সবাই তা খুব পছন্দ করলো। তবে তাদের কথা হলো- এই আচার যদি পাঙ্গাস, বোয়াল, বাইম বা শোল-গজার মাছ দিয়ে করা হতো তবে খুব মজা হতো। তাদের কথামতো এক শুক্রবারে ৫ কেজি পাঙ্গাস মাছ কিনে এনে শুরু করলাম পাঙ্গাস মাছের আচার তৈরির কাজ। এবার পরিবারের কেউ আমার এই আচার তৈরিকে পাগলামি বলেনি বরং সবাই সহযোগিতা করেছে। মাছ কাটাকাটি থেকে শুরু করে মসলা মাখিয়ে রাখা এবং আচার তৈরি হতে প্রায় সারা দিন লেগে যায়। সবার অনেক পরিশ্রম হলেও আচারের মজা পেয়ে সব কষ্টই সবাই ভুলে যায়। পরিবারের সবাই একবাক্যে পাঙ্গাস মাছের আচারকে মজাদার ও অতুলনীয় বলে অভিহিত করে।

জাগো নিউজ : আচারের সাথে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা যদি শেয়ার করতেন-
জাগো নিউজ : আচারের সাথে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা যদি শেয়ার করতেন-

অধ্যাপক ড. সালাম : আচার তৈরিতে অন্য মানুষের মতামত নেওয়ার জন্য প্যানেল টেস্টের চিন্তা করলাম। এমন সময় ঢাকা থেকে কিছুসংখ্যক মেহমান বাসায় এলে তাদের খেতে দিয়ে মতামত জানতে চাইলাম। তারা আচার খেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। এরপর আমি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল মহোদয়কে আচারটা পরীক্ষা করে দেখার জন্য বলি। উপাচার্য মহোদয় এবং তার পরিবার এক শুক্রবারে খাওয়ার টেবিল থেকেই ফোন করে আচারের খুব প্রশংসা করেন। পরবর্তীতে অধ্যাপক মণ্ডল নবম সংসদে কৃষির উপর আলোচনা করতে গিয়ে পাঙ্গাস মাছের আচারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নব উদ্ভাবন বলে অভিহিত করেন। এরপর তিনি তার কিছু সহকর্মীকে আচারটা টেস্টের জন্য দেন। তারা সবাই এটাকে একবাক্যে খুবই উপাদেয় বলেন। একসময় ময়মনসিংহের স্বর্ণলতা মৎস্য খামারের সাহায্যে আচারটিকে শহরের এক মেলায় প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করি এবং সেখান থেকেও উৎসাহব্যাঞ্জক ফলাফল পাই। পরবর্তীতে একোয়াকালচার বিভাগ আয়োজিত মৎস্যচাষীদের সমাবেশ শেষে দুপুরের খাবারের সাথে পাঙ্গাস মাছের আচার পরিবেশন করলে ভালো, মজাদার ও সুস্বাদু বিশেষণে বিশেষায়িত হয়।

জাগো নিউজ : পাঙ্গাস মাছের আচার ছাড়াও অন্য কোন আচারের রেসিপি তৈরির চেষ্টা করেছেন কি?
জাগো নিউজ : পাঙ্গাস মাছের আচার ছাড়াও অন্য কোন আচারের রেসিপি তৈরির চেষ্টা করেছেন কি?

অধ্যাপক ড. সালাম : হাওরের বোয়াল ও গুচি বাইম মাছ দিয়েও আচার তৈরি করে ভালো ফল পাই। কাঁটাযুক্ত ছোট মাছের আচার কিছুদিন ফ্রিজে রেখে দিলে ভিনেগারের কারণে কাটাগুলো নরম হয়, ফলে কাটাসহ আচার খাওয়া যায়। ২০১২ সালের আগস্ট মাসে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সফরে এলে তাকেও দুপুরের খাবারের সাথে পাঙ্গাস মাছের আচার পরিবেশন করা হয়। যদিও তার সঙ্গীরা তাকে ঝাল ও কাঁটাযুক্ত খাবার পরিবেশন করতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি পাঙ্গাস মাছের আচার খেয়ে এতোই মজা পান যে, পর পর তিনবার এই আচার নেন। শেষে নিজেই আচারের কৌটা থেকে ঢেলে আচার খান এবং বলেন, ‘তুমি এই আচার তৈরি করে আমেরিকায় রফতানি কর না কেন?’ এরপর আমি পাঙ্গাসের চাটনিও তৈরি করি এবং প্যানেল টেস্টে সেটাও ভালো এবং সুস্বাদু হিসেবে বিবেচিত হয়। মাছের আচার ও চাটনি তৈরির পর আমি ফুলকপি ও করল্লার আচারও তৈরি করি; যা খুবই মজাদার ও সুস্বাদু ছিল।

জাগো নিউজ : পাঙ্গাস মাছের আচার তৈরির উপকরণ সম্পর্কে যদি বলতেন-
জাগো নিউজ : পাঙ্গাস মাছের আচার তৈরির উপকরণ সম্পর্কে যদি বলতেন-

অধ্যাপক ড. সালাম : পাঙ্গাস মাছের আচার তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপকরণ হলো-
১. কাঁটা ছাড়া পাঙ্গাস মাছের ছোট ছোট টুকরা- এক কেজি
২. শুকনা মরিচের গুড়ো- ৫-৬ চা চামচ
৩. হলুদ গুড়া- ২ চা চামচ
৪. সরিষার তেল- ৪০০ মিলিলিটার
৫. সরিষা- ২ চা চামচ
৬. মেথি- ২ চা চামচ
৭. পিঁয়াজ কুচি- ২-২.৫ কাপ
৮. আদা বাটা- ৪ চা চামচ
৯. আদা কুচি- ১/২ কাপ
১০. রসুন বাটা- ৪ চা চামচ
১১. রসুন কুচি- ১/২ কাপ
১২. কাচা মরিচ ফালি- ৪-৫টা
১৩. ভিনেগার- ১ থেকে দেড় কাপ
১৪. লবণ- পরিমাণমতো

পাঙ্গাসের আচার রফতানি করা সম্ভব : ড. সালাম
পাঙ্গাসের আচার রফতানি করা সম্ভব : ড. সালাম

অধ্যাপক ড. সালাম : প্রথমেই আচার তৈরির জন্য তাজা পাঙ্গাস মাছ নিয়ে কাঁটা ফেলে এক সেন্টিমিটার আকারের ছোট ছোট টুকরা করে মাছ কাটতে হবে। মাছ কাটা হলে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ১ কেজি মাছের মধ্যে ১ চামচ হলুদ গুড়ো, ২ চামচ মরিচ গুড়ো, পরিমাণমতো লবণ মিশিয়ে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর মাছগুলোকে সসপেন বা কড়াইতে অল্প সরিষার তেলে ভাজতে হবে। খুব কড়া করে ভাজার প্রয়োজন নেই। এবার কড়াইতে ২ কাপ পরিমাণ সরিষার তেল নিয়ে গরম করে তাতে ২ চা চামচ সরিষা দিয়ে না ফোটা পর্যন্ত নাড়তে হবে। পরবর্তীতে ২ চা চামচ মেথি দিয়ে অল্প সময় নাড়ার পর পিঁয়াজ কুচি ভেজে লাল করতে হবে। এবার ৪-৫ চা চামচ করে আদা বাটা, রসুন বাটা ও ৪ চা চামচ শুকনো মরিচ বাটা এবং ৪-৫টা কাচা মরিচ ফালি দিয়ে কড়া করে ভাজতে হবে। মসলা ভাজার শেষ পর্যায়ে আধা কাপ করে আদা ও রসুন কুচি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভাজতে হবে। মসলাগুলো কড়া ভাজা হলে ভাজা মাছগুলো তাতে ঢেলে দিয়ে ১৫-২০ মিনিট অল্প আচে নাড়তে হবে। প্রয়োজন হলে আরও তেল দিতে হবে, যাতে মাছের টুকরাগুলো তেলের নিচে ডুবে থাকে। এবার চুলা বন্ধ করে লবণ চেখে নামাতে হবে। এরপর এক থেকে দেড় কাপ ভিনেগার দিয়ে নেড়ে চেড়ে রেখে দিতে হবে। ঠান্ডা হলে কাচের বয়ামে ভরে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন কৌটার ভেতর মাছ ভরার পর মাছের উপর তেল ভাসে।

জাগো নিউজ : এই আচার কোন কোন খাবারের সঙ্গে খাওয়া যায়?
জাগো নিউজ : এই আচার কোন কোন খাবারের সঙ্গে খাওয়া যায়?

অধ্যাপক ড. সালাম : পাঙ্গাস মাছের আচার পোলাও, খিচুড়িসহ আলুভর্তা, ডাল ও ভাতের সাথে খাওয়া যায়। সকালে পরাটা দিয়ে এই আচার খাওয়া যায়। তাছাড়া বিকেলের নাস্তায় মুড়ির সাথে মাখিয়েও খাওয়া যায়।

জাগো নিউজ : পাঙ্গাস মাছের আচারের ভবিষ্যৎ কেমন হবে বলে মনে করেন?
জাগো নিউজ : পাঙ্গাস মাছের আচারের ভবিষ্যৎ কেমন হবে বলে মনে করেন?

অধ্যাপক ড. সালাম : বাণিজ্যিকভিত্তিতে পাঙ্গাসের আচার উৎপাদন করা হলে ময়মনসিংহ অঞ্চলের পাঙ্গাসচাষীরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। যারা পাঙ্গাস খেতে পছন্দ করেন না; তারাও আচার খেতে পারবেন। তবে সমুদ্র উপকূলে বা হাওর-বাওরে যখন বেশি বেশি মাছ পাওয়া যায়, সেসব অঞ্চলে মাছের আচার তৈরির কুটির শিল্প হতে পারে। যা দেশে শুধু নতুন কর্মসংস্থানই করবে না, উৎপাদিত আচার দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব।

  • জাগো নিউজ : পাঙ্গাস মাছের আচারের ভবিষ্যৎ কেমন হবে বলে মনে করেন?

    জাগো নিউজ : পাঙ্গাস মাছের আচারের ভবিষ্যৎ কেমন হবে বলে মনে করেন?

  • জাগো নিউজ : এই আচার কোন কোন খাবারের সঙ্গে খাওয়া যায়?

    জাগো নিউজ : এই আচার কোন কোন খাবারের সঙ্গে খাওয়া যায়?

  • পাঙ্গাসের আচার রফতানি করা সম্ভব : ড. সালাম

    পাঙ্গাসের আচার রফতানি করা সম্ভব : ড. সালাম

  • জাগো নিউজ : পাঙ্গাস মাছের আচার তৈরির উপকরণ সম্পর্কে যদি বলতেন-

    জাগো নিউজ : পাঙ্গাস মাছের আচার তৈরির উপকরণ সম্পর্কে যদি বলতেন-

  • জাগো নিউজ : পাঙ্গাস মাছের আচার ছাড়াও অন্য কোন আচারের রেসিপি তৈরির চেষ্টা করেছেন কি?

    জাগো নিউজ : পাঙ্গাস মাছের আচার ছাড়াও অন্য কোন আচারের রেসিপি তৈরির চেষ্টা করেছেন কি?

  • জাগো নিউজ : আচারের সাথে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা যদি শেয়ার করতেন-

    জাগো নিউজ : আচারের সাথে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা যদি শেয়ার করতেন-

  • জাগো নিউজ : পারিবারিক সহযোগিতা কেমন ছিল?

    জাগো নিউজ : পারিবারিক সহযোগিতা কেমন ছিল?

  • জাগো নিউজ : কিভাবে আচার তৈরির ধারণা এলো?

    জাগো নিউজ : কিভাবে আচার তৈরির ধারণা এলো?

  • পাঙ্গাসের আচার রফতানি করা সম্ভব : ড. সালাম

    পাঙ্গাসের আচার রফতানি করা সম্ভব : ড. সালাম

  • জাগো নিউজ : পাঙ্গাস মাছের আচারের ভবিষ্যৎ কেমন হবে বলে মনে করেন?
  • জাগো নিউজ : এই আচার কোন কোন খাবারের সঙ্গে খাওয়া যায়?
  • পাঙ্গাসের আচার রফতানি করা সম্ভব : ড. সালাম
  • জাগো নিউজ : পাঙ্গাস মাছের আচার তৈরির উপকরণ সম্পর্কে যদি বলতেন-
  • জাগো নিউজ : পাঙ্গাস মাছের আচার ছাড়াও অন্য কোন আচারের রেসিপি তৈরির চেষ্টা করেছেন কি?
  • জাগো নিউজ : আচারের সাথে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা যদি শেয়ার করতেন-
  • জাগো নিউজ : পারিবারিক সহযোগিতা কেমন ছিল?
  • জাগো নিউজ : কিভাবে আচার তৈরির ধারণা এলো?
  • পাঙ্গাসের আচার রফতানি করা সম্ভব : ড. সালাম
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com