চিনির বিকল্প বেছে নিতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যান অনেকেই
মাত্রাতিরিক্ত চিনি খাওয়া যে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক, সেই সচেতনতা আজকাল অনেকের মধ্যেই এসে গিয়েছে। কিন্তু সমস্যা হয় অন্য জায়গায়। চিনির বিকল্প বেছে নিতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যান অনেকেই।
স্বাদ চিনির মতো হলেই ভাল হয়, অথচ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হবে না, এমন বিকল্প খুঁজে পাওয়াই বেশ সমস্যার। চিনি খাওয়া নিয়ে আবার বেশ কিছু ভুল ধারণাও রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সেগুলি নিয়েই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে আলোচনা করা হয়েছে।
চিনির বিকল্প কি মধু?
অনেকেই সারাদিনে চিনি খাওয়া একেবারে কমিয়ে দিয়ে তার বদলে সুগার ফ্রি, মধু, রিফাইন্ড সুগার ইত্যাদি খেয়ে থাকেন। তবে এ ক্ষেত্রে মনে রাখবেন, চিনির বিকল্প হিসেবে যা বাছলেন, তাতেও কিন্তু কম বেশি একই পরিমাণ ক্যালোরি থাকছে। তাই দৈনিক সুগার ইনটেক কমাতে চাইলে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়াই কমিয়ে ফেলতে হবে। আর রান্নায় চিনির পরিমাণ কমাতে হবে।
দৈনিক কতটা চিনি খাওয়া যেতে পারে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বলছে দক্ষিণ এশিয়দের শরীরের গঠন অনুযায়ী একজন সুস্থ পূর্ণবয়স্ক পুরুষ দিনে ৮ চামচ চিনি খেতে পারে। মহিলারা দিনে ৬ চামচ চিনি খেতে পারেন। তবে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই শরীরের ওজন যথাযথ থাকলেই এই পরিমাণ চিনি খাওয়া যায়। দেহের ওজন অতিরিক্ত হলে এই পরিমাণ চিনি খাওয়া যায় না।
চিনি খেলেই সুগার হয়?
অনেকেরই একটা মস্ত ভুল ধারণা থাকে, চিনি খেলেই ডায়াবেটিস হয়। এটি সম্পূর্ণ ভুল। তবে ডায়াবেটিস ধরা পড়লে সাধারণত চিনি খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। আবার যারা চিনি অতিরিক্ত খেয়ে থাকেন, তাদের শরীরে ফ্যাট জমে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা থাকে। তবে চিনি খেলেই যে ডায়াবেটিস হবেই, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি চিকিৎসা শাস্ত্রে।
চিনি খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দেবেন?
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চিনি খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেবেন না অথবা রাতারাতি খুব কমিয়ে দেবেন না। দেহের শর্করার মাত্রা কমে গেলে তা প্রাণঘাতীও হতে পারে। পরিমাণ কমাতে চাইলে আস্তে আস্তে তা করুন।
শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।
আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।
নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক
খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।
দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।
মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।
সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।
প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।
উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন